জেএসসি-এসএসসিতে না পেয়েও জিপিএ-৫ পেল ১৭০৪৩ শিক্ষার্থী!
টিসিটি টুডে
করোনা পরিস্থিতেতে পরীক্ষা ছাড়াই জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়েছে।যেখানে জেএসসির ২৫ শতাংশ ও এসএসসির ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হয়।
তবে ফলাফলের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে জেএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ-৫ না পেয়েও ১৭ হাজার ৪৩ জন শিক্ষার্থীকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ দেয়া হয়েছে। অপর দিকে জেএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ ফাইভ পাওয়া ৩৯৬ জন শিক্ষার্থীকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ দেয়া হয়নি।
আজ (৩০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন , ‘গত বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল তৈরির জন্য সাবজেক্ট ম্যাপিং করায় জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলেও এবার ৩৯৬ জন জিপিএ-৫ পায়নি। সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের কারণে জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে এমনটি হয়েছে। যখন ম্যাপিং করা হয়েছে, তখন জিপিএ-৫ এর জন্য যে নম্বর দরকার ছিল, তা তারা পাননি। আবার বিষয়ভিত্তিক ম্যাপিং করায় অনেকে আগের দুই পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পেলেও এবার সেটি অর্জন করেছেন।’তবে ,জিপিএ-৫ না পাওয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী বেশি।
তিনি আরও বলেন , এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি ও মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সবাই পাস করেছে। গত বছর গড় পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
পরিসংখ্যান বলছে, জেএসসি এবং এসএসসিতে জিপিএ-৫ না পেয়ে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৫৭০ জন। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ১৫৭ জন।
অপরদিকে, জেএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে ২০১৯ সালের এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাননি এমন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজার ৮৬৫ জন। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ৫২ হাজার ৬৩৪ জন।
এদিকে মহামারি পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ছাড়াই জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করায় এবার পাসের হার শতভাগ।
