যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ৮ দফা দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি

ওয়াশিম আকরাম, যবিপ্রবি প্রতিনিধি


যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারসহ ৮ দফা দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে আমরণ অনশন কর্মসূচি করে।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের সভায় ডিসিপ্লিন কমিটির সুপারিশে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে ছয় শিক্ষার্থীকে।

এদিন আমরণ অনশনরত আজীবন বহিস্কৃত শিক্ষার্থী অন্তর দে শুভ জানান, জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কে ধ্বংস করার নীল নকশা এঁকেছে এই স্বৈরাচারী ভিসি আনোয়ার হোসেন, আমরা যতবারই প্রতিবাদ করতে গিয়েছি ততবারই আমাদের বহিষ্কার হতে হয়েছে, তবে আজ দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, তাই আমরা শহীদ মিনারে আমরণ অনশনে বসেছি।

আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ে রিটেক ফি থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে অনেক বৈষম্যের শিকার হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়া যারা অসামঞ্জস্যতা নিয়ে কথা বলছে তাদেরকে বিভিন্নভাবে বারেবারে বহিষ্কার করা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- অনতিবিলম্বে অবৈধ বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে, প্রশাসনের সেচ্ছাচারিতা ও স্বৈরচারী আচরণ বন্ধ করতে হবে, ল্যাব রিটেক ও কোর্স রিটেকের জরিমানা বাতিল করতে হবে, ইম্প্রুভিং সিস্টেম চালু করতে হবে, ক্লাসে উপস্থিতি (৬০-৭০)% হলে পাচ হাজার টাকা জরিমানা এবং (৫০-৬০)% হলে দশ হাজার টাকা জরিমানা বানিজ্য বন্ধ করতে হবে, রিটেক কোর্সের সিজিপিএ ৪ কাউন্ট করতে হবে, চাকুরীর নিয়োগের ক্ষেত্রে যবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে যে অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতা হয়েছে তার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা যে দাবিগুলো নিয়ে আন্দোলন করছে তার বেশিরভাগই অনেক আগেই মেনে নেয়া হয়েছে। রিটেক ফি ৭৫ শতাংশ মওকুফ করে দেয়া হয়েছে। প্রায় প্রত্যেকটা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে আমাদের গ্রাজুয়েটরা রয়েছেন। তারপরও যদি তাদের কোন দাবি দাওয়া থাকে, তারা যদি আমাকে জানাই আমি বিষয়গুলো বিবেচনায় নিবো, এবং আমি চাই আমার শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে আসুক।

Scroll to Top