সাত মাস পর আনুষ্ঠানিক ক্রিকেটে ফিরছে মিরপুর

সাত মাস পর আনুষ্ঠানিক ক্রিকেটে ফিরছে মিরপুর

মো মিনহাজুল ইসলাম


অপেক্ষার অবসান , অবশেষে আজ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে তামিম- মাহমুদউল্লাহরা পেতে যাচ্ছেন সত্যিকার ক্রিকেটের স্বাদ। ত্রিদলীয় ওয়ানডে টুর্নামেন্ট ‘বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ’ দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরছেন দেশের শীর্ষ ও এইচপি দলের ক্রিকেটাররা। শিরোপার লড়াইয়ে আজ দুপুর দেড়টায় আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে লড়বেন মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকরা। আর একই সাথে ঠিক সাত মাস পর আনুষ্ঠানিক খেলায় ফিরছে মিরপুর। সর্বশেষ ১১ মার্চ জ্বলেছিল শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট।
তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নাজমুল হোসেন শান্ত। তিন দলের তিন অধিনায়ক গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ট্রফি উন্মোচনে অংশ নেন। ট্রফি উন্মোচনের আনুষ্ঠানিকতা সেরে তারা জানান, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই মাঠে লড়বেন তারা।

অভিজ্ঞতা, তারুণ্য ও আত্মবিশ্বাসে প্রতিটি দলই ভারসাম্যপূর্ণ। নিজেদের মধ্যে খেলা হলেও তীব্র প্রতিদ্বন্ধীতার আশা করছেন জাতীয় দলের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
করোনা বিরতি কাটিয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দিয়ে টাইগারদের ফেরার কথা ছিল মাঠে। কিন্তু কোয়ারেন্টিন ইস্যুতে শ্রীলঙ্কা সফর স্থগিত হওয়ায় সেটি হয়নি। তবে ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরার অপেক্ষা খুব দীর্ঘ হচ্ছে না। ঘরোয়া আয়োজনের জন্য মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন। জানালেন ক্রিকেটাররা সবাই মুখিয়ে আছেন টুর্নামেন্ট খেলতে।’

সিনিয়র দুই অধিনায়কের চেয়ে একটু বেশিই আত্মবিশ্বাসী শান্ত। মুশফিকুর রহিমের মতো একজন ব্যাটসম্যানকে দলে পাওয়ায় বাড়তি ভালো লাগা তার। তরুণ খেলোয়াড় বেশি থাকায় দলের ফিল্ডিং নিয়ে নির্ভার শান্ত।

‘যদি দেখেন প্রত্যেকটা টিমই ভালো। প্রত্যাশা অনেক হাই, আমাদের যে টিমটা হয়েছে অবশ্যই আমাদের আমাদের পরিকল্পনা থাকবে চ্যাম্পিয়নশিপের জন্যই খেলার। আশা করছি যদি ন্যাচারাল গেমটা আমরা খেলতে পারি ভালো কিছুই হবে।’

মুশফিককে এই দলের অধিনায়ক করতে চেয়েছিল বিসিবি। কিন্তু দায়িত্ব রাজি না হওয়ায় শান্তর কাঁধেই পড়েছে দলকে পরিচালনা করার ভার। মি. ডিপেন্ডেবলকে পেয়ে ব্যাটিং নিয়ে চিন্তামুক্ত তরুণ অধিনায়ক, ‘এটা তো অনেক বড় একটা ব্যাপার’।
দেখে নেওয়া যাক তিন দলের একাদশ:
মাহমুদউল্লাহ একাদশ: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), নাঈম শেখ, লিটন দাস, মুমিনুল হক, মাহমুদুল হাসান, নুরুল হাসান সোহান, সাব্বির রহমান, ইমরুল কায়েস, হাসান মাহমুদ, ইবাদত হোসেন, রুবেল হোসেন, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, মেহেদী হাসান মিরাজ, রকিবুল হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।
নাজমুল একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, সাইফ হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মুশফিকুর রহিম, তৌহিদ হৃদয়, ইরফান শুক্কুর, পারভেজ হোসেন ইমন, তাসকিন আহমেদ, আল-আমিন হোসেন, আবু জায়েদ রাহি, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, নাসুম আহমেদ, রিশাদ হোসেন।

তামিম একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মো: মিঠুন, শাহাদাত হোসেন দীপু, ইয়াসির আলি চৌধুরী, এনামুল হক বিজয়, মো: সাইফউদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, শেখ মেহেদী হাসান, তাইজুল ইসলাম, মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *