অশ্লীল প্রেমালাপ ফাঁস হওয়া সেই ইবি শিক্ষকের জিডি

অশ্লীল প্রেমালাপ ফাঁস হওয়া সেই ইবি শিক্ষকের জিডি

ইমানুল সোহান
ইবি প্রতিনিধি


ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছাত্রীর সঙ্গে অশ্লীল প্রেমালাপের সেই অডিও ক্লিপ নিজের নয় বলে দাবি করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। তবে ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলেও তার পরিচয় জানা যায়নি।

শুক্রবার সামাজিক নিরাপত্তা চেয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় করা সাধারণ ডায়েরিতে (জিডি) এ দাবি জানান তিনি। তার জিডি নং- ১৪৬।

জিডিতে বলা হয়, বিগত তিন চার দিন ধরে অজ্ঞাতনামা স্বার্থান্বেষী বিশেষ মহল সুপরিকল্পিত তথ্যপ্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অপব্যবহার করে আমার মান-সম্মানের বিশেষ ক্ষতি সাধন করে তো সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন অপমান-অপদস্থ ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে। ডিজিটাল সামাজিক যোগাযোগ প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে মানহানিকর ও বানোয়াট তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করে আমার পারিবারিক সামাজিক ও পেশাগত ক্ষেত্রে ক্ষতিসাধন করার গভীর ষড়যন্ত্র অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

জিডিতে আরো বলা হয়, অডিও সম্পাদনা প্রযুক্তির মাধ্যমে আমার কন্ঠস্বর হুবহু নকল করে একটি আপত্তিকর কথোপকথন অডিও ক্লিপ ফেসবুকে জাল আইডি থেকে ছড়িয়ে আমার মান-সম্মান ধূলিসাৎ করেছে। তাদের এই ষড়যন্ত্রে আমার সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে আমি শঙ্কিত।

কে বা কারা আমাকে নিঃশেষ করে ফেলার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে সে সম্পর্কে আমি সম্যক অবগত নয়। ছদ্দবেশী ধরনের অপচেষ্টা কেবল আমার মান-সম্মান নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের মান মর্যাদা সর্বোপরি শিক্ষক সমাজের ভাবমূর্তি অনুষ্ঠিত করেছে।

এছাড়া জিডিতে এ বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে অজ্ঞাতনামা ডিজিটাল তথ্য প্রচার ও প্রকাশের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রদানের অনুরোধ করেন তিনি।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘এটা আমার কন্ঠ নয়। এই অডিওর সাথে আমমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমার পেশাগত ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার জন্য একটি কুচক্রি মহল আমার কন্ঠ এডিট করে এই ঘৃণ কাজ করেছে। এবিষয়ে আমি ঝিনাইদহ থানায় একটি জিডি করেছি।’

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ও এক নারী শিক্ষার্থীর অশ্লীল প্রেমালাপের দুটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। তবে ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলেও তার পরিচয় জানা যায়নি।

বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি’র পরিচালকের দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একইসাথে আগামী সাত দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর কারণ দর্শাতেও বলা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *