খুবি’র অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা নিয়ে ডিনদের সিদ্ধান্তে উৎকন্ঠায় শিক্ষার্থীরা

| ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক | Avatar

ক্যাটাগরি : ,
ভিসির শেষ কামড়ের বলি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক, দুই ছাত্র!

খুবি প্রতিনিধি

বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষাকার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবির) একাডেমিক কার্যক্রম। অনলাইন ক্লাসের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন শিক্ষকরা। চলতি বছরে সেপ্টেম্বরের ১ তারিখে রেজিষ্টেশনের মাধ্যমে দ্বিতীয় সেমিস্টারের অনলাইন ক্লাস রীতিমতো চলমান অবস্থায় আছে।

ইতিমধ্যে জানা গেছে গত ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্কুলের সম্মানিত ডিনবৃন্দের সাথে একাডেমিক বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। অনুষ্ঠিত সভায় সবার সম্মতিক্রমে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্তগুলো নোটিস হিসেবে প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

১. চলতি দ্বিতীয় টার্মের অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার বিষয়ে প্রতিটি ৩ ক্রেডিট ক্লাস নেওয়ার জন্য সপ্তাহে ১ ঘন্টা ৩০ মিনিটের ২ টি ক্লাস নেওয়া যাবে ও সাকুল্যে ২০ টি ক্লাস নিতে হবে।

২. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম যথারীতি শুরু হলে অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যে ১ম টার্মের Review / Sessional/ Practical Class সম্পূর্ণ করতে হবে তারপর ২ সপ্তাহ PL চলবে এবং PL শেষে যথারীতি ২৮ দিনের মধ্যে পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।

৩. প্রথম টার্মের পরীক্ষা শেষে ৪ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় টার্মের Review / Sessional / Practical Class সম্পন্ন করতে হবে তারপর ২ সপ্তাহ PL চলবে এবং PL শেষে যথারীতি ২৮ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় টার্মের পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে।

৪. যদি কোনো ডিসিপ্লিনের Sessional / Practical Class অনলাইনে সম্পন্ন করার সুযোগ থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিন অনলাইনে Sessional / Practical Class সম্পন্ন করতে পারবে।

এই বিষয়ে খুবির শিক্ষার্থীদের উপর বাড়তি একাডেমিক চাপ পড়লেও বেশ কিছু শিক্ষার্থী এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে। আবার কিছু শিক্ষার্থীর ভিতরে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী সুমন আলী ক্যাম্পাস টুডেকে বলেন, “এমনিতে করোনার সময়ে অনেক সমস্যার মধ্যে আছি। নিয়মিত অনলাইন ক্লাসের চাপে দিশেহারা অবস্থা। পরপর দুইটা টার্ম ফাইনাল দেওয়া অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এ যেন মরার উপরে খাড়ার ঘাঁ।”

ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আক্তারুল ইসলাম ক্যাম্পাস টুডেকে বলেন, “”যদিও আমাদের একটু বেশি চাপ হয়ে যাবে কিন্তু আমাদের যাতে সেশনজট না হয় সেই বিষয় মাথায় রেখে খুবি কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানায়।””

রসায়ন ডিসিপ্লিনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস টুডেকে তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের রসায়নের পড়াশুনা ৭০%সেশনাল রিলেটেড। প্রতি টার্মে সেশনাল থাকে ৪-৫ টা করে, একেকটা সেশনাল করতে প্রায় ১মাস করে সময় লাগে।সেখানে এক মাসে থিওরি ও সেশনাল কখনো সম্ভব না। যদি এই নিয়মে টার্ম ফাইনাল হয় তাইলে শুধু সেশন জটের হাত থেকেই হয়ত রক্ষা পাবো কিন্তু কিছুই শিখতে পারব না। আর তার পরিনাম আমরা জব সেক্টরে যেয়ে বুঝতে পারব। কর্তৃপক্ষের এ সিন্ধান্তটি যথোপযুক্ত হয়নি।”

তবে মতবিনিময় সভায় ক্যাম্পাস খোলা নিয়ে কিছু বলা হয়নি। সম্পূর্ণ সরকারের সিদ্ধান্ত উপরে নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

সংবাদটি শেয়ার করুন
fb-share-icon
Tweet