চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত শনিবার

নুর নওশাদ, চবি প্রতিনিধি


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত আগামী শনিবার (২৪ অক্টোবর)। শনিবার ডিনস কমিটির সভায় কোন প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিনস কমিটির সভায় নিজস্ব নিয়মে পরীক্ষা হবে বলে জানানো হয়েছে।এক্ষেত্রে পরিস্থিতি বিবেচনায় অনলাইনে না গিয়ে নিজ নিজ বিভাগে পরীক্ষা নিয়ে নেওয়া হবে।

ডিনস কমিটিতে ঢাবির সিদ্ধান্ত সমূহ-
১. অনলাইনে পরীক্ষা হবে না।
২. পরিস্থিতি বিবেচনায় নিজ নিজ বিভাগীয় শহরগুলোতে পরীক্ষা হবে।

৩. এইএসসি রেজাল্ট কাউন্ট হবে।
৪. এইচএসসি রেজাল্ট প্রকাশিত হলে ডিসেম্বরে পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা।

৫. ঢাবির মান বজায় রাখতে সমন্বিত নয় আলাদা ভাবেই পরীক্ষা হবে

৬. এবছর ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের ওপর ২০ শতাংশ নম্বর থাকবে। বাকি ৮০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে ৩০ নম্বর এমসিকিউ ও ৫০ নম্বরের পরীক্ষা লিখিত।

সিদ্ধান্তগুলো একাডেমিক কাউন্সিলে পুনর্বিবেচনার জন্য প্রেরিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা : গুচ্ছ পদ্ধতিতে এবারও খেতে পারে হোঁচট

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


করোনা মহামারীর মধ্যে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা না হলেও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তবে মহামারীর মধ্যে সেই পরীক্ষাও নেওয়া সম্ভব হবে কি-না সেই সংশয়ের পাশাপাশি সব বিশ্ববিদ্যালয় রাজি হবে কিনা এমন সংশয়ে শিক্ষার্থীসহ তাদের অভিভাবকরা।

তবে আশার কথা এই যে জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এইচএসসির চূড়ান্ত মূল্যায়ন ফল ঘোষণা করা হবে, যাতে জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।এমনই জানিয়েছেন সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি।

এদিকে পরীক্ষা নেয়া হলেও গেলবারের মতো এবারও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া হোঁচট খেতে পারে দেশের প্রধান কয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রক্রিয়ায় না যেতে চাওয়ার অনীহার কারণে।

আর এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে বসতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসি। তারা চাচ্ছে গুচ্ছ পদ্ধতিতেই পরীক্ষা নিতে। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলছে বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে। এজন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে ১৫ অক্টোবর সভা ডেকেছে ইউজিসি।

দেশে বর্তমানে ৪৬টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ হাজার আসনে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলাদা আলাদা পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়। একারণে উচ্চমাধ্যমিক পাস করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা দিতে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরতে হয়। এতে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের পাশাপাশি অভিভাবকদের আর্থিক ব্যয় হয়।

গত কয়েক বছর ধরেই সমন্বিত একটি পরীক্ষার মাধ্যমে সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চেষ্টা করছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটসহ প্রধান পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আপত্তিতে তা সম্ভব হয়নি। এরপরও গেলবছর কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও সাধারণ- এই চারটি গুচ্ছের আওতায় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় ইউজিসি।

এ বিষয়ে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর বলেন, ইউজিসি এখনও মনে করে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়া দরকার। কারণ বোর্ডের রেজাল্টের ওপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনও আস্থা রাখতে পারেনি। এবার সমস্যাটা হবে যে এত শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা কিভাবে নেয়া হবে। এটা যদিও একদিনের ব্যাপার। করোনার আগে চিন্তা করে রেখেছি গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার। গুচ্ছ পদ্ধতির সুবিধাটা অনেক তাই করোনাকালীন সময়েও আমরা গুচ্ছ পদ্ধতিতেই আছি। এখনও এর কোনও বিকল্প চিন্তা করিনি।

উন্নত বিশ্বে উচ্চশিক্ষা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত হলেও দেশে উচ্চশিক্ষা নেয়ার মতো শিক্ষার্থী প্রচুর উল্লেখ করে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজ চৌধুরী বলেন, ‘অনেক দেশেই মেধা, ভর্তি পরীক্ষার ধরন, উচ্চমূল্যের টিউশন ফি প্রভৃতি কারণে উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় সবাই উচ্চশিক্ষা নিতে পারে না। কিন্তু আমাদের দেশে খুব কম জিপিএ নিয়েও উচ্চশিক্ষায় যাওয়া যায়। এবার যেহেতু অনেক শিক্ষার্থী পাস করবে সেক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষায় আসন সংকট না পড়লেও সবার উচ্চশিক্ষা কতটা দরকার সেটাও ভাবার সময় এসেছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সমন্বিত পদ্ধতিতে নিতে আশাবাদী শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনি। তিনি বলেছেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনও তিন মাস সময় রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, ‘উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশ হোক তারপর আমাদের অ্যাডমিশন কমিটি, ডিনস কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা করে বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। হঠাৎ করে তো আর এই সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। বিজ্ঞানসম্মত বাস্তবতার মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

আরও পড়ুন

৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে নিজস্ব পদ্ধতিতে

আর বাস্তবতার নিরিখেই সিদ্ধান্ত নেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে যাবে নাকি প্রতিবারের মতো নিজেরাই ভর্তি পরীক্ষা নেবে সেবিষয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না।

৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে নিজস্ব পদ্ধতিতে

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


চলতি বছরে করোনা ভাইরাসের কারণে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি’২০ পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘গুচ্ছ ভিত্তিতে’ ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

অন্যদিকে এবার সাড়ে ১৩ লাখের বেশি পরীক্ষার্থীর সবাই পাস। এই বিরাটসংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হতে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

দেশে বর্তমানে ৩৯টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়। ‘গুচ্ছ ভিত্তিতে’ ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সিদ্ধান্ত নিলেও, এর মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) নিজেদের মতো করে আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেবে।

ইউজিসি বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তিনটি গুচ্ছ করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত তাঁদের সিদ্ধান্ত হলো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে একটি, সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে আরেকটি এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে আরেকটি গুচ্ছ করে এই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে।

ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে ১৫ অক্টোবর উপাচার্যদের সঙ্গে সভা আছে।

এদিকে, এমনিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সাধারণত অক্টোবর থেকে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এবার স্বাভাবিকভাবেই তা পেছাবে।

জাককানইবিতে ‘ই’ ইউনিটের ব্যাবহারিক পরীক্ষা ২৯ ডিসেম্বর

আল আমিন ,জাককানইবিঃ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ সেশনের স্নাতক প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার ‘ই’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের স্থগিতকৃত ব্যবহারিক পরীক্ষা আগামী ২৯ ডিসেম্বর (রবিবার) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে।

‘ই’ ইউনিটের প্রধান সমন্বয়কারী প্রফেসর ড. রশিদুন নবী এক জরুরী বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আগামী ২৯ ডিসেম্বর ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষা সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রোল ১১২০১ থেকে ১১৭৭৮ পর্যন্ত।

কুবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, ‘সি’ ইউনিটে পাশের হার ১১ শতাংশ

কুবি টুডেঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) স্নাতক (সম্মান) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মো আবু তাহের তাহের ফল প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।



ভর্তি পরীক্ষার ভাইবার তারিখ ২৪ ও ২৫ নভেম্বর এবং ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে ২৬ নভেম্বর। ০১ জানুয়ারি ২০২০ নতুন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন www.cou.ac.bd



২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ‘এ’ ইউনিটে পাসের হার ২৪ শতাংশ, ‘বি’ ইউনিটে পাসের হার ১৬ শতাংশ এবং ‘সি’ ইউনিটে পাসের হার ১১ শতাংশ। এ শিক্ষাবর্ষে ৬ টি অনুষদের (বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ, কলা, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন অনুষদ এবং ব্যবসায় শিক্ষা) অধীনে মোট ১ হাজার ৪০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছিলেন ৬৮ হাজার ৭৭ জন শিক্ষার্থী।

উল্লেখ্য, ৮ ও ৯ নভেম্বর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।



সংবাদ প্রেরক দ্য ক্যাম্পাস টুডের কুবি প্রতিনিধি মুহাম্মদ ইকবাল মুনাওয়ার।



 

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা, ভিসিসহ শীর্ষ ৫ প্রশাসনিক পদ শূন্য

ববি টুডেঃ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ শীর্ষ ৫ প্রসাশনিক পদ শূন্য থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকলের মাঝে হাতাশা ও গা ছাড়া ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।

গত ২৭ মে ৪ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে উপাচার্য শূন্য হয়ে পড়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।তবে এতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড.এ কে এম মাহবুব হাসান বেশ কিছুদিন ভিসির রুটিন দায়িত্ব পালন করলেও গত ৭ অক্টোবর তার মেয়াদও শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন এ পদটিও ফাঁকা রয়েছে।আবার একই দিনে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ফজলুল হকের মেয়াদ শেষ হলে তিনিও ট্রেজারারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিদায় নেন।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় জন্মলগ্ন থেকেই কোনো উপ-উপাচার্য না থাকায় এখন পুরোপুরি অভিভাবক শূন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি। রেজিস্ট্রার পদ শূণ্যাবস্থায় রয়েছে দীর্ঘদিন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমও অচলপ্রায়। আটকে আছে বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা, ফলাফল। এতে সেশন জট আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদের মাঝে একটি অনুষদ ছাড়া বাকি অনুষদগুলোর ডিনের দায়িত্ব পালন করেন উপাচার্য। ফলে ওইসব বিভাগের পরীক্ষা, ফলাফল প্রকাশসহ সকল কার্যক্রম স্থবির রয়েছে।

এদিকে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও আটকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এছাড়া ভিসি না থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।এমনকি স্থগিত হয়ে আছে শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলার।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া বলেন, উপাচার্য না থাকায় একাডেমিক, অর্থ ও সিন্ডিকেট সভা হচ্ছে না ছয় মাস ধরে। এ কারণে সিলেবাস ও ফলাফল কার্যক্রম অনুমোদন দেওয়া যাচ্ছে না। খণ্ডকালীন শিক্ষকও নিয়োগ হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া খুবই জরুরি ।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী রেজিষ্টার মো. মিলন বলেন, উপাচার্য না থাকায় একাডেমিক, অর্থ ও সিন্ডিকেট সভা হচ্ছে না ফলে একাডেমি ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থমকে যাবার মতো । খুব শীঘ্রই উপাচার্য নিয়োগ না হলে বিশ্ববিদ্যালয় অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী লোকমান হোসেন বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় এভাবে গুরুত্বপূর্ণ ৫টি পদ ছাড়া চলতে পারেনা। এটা সত্যিই আমাদের জন্য বেদনাদায়ক।
উচ্চশিক্ষার এই প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদ শূণ্য থাকায় যেমন শিক্ষার্থীদের হতাশ করছে তেমনি জাতির কাছেও এটা একটি উদ্বেগের বিষয়।

তিনি আরও বলেন,আমরা শিক্ষার্থীরাও প্রশাসনিক কাজে নানা জটিলতায় ভুগছি যেমন সার্টিফিকেট, মার্কসিট উঠানো নিয়ে জটিলতা।পাশাপাশি একাডেমীক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে। সেইজন্য আমাদের সেশনজটের আশঙ্কা হচ্ছে।

তিনি এ অবস্থার পরিত্রাণ চেয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী বান্ধব উপাচার্য দ্রুত নিয়োগ দিবেন বলে আশাব্যক্ত করেন।



সংবাদ প্রেরক দ্য ক্যাম্পাস টুডে’র ববি প্রতিনিধি ফারিয়া জাহান।



 

বশেমুরবিপ্রবি: ভর্তি ফর্ম বিক্রি করে আয় ১২ কোটি টাকা!

বশেমুরবিপ্রবি টুডেঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে সকল ইউনিটে মোট ১ লক্ষ ৩১ হাজার ১১২ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। প্রতিটি ভর্তি ফর্মের মূল্য ৯০০ টাকা। এতে ভর্তি ফর্ম বিক্রি করে বিশ্ববিদ্যালয়টির আয় হয় প্রায় ১১ কোটি ৮০ লক্ষ ৮’শ টাকা।



ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.bsmrstu.edu.bd) পাওয়া যাবে।



আবদেনকারীদের মধ্যে, এ ইউনিটে ২২হাজার ৩শ’ ৩১ জন, বি ইউনিটে ১২ হাজার ৯শ’ ৯৯ জন, সি ইউনিটে ২১হাজার ১১৫ জন, ডি ১৪ হাজার ৯শ’ ৭৭ জন, ই ইউনিটে ২৫ হাজার ৫শ’ ৫৪ জন, এফ ইউনিটে ১১ হাজার ৩শ’ ৩২ জন, জি ইউনিটে ১২হাজার ৬শ’ ৪২ জন, এইচ ইউনিটে ৯ হাজার ২শ’ ৯৩ জন এবং আই ইউনিটে ৮শ’ ৬৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছে।

এবারের ভর্তি পরীক্ষায় নয়টি ইউনিটের অধীনে ৩৪টি বিভাগে ২ হাজার ৭শ’ ৪৫ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানো হবে। অতএব প্রতিটি আসনের বিপরীতে প্রায় ৪৮ জন শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

প্রসঙ্গত, আগামী ১ নভেম্বর এফ এবং জি, ২ নভেম্বর ডি এবং ই, ৮ নভেম্বর সি এবং এইচ, ৯ নভেম্বর এ, বি এবং আই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভর্তি পরীক্ষা’ স্থগিত!

ববি টুডেঃ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের স্নাতক ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনিবার্য কারণবশত সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার দপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে সম্ভাব্য ভর্তি পরীক্ষা পরবর্তী তারিখ এখনও পুনঃনির্ধারণ করা হয় নি।

রবিবার (১৩ অক্টোবর) কোর কমিটির সদস্য প্রফেসর ড. মহসিন উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ছবি: প্রেস রিলিজ

কোর কমিটির সদস্য প্রফেসর ড. মহসিন উদ্দিন বলেন, “আজ (রবিবার) ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন আহ্বায়ক কমিটি , কোর কমিটি ও সকল বিভাগের চেয়ারম্যানদের নিয়ে এক জরুরী মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিটিয়ে ২০১৯-২০ সেশনের স্নাতক ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে ভর্তি পরীক্ষার পরবর্তী সম্ভাব্য তারিখ এখনও ঠিক হয় নি বলে জানান তিনি।”