জীবে প্রেম করার মধ্য দিয়ে কিভাবে ঈশ্বরের সেবা করা যায়?

জীবে প্রেম করার মধ্য দিয়ে কিভাবে ঈশ্বরের সেবা করা যায়?

৬ষ্ঠ শ্রেণি হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট নমুনা উত্তর । ৬ষ্ঠ শ্রেণি এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ । হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট ২০২১ । জীবে প্রেম করার মধ্য দিয়ে কিভাবে ঈশ্বরের সেবা করা যায় তা তোমার অথবা তোমার পারিবারিক জীবনের জীব সেবার কোন অভিজ্ঞতা বর্ণনার মাধ্যমে উপস্থাপন কর।

প্রশ্নঃ জীবে প্রেম করার মধ্য দিয়ে কিভাবে ঈশ্বরের সেবা করা যায় তা তোমার অথবা তোমার পারিবারিক জীবনের জীব সেবার কোন অভিজ্ঞতা বর্ণনার মাধ্যমে উপস্থাপন কর।

জীব সেবার প্রয়োজনীয়তা-

উত্তর: ঈশ্বর সর্বশক্তিমান। তিনি এক ও অদ্বিতীয়া। তার মধ্যে রয়েছে অসীম শক্তি। তিনি শাশ্বত,নিত্য ও অবিনশ্বর। তিনি বিশ্বের সকল জীব ও প্রাণীর মধ্যে আত্মারূপে অবস্থান করেন। তিনি প্রতিটি জীবের মধ্যে বিরাজমান । জীবের সেবা করার মাধ্যমে ঈশ্বরের সেবা করা যায়।

সেজন্যই স্বামী বিবেকানন্দ যথার্থই বলেছেন, “জীবে সেবা করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর”।

তাই আমরা যদি তাঁর সৃষ্ট জীবের সেবা করতে পারি তাহলে সেই সেবা ঈশ্বরের প্রতি করা হয়। আমরা জীবের সেবা করে তথা, বিশ্বজগতে প্রতিটি জীবের সেবা করে ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করতে পারি আর এই সেবার মাধ্যমে বিশ্ব জগতের প্রতিটি জীবের কল্যাণ সাধন হবে এবং সমগ্র পৃথিবী সুখে শান্তিতে ভরে উঠবে।

প্রকৃত ভক্তরা সর্বজীবে দয়া করে। শুধু ঈশ্বরের সন্তুষ্টিই নয় বরং মানুষ হিসেবেও আমাদের জীবের প্রতি একটা দায়িত্ব রয়েছে। জীবন সেবার প্রয়োজনীয়তা দেখে নয় বরং মানবিক গুণাবলি থেকেই আমাদের জীব সেবা করা উচিত।

আমার পারিবারিক জীবনে জীবসেবার অভিজ্ঞতা নিচে উপস্থাপন করা হলো:

জীবের সেবা করলে ঈশ্বর সন্তুষ্ট হোন। ঈশ্বরের সন্তুষ্টি অর্জন করা একজন ভক্ত হিসেবে আমাদের প্রধান কর্তব্য। আমরা আমাদের পরিবারের বাবা-মা, ভাই-বোন, সহ অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে বসবাস করি । আমাদের পরিবারে বয়স্করা থাকেন । তারা বার্ধক্যজনিত কারণে অসহায় হয়ে পড়েন । সেক্ষেত্রে আমরা যদি তাদের সাথে ভালো আচরণ করে তাদের সেবা-যত্ন করি, তাহলে ঈশ্বর আমাদের প্রতি খুশি হবেন ।

প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে হাঁটাহাঁটির অভ্যাস রয়েছে আমার। সেদিনও বরাবরের মতো হাঁটতে বেরিয়েছি। দিনটি রবিবার ছিল। হঠাৎ রাস্তার পাশে দেখতে পেলাম দুটো কুকুর ছানা ও পাশেই তাদের মা মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মা কুকুরটার শরীরে মাংস প্রায় নাই বললেই চলে। হয়তো অনেকদিন কিছু খায় নি তাই শেষে বাচ্চাদের রেখেই না ফেরার দেশে চলে যেতে হলো। পিঠের মধ্যে একটা লাটিকাঘাতের গভীর চিহ্নও দেখতে পেলাম। কেউ খুব জোরে লাটি দিয়ে পিঠে আঘাত করেছে এটা স্পষ্ট।

ছানা দুটোকে বাড়িতে আনার পর আমার ঘরেই রাখলাম। ওদের পূর্ণাঙ্গ যত্ন নিলাম আমি। যতটা সম্ভব পারা যায় ওদেরকে সময় দিলাম। ওদেরকে নিজের হাতে খাইয়েও দিতে লাগলাম। প্রতিমাসের টিকার কোর্স সম্পন্ন করলাম। ধীরে ধীরে ওরা বড় হতে লাগলো। দৌড়াদৌড়ি,লাফালাফি এবং ডাকাডাকি করতে লাগলো দিনের বেশিরভাগ সময়ই ওদের সাথে কেটে যেত আমার। আমি রাম-সাম বলে ডাকলেই ওরা দৌড়ে চলে আসতো যেন আমিই ওদের মা-বাবা আর ওরা আমারই বাচ্চা।

আমিও ওদেরকে বাঁচাতে পেরে খুব খুশি। সেজন্য আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ।

কালিমা তায়্যিবা ও কালিমা শাহাদাতের আলোকে প্রতিবেদন

১ম সপ্তাহের ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা এ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ | Class 6 Bangla Assignment Answer 2021

সতর্কতা: উপরোক্ত নমুনা উত্তরগুলো দেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য হল, শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত বিষয়ের উপর ধারণা দেওয়া । ধারণা নেওয়ার পর অবশ্যই নিজের মত করে এসাইনমেন্ট লিখতে হবে । অনুগ্রহপূর্বক হুহহু লিখবেন না। এই উত্তর শুধু মাত্র একটি নমূনা উত্তর। করোনাকালে সুস্থ থাকুন এই কামনা। ধন্যবাদ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *