হেক্সা চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় বায়ার্নের

হেক্সা চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় বায়ার্নের

বিশেষ প্রতিনিধি


রবিবার চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে পিএসজির স্বপ্নকে ভেঙে দিয়ে শেষ হাসিটা হাসলো জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন ৷ ফাইনালে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়ে হেক্সা ( ষষ্ঠবার) ইউরোপ সেরার ট্রফি ঘরে তুলল বায়ার্ন মিউনিখ ৷

প্রথমার্ধ সমানে সমান লড়াই করার পরেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। ডি মারিয়া দারুণ সুযোগ পেয়েও ডান পায়ের শট মারেন বারের ওপরে, তেমনি ম্যাচের ২১ মিনিটেই লেভানডফস্কির শট লাগে পিএসজি’র পোস্টে। দীর্ঘক্ষণ গোলশূন্য থাকার পর ম্যাচের একমাত্র গোলটি এলো ৫৯ মিনিটে কিংসলে কোমানের হেড থেকে, যিনি পিএসজি একাডেমীরই ফুটবলার। ৫৯ মিনিটে পিএসজির লেফট ব্যাকের জায়গা থেকে নিখুঁত লম্বা পাসে বল কোমানের উদ্দেশ্যে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন বায়ার্নের জোশুয়া খিমিচ। পিএসজি রক্ষণ তখন ছিল অরক্ষিত, আর সেই সুযোগে কোমান অবলীলায় বলে মাথা ছুঁইয়ে তা জড়িয়ে দেন পিএসজি’র জালে। মাঝে লেভানডফস্কি ও কোমানের দুইটি শট ফিরিয়ে দেন যথাক্রমে নাভাস ও অন্য এক পিএসজি ডিফেন্ডার। না হয় বায়ার্নের স্কোর বোর্ডে আরো বেশি গোল দেখা যেত। তবে গোল শোধ করার কয়েকটি সুযোগ পেলেও তা আর কাজে লাগাতে পারেননি নেইমাররা, এম্বাপ্পেরা৷

যদিও প্রথমার্ধেই বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ নষ্ট করে পিএসজি ৷ দ্বিতীয়ার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর গোল শোধের মরিয়া লড়াই চালাতে থাকেন নেইমাররা ৷ কিন্তু, এক ন্যুয়ারের কাছেই যেনো হেরে গেছে পিএসজি। বল দখলেও পিছিয়ে ছিলো নেইমাররা। ৬৬ মিনিটে আরও একটি ভাল সুযোগ নষ্ট করেন এম্বাপ্পে, ডি মারিয়ার বাড়ানো বলটায় ঠিক ঠাক পা লাগাতে পারলেই গোলটা হয়ে যেতে পারতো। কিন্তু তা আটকে দিতে সফল বায়ার্ন গোলরক্ষক ন্যুয়ার ৷ ৭৩ মিনিটে বক্সে পেনাল্টির আবেদন করে এম্বাপ্পে, তাকে ট্যাকল করেছিলেন বায়ার্ন রাইট ব্যাক কিমিখ। রেফারি তাতে মাথা ঘামান নি। কিন্তু পরে ভিডিওতে দেখা যায়, কিমিখ এম্বাপ্পের পায়েই মেরেছিলেন। এখন প্রশ্ন যদি কোনো পিএসজি ফ্যান বা অন্য কেউ তুলতে চায়, তবে তুলতেই পারেন! যে, কেনো ভিএঅার দেখেননি রেফারি?

অন্যদিকে অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে লেভানডফস্কি পিএসজির বক্সে পড়ে গেলেও পেনাল্টি দেননি রেফারি,পাল্টা আক্রমণে বরং গোল শোধের দারুণ এক সুযোগও পেয়েছিল পিএসজি। বক্সের মধ্যে দারুণভাবে বলটা নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন নেইমার ৷ বায়ার্ন রক্ষণের চাপের মধ্যেও কোনো মতে বাঁকানো শট নেন তিনি, কিন্তু বিধি বাম। বল একটুর জন্য গোল পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার আগে সেটাই ছিল পিএসজির শেষ সুযোগ।

আরো পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ নিঃসন্দেহে এদিন ফেভারিট হলেও প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠা পিএসজি’র কাছে অঘটন ঘটানোর একটা আশা করেছিলেন অনেকেই ৷ লড়াইটা এদিন মূলত ছিল নেইমার বনাম লেওয়ানডস্কির মধ্যে ৷ যদিও খেলা শেষে চোখের জল নিয়েই মাঠ ছাড়লেন নেইমার-এম্বাপ্পে- মারিয়ারা ৷ পেছনে ছিলো অনেক সমালোচনা, সেই সমালোচনা গুলোর জবাব দিতেও ব্যর্থ হলেন নেইমার।

এক কোমানের গোলের কাছেই হেরে গেলো পিএসজি’র প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের আশা, আর বায়ার্নের হলো জয়োৎসব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *