অবশেষে জয় পেল পাকিস্তান

অবশেষে জয় পেল পাকিস্তান

ক্রীড়া প্রতিবেদক

তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের দেওয়া ১৯১ রানের টার্গেট পূরণ করতে পারলো না স্বাগতিক ইংল্যান্ড। শেষ দুই ওভারের চমৎকার বোলিংয়ে ৫ রানের নাটকীয় জয় দিয়ে ইংল্যান্ড সফর শেষ করলো পাকিস্তান দল। প্রথম টি-২০ বৃষ্টিতে পন্ড হওয়ায় তাই ১-১ সমতায় সিরিজ ভাগাভাগি করে নিল দুই দল।

এ দিনও টস ভাগ্য ছিলো মরগানেরই, টসে জিতে তাই পাকিস্তানকেই ব্যাটিংয়ে পাঠান তিনি। সফলতা আসে দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে, দলীয় ২ রানেই সাজ ঘরে ফিরেন ফখর জামান। এর পর ক্রিজে আসেন অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান হায়দার আলী, কাপ্তান বাবর আজমকে নিয়ে ৩০ রানের জুটিটা ভাঙার পর অভিজ্ঞ হাফিজের সাথে হায়দার গড়েন ১০০ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ৫৪ রানে ক্রিস জর্ডানের বলে বোল্ড হওয়ার আগে হায়দার গড়েন অনন্য এক কীর্তি, পাকিস্তানের হয়ে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-২০ তে অভিষেক ম্যাচেই অর্ধশতক পূর্ণ করার মাইলফলক গড়েন তিনি।
দলীয় ১৩২ রানে হায়দার ফিরে গেলেও হাল ঠিকই ধরে রেখেছিলেন অভিজ্ঞ হাফিজ। প্রথমে দেখেশুনে ব্যাট করলেও সুযোগ মতো চার-ছয়ের পসরা সাজিয়েছেন তিনি। চারটি বাউন্ডারি ও ছয়টি ওভার বাউন্ডারিতে ১৬৫.৩৮ গড়ে ৫২ বলে ৮৬ রানে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে তাই পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯০ রান। আর এতেই জয়ের ভীত পেয়ে যায় সফরকারীরা।

দ্বিতীয় টি-২০ তে পাকিস্তানের দেওয়া ১৯৬ রানের টার্গেটে ৫ বল হাতে রেখেই ইংল্যান্ড জয় তুলে নিলে অনেকেই ভেবেছিল এ ম্যাচটাও ইংল্যান্ডের দিকে যাবে। তবে ক্রিকেট এমন এক খেলা, যেখানে পরিসংখ্যান খাটে না। আলাদা আলাদা দিনে যেকোনো দলই ফেবারিট,আর টি-২০ তে তা আরো বাস্তব ।
পাকিস্তানের দেওয়া ১৯১ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে, আগের দুই ম্যাচের মতন এই ম্যাচেও ব্যর্থ ওপেনার বেয়ারস্টো। ব্যক্তিগত ০(শূন্য) রানেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। এরপর একে একে একই পথ অনুসরণ করেন ডেভিড মালান ও অধিনায়ক মরগান। আশা জাগিয়েও ইংল্যান্ড শিবিরকে হতাশায় ডুবিয়েছেন ওপেনার টম ব্যান্টনও। ৬৯ রানেই নেই টপ অর্ডারের চার জন ব্যাটসম্যান। বিলিংস,গ্রেগরি ও জর্ডানদের নিয়ে খন্ড খন্ড জুটিতে আশা দেখিয়ে যাচ্ছিলেন মঈন আলী। কিন্তু ১৯ তম ওভারে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৬১ রান করা মঈন ফিরে গেলে পরাজয় নিশ্চিত হয় স্বাগতিকদের। শেষ দুই ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিলো টাইট বোলিং আর ইংলিশদের দরকার ছিলো মাত্র ২০ রান। কিন্তু ১৯ ও ২০ তম ওভারে রিয়াজ ও হারিস রউফের নজরকাড়া বোলিংয়ে শ্বাসরুদ্ধকর ৫ রানের জয় পায় সফরকারীরা। শাহীন আফ্রিদি ও ওয়াহাব রিয়াজ নেন দুইটি করে উইকেট, আর ইমাদ ওয়াসিম ও হারিস রউফ নেন ১ টি করে উইকেট। মূলত দলীয় পারফরম্যান্সেই জয় পায় পাকিস্তান। ইংল্যান্ড সফরকালে এটিই পাকিস্তানের একমাত্র জয়। অনবদ্য খেলা দেখিয়ে ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হয়েছেন মোহাম্মদ হাফিজ।

এরই মাধ্যমে করোনা কালে আরও একটি সিরিজ সফলভাবে সমাপ্ত করল ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। তবে ক্রীড়া প্রেমীদের জন্য সুখবর, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকেই আবারো মাঠে গড়াবে ক্রিকেট। এবার স্বাগতিক ইংল্যান্ড আতিথিয়তা করবে অস্ট্রেলিয়ার। ৪,৬ ও ৮ সেপ্টেম্বর হবে দুই দলের মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। এরপর ১১,১৩ ও ১৬ সেপ্টেম্বর তিনটি ওয়ানডে খেলবে দুই দল।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *