স্থূল জন্মহার নির্ণয়ের পদ্ধতি লিখ। জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেলে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর অতিরিক্ত জনসংখ্যার প্রভাব বিশ্লেষণ কর।

স্থূল জন্মহার নির্ণয়ের পদ্ধতি লিখ। জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেলে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর অতিরিক্ত জনসংখ্যার প্রভাব বিশ্লেষণ কর।

স্থূল জন্মহার নির্ণয়ের পদ্ধতি লিখ। জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেলে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর অতিরিক্ত জনসংখ্যার প্রভাব বিশ্লেষণ কর। নবম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ বইয়ের সপ্তম অধ্যায়: জনসংখ্যা থেকে এই প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। ৯ম শ্রেণি ৫ম সপ্তাহ ভূগোল ও পরিবেশ এসাইনমেন্ট । Class 9 Geography and Environment Assignment 5th Week Answer.

উত্তরে যেসকল বিষয়ের দক্ষতা দেখাতে হবে তা হলো-স্থূল জন্মহার নির্ণয়ের পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান, নির্ভুল তথ্য প্রদান, জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি ও প্রাকৃতিক সম্পদের উপর অতিরিক্ত জনসংখ্যার প্রভাব সম্পর্কে নিজস্ব মতামত প্রদানের সক্ষমতা, প্রশ্নের চাহিদা অনুযায়ী উত্তর প্রদানের সক্ষমতা।

স্থূল জন্মহার নির্ণয়ের পদ্ধতি লিখ। জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেলে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর অতিরিক্ত জনসংখ্যার প্রভাব বিশ্লেষণ কর।

উত্তরঃ স্থূল জন্মহার- সাধারণ জন্মহারের চেয়ে স্থূল জন্মহার বহুল প্রচলিত ও গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি। এই পদ্ধতি হাজারে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। কোনো বছরে জন্মিত সন্তানের মোট সংখ্যাকে উত্ত বছরের মধ্যকালীন মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে স্থূল জন্হার নির্ণয় করা হয়।

একে নিমোন্তরূপে দেখানো যেতে পারে-
স্থূল জন্মহার = (কোন বছরের জন্মিত সন্তানের মোট সংখ্যা )/(বছরের মধ্যকালীন মোট জনসংখ্যা ) × ১০০০

স্থূল জন্মহার নির্ণয়ের পদ্ধতি লিখ


প্রাকৃতিক সম্পদের উপর অতিরিক্ত জনসংখ্যার প্রভাবঃ
জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে সরাসরি প্রভাব পড়ে ভূমির উপর । একটি দেশের ভূমি সীমিত হওয়ায় জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ওই দেশে উৎপাদন বৃদ্ধি করার প্রয়োজন দেখা দেয়। বেশি খাদ্য উৎপাদনের জন্য ভূমি অধিক ব্যবহার হয়।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভূমির কিছু ক্ষেত্রে অধিক ব্যবহার নিম্নে দেওয়া হলোঃ
১) বন ও পাহাড় কেটে আবাদি জমি তৈরি।
২) অধিক ফলনের জন্য অধিক হারে সার ও কিটনাশকের ব্যবহার।
৩) অধিক বসতবাড়ি ও গৃহস্থলি কাজে ব্যবহার।
৪) বাণিজ্যকেন্দ্র স্থাপন।
৫) যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বিভিন্ন মাধ্যম তৈরি।

কোনো দেশের ভূমি ব্যবহার সঠিকভাবে করার জন্য জনসংখ্যার ভারসাম্য থাকা দরকার।

আরও দেখুনঃ ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি কাকে বলে? ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণ ও ফলাফল বর্ণনা কর।

পৃথিবীতে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য পানি অপরিহার্য । জনসংখ্যার অতিরিক্ত বৃদ্ধি পানির উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। পৃথিবীর শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ পানি, কিন্তু সকল পানির শতকরা ৯৭ ভাগ লবণাক্ত বা লোনা। তাহলে আমাদের খাবার উপযুত্ত পানি মাত্র শতকরা ৩ ভাগ। পানির ব্যবহার ও ক্ষতিকর দিক নিচে উল্লেখ করা হলো :

১) সেচ কাজের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি উত্তলোন ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া।
২) বেশি পানি উত্তলোনের কারণে সমুদ্রের লোনা পানি ভুগর্ভে প্রবেশ।
৩) তেল ও বর্জ্য রাসায়নিক দ্রব্য পানিতে উন্মুক্তকরণ।

জনসংখ্যা অধিক বৃদ্ধি পেলে উপরিউক্ত কাজগুলো বৃদ্ধি করার প্রয়োজন হয়, যা পানির উপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করে। জলজ ক্ষুদ্র উদ্ভিদ, প্ল্যা্ংটন, কচুরিপানা, শেওলা প্রভৃতি জন্মাতে পারছে না। পর্যায়ক্রমে ছোট মাছ ও বড় মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে জলজ সম্পদ দিন দিন-হ্রাস পাচ্ছে।

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমরা চাইলে এই উত্তরগুলো নিতে পারো বা তোমাদের মত করে লিখতে পারো। ধন্যবাদ।

বিঃদ্রঃ এই কন্টেন্ট শিক্ষামূলক। বিনাঅনুমতিতে যে কেউ ব্যহার করতে পারবেন। করোনাকালে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।

সংবাদটি শেয়ার করুন
fb-share-icon
Tweet

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *