সেশনজট সমস্যাসহ নানা সংকটে জর্জরিত বেরোবি

সেশনজট সমস্যাসহ নানা সংকটে জর্জরিত বেরোবি

উত্তরের মানুষের দীর্ঘদিনের আন্দোলন- সংগ্রামের ফসল রংপুর বিভাগের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর। প্রতিষ্ঠার যুগের বেশি সময় পার করলেও দীর্ঘ সময় নানা আন্দোলন-সংগ্রাম আর সংকটে জর্জরিত এই বিদ্যাপীঠ।এরই মধ্যে চারজন উপাচার্যের আমল শেষ হয়েছে কিন্তু কাঙ্ক্ষিত অবস্থানে পৌঁছাতে পারেনি বেরোবি।

শিক্ষার্থীদের কাছে সেশনজট সমস্যা প্রকট।অবকাঠামোগত উন্নয়নেও অনেক পিছিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়।পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা নেই,অপর্যাপ্ত ক্লাসরুম,সেমিনার-লাইব্রেরিতে বই সংকট,নেই টিএসসি-অডিটোরিয়াম, গবেষণার ল্যাবরেটরি,গবেষণার প্রয়োজনীয় বরাদ্দসহ বিভিন্ন সংকটে জর্জরিত এই বিশ্ববিদ্যালয়।এ অবস্থান থেকে উত্তরণে একজন উপাচার্যের ভূমিকা অপরিসীম বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা।

এরই মধ্যে গত ১৪-০৬-২০২১ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ।দায়িত্ব নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতির হাওয়া ভবন খ্যাত ঢাকাস্থ লিয়াজো অফিস বন্ধ করেছেন। এনেছেন প্রশাসনিক দায়িত্বের নানা পরিবর্তন। বর্তমান এই উপাচার্যের কাছে নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা।নতুন এই উপাচার্যের কাছে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন চাওয়া-পাওয়ার কথা তুলে ধরছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্য ক্যাম্পাস টুডে প্রতিনিধি রবিউল হাসান সাকীব।

‘সেশন জট কমানো’ মৌলিক চাহিদার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু বেরোবি

‘সেশন জট কমানো’ হলো বর্তমানকালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক চাহিদার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু।এটি এ অঙ্গনের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রথম ও প্রধানতর আকুলতা। বিগত এক যুগেও কোনো প্রশাসন আমল সেশন জটকে এগিয়ে নিতে পারেনি। একটি কঠিন সত্য হলো একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমার দেখা দুই ভিসি মহোদয়ের শাসনামল নিন্দিত হয়েছে কেবলমাত্র এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের শ্বাস-ইন্দ্রিয় বুঝতে পারেনি বলে। শিক্ষার্থীদের মৌলিকতার জায়গাটিতে এ দুই মহোদয়ের কেউই নাড়া দিতে পারেননি ফলে শিক্ষার্থীরাও ওভাবে করে তাঁদেরকে মননে রাখেননি।

নানা সংকট নিয়ে একযুগ পূর্ণ করলো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

বেরোবির মৌলিকতায় ক্রমান্বয়ে অগ্রভাগে রয়েছে- একাডেমিক ভবন, শিক্ষক বৃদ্ধি, নতুন আবাসিক হল, প্রবেশ গেট, অডিটেরিয়াম, ইন্টারনেট সংযোগ উন্নতকরণ সহ আরও অনেকগুলো বিষয়াদী। আমরা ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক যেভাবেই নেই না কেন আমি বিনয়ের সাথে দেখাতে চাই বিগত ভিসি স্যার ঢাকাস্থ লিঁয়াজো অফিস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জনবহুল ও দক্ষ প্রশাসনকে পরিচালনা করে নজির স্থাপন করেছেন যে ভাইস চ্যান্সেলর স্যার চাইলে অকল্পনীয় অনেক কিছুই সম্ভব।

প্রত্যাশা রাখি আমাদের এবারের ভিসি মহোদয় সত্যিকার অর্থেই এ অঙ্গনের শিক্ষার্থীদের মৌলিকতাকে অর্থাৎ সেশনজট নিরসনকে প্রাধান্য দেবেন আর এরই মধ্যে দিয়েই আসলে তিনি জনমনে নন্দিত হয়ে থাকবেন সেটিও প্রার্থনা।

সোহানুর রহমান সোহান,
ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ।


“কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ চাই”

২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রংপুর বিভাগের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়,বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।এই বিশ্ববিদ্যালয় তথাকথিত অনেক সংগঠন থাকলেও নাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ।যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবী তুলে ধরা ও মুক্তমতের চর্চার বড় অন্তরায়।ফলে শিক্ষার্থীদের সংকটকালীন সময়ে পাশে দাঁড়ানোর মত পর্যাপ্ত নেতৃত্বের অভাব, তাই সকল ক্ষেত্রে সহসা মেনে নিতে হয় প্রশাসনের চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্ত সমূহ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ছাত্র সংসদের নামে ভর্তির সময় নির্দিষ্ট একটি ফি জমা নেওয়া হয় সেই ফি কোথায় যায়,কোন কাজে ব্যবহৃত হয় তা অজানা। এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের অতীব প্রয়োজন।শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য ৯টি বাস থাকলেও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় নিতান্তই কম। মেডিকেল সেন্টারে নেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। একটি অডিটোরিয়াম ও দৃষ্টিনন্দন প্রধান ফটক এখন শিক্ষার্থীদের প্রানের দাবী। তিনটি আবাসিক হল থাকলেও রয়েছে প্রকট আবাসন সমস্যা। ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের থাকতে হয় বাসা বা মেস ভাড়া করে।

উত্তরবঙ্গের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী নিম্ন আয়ের পরিবারের। এই মেস ভাড়ার টাকার জন্য হিমশিম খেয়ে হয় শিক্ষার্থীদের।এই প্রকট সমস্যা গুলো কাটিয়ে উঠতে দরকার কার্যকরী উদ্যোগ আশা করি তা এই বর্তমান উপাচার্য স্যারের সময় আমরা দেখতে পারব।

রুবেল হোসেন আদনান,
লোকপ্রশাসন বিভাগ।


“চাই শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয়”

এক যুগ হতে চললো আমাদের ছোট্ট এই ক্যাম্পাসটির। এই সময়ে বেরোবি পেয়েছে চারজন উপাচার্যকে এবং সম্প্রতি পঞ্চম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ।বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে হাজারো সমস্যায় জর্জরিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। সেশনজট, আবাসন ও পরিবহন সংকট, শিক্ষকস্বল্পতা, ক্লাসরুম ও ল্যাবের অপ্রতুলতা, গবেষণায় অনগ্রসরতা, দুর্নীতি, শিক্ষক ও প্রশাসকদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও সমন্বয়হীনতা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বেরোবিতেও প্রকট আকার ধারণ করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সেক্টরের অংশীজনেরা নিজেদের অধিকার আদায়ে সবসময়ই সোচ্চার থাকলেও সার্বিক উন্নতি হয়নি শিক্ষার্থীদের। নবনিযুক্ত উপাচার্য উত্তরবঙ্গের লাখো মানুষের স্বপ্ন ও প্রত্যাশার কেন্দ্র এই বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীবান্ধব করবেন, সেশনজট ও আবাসন সংকটসহ তাদের সকল সমস্যাকে গুরুত্ব দেবেন ও সব ধরনের অধিকার নিশ্চিত করবেন, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে ভারসাম্য আনয়ন করে গতিশীলতা নিশ্চিত করবেন এবং সর্বোপরি একটি উচ্চশিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেরোবি’র সামগ্রিক ভাবমূর্তির উন্নয়ন করবেন- এমন প্রত্যাশা আমাদের সকলের।

মোস্তফা কে মুরাদ আহমেদ,
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।


“মৌলিক সুবিধাগুলোর প্রসার চাই”

বেরোবির শিক্ষার্থীদের জীবনে সেশনজট এক মহামারি তূল্য সমস্যার নাম,যার যাতাকলে পিষ্ট আমাদের জীবন।বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে মৌলিক যেসকল সুযোগ সুবিধা থাকা প্রয়োজন তার অধিকাংশ সুযোগ সুবিধা নেই বেরোবি ক্যাম্পাসে।একদিকে সেশন জট অন্যদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সুবিধা বঞ্চিত এই দুই মিলিয়ে হতাশায় পর্যবসিত আমাদের ক্যাম্পাস জীবন।

একজন যোগ্য এবং দূরদর্শী উপাচার্য হিসেবে বেরোবির বর্তমান উপাচার্য স্যারের কাছে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের চাওয়া অল্প সময়ের মধ্যে সকল বিভাগে বিদ্যমান সেশন জট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের মহামূল্যবান সময় ও মেধা রক্ষা করা এবং একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সকল সুযোগ সুবিধা অতিদ্রুত বেরোবির শিক্ষার্থীদের প্রদান করা।

এছাড়াও পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা, সেমিনার-সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে বই সংকট নিরসন,মেডিকেল সেন্টারের সেবার মান বৃদ্ধিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ আমাদের সময়ের দাবি।করোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করে ক্যাম্পাস মুখী করে তোলার জন্য শিক্ষার্থীদের মানসিক, আর্থিক ও সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় হবে উত্তরবঙ্গের গৌরবের প্রতীক।

হাশেম বাধন,
ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ।


“অবকাঠামো নির্মাণ দ্রুত সমাপ্ত হোক”

উত্তরবঙ্গের শিক্ষাঙ্গনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার নারী জাগরণের অগ্রদূত মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়ার নামে প্রতিষ্ঠিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর এর ৫ম উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ স্যার কে অভিনন্দন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবক হিসেবে মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের কাছে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা অনেক। নতুন ক্যাম্পাস হিসেবে ক্যাম্পাসের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সেশনজটমুক্তকরনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ,শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ,শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন এবং সুস্থ সংস্কৃতির প্রানকেন্দ্র বিনির্মাণে উপাচার্য মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ক্লাস রুম ও নতুন একাডেমিক ভবন নির্মান, ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের নির্মাণ কাজ দ্রুত সমাপ্তি এখন সময়ের দাবী। শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত এর জন্য বাসের সংখ্যা ও মেডিকেল সেন্টারে এ্যাম্বুলেন্স এর সংখ্যা বাড়নো, আবাসিক হলগুলোতে খাবার সমস্যা সমাধান আমাদের প্রাণের দাবী।আশা করি মাননীয় উপাচার্য মহোদয় আমাদের এই প্রত্যাশাগুলো পূরণে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

ধনঞ্জয় কুমার টগর,
রসায়ন বিভাগ।


“নিজস্বতা বজায় থাকুক সবসময়”

একটা সময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হতো অস্থায়ী ক্যাম্পাসে। রংপুর টিচার্স ট্রেনিং কলেজে। তখন হয়তো শিক্ষার্থীরা স্বপ্ন দেখতেন তাদের নিজস্ব ক্যাম্পাসের, নিজস্ব ক্লাসরুমের, নিজস্ব পরিবহনের। যতই বলিনা কেন যেকোন কিছুর নিজের বলতে আলাদা একটা সত্ত্বা আছে। ২০১১ সালে পূরণ হয় তাদের সে স্বপ্ন। নিজস্ব ক্যাম্পাসে বড় হতে থাকে কৃষ্ণচূড়া, দেবদারু, জারুল, সোনালু’রা। দিনে দিনে অনেক বেলা গড়িয়েছে। অনেক কিছুরই স্বাক্ষী হতে হয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। স্বপ্ন ভেঙেছে হাজারবার, আবারো স্বপ্ন দেখেছে, দেখছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত উপাচার্যগণ একজন আরেকজনকে ছাড়িয়ে গেছেন তাদের কৃতকর্মে। খুব সম্ভবত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে আলোচিত, সমালোচিত উপাচার্য ছিলেন প্রফেসর নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ।বিগত সময়গুলোতে হয়তো স্বপ্ন পূরণ হয়েছে কিছু, স্বপ্ন ভেঙেছে। কিন্তু ওই যে বললাম, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বপ্ন দেখতে ভুলে যান না। নতুন অভিভাবক পেয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,অধ্যাপক হাসিবুর রশীদ স্যার৷ উনার দুটি চমকপ্রদ কাজ আমাদের বেশ কৌতুহলী করে তুলেছে। লিঁয়াজো অফিস বন্ধ ঘোষণা এবং সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে অবস্থান। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবক হিসেবে আমাদের চাওয়াগুলো, আমাদের স্বপ্নগুলো আপনাকেই বলবো স্যার।

সেশনজটে জর্জরিত হাজারো শিক্ষার্থীদের মর্মবেদনাগুলো আপনাকেই শুনতে হবে স্যার। এ অভিশাপ থেকে আমরা মুক্তি চাই। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি প্রধান ফটকের নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু করা হোক। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন স্থাপনাগুলো স্বরুপে আসুক। আইন, চারুকলার মতো বিভাগগুলো চালু করা হোক দ্রুত। লাইব্রেরির বইয়ের স্বল্পতা দূর করা হোক। ক্লাসরুম সংকট, আবাসন সংকট, শিক্ষক সংকটসহ হাজারো সংকটকে দূরে ঠেলে দিয়ে সবুজের এ ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীবান্ধব হয়ে উঠুক, যেখানে বুক ভরে তৃপ্তির শ্বাস নিতে পারবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ শিক্ষার্থীরা।

মাহমুদ মিলন,
একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *