ক্যাম্পাস খুলে দেওয়াসহ ৭ দফা দাবি নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের

ক্যাম্পাস খুলে দেওয়াসহ ৭ দফা দাবি নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের

মাইনুদ্দিন পাঠান, নোবিপ্রবি


স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যাম্পাস খুলে দেওয়াসহ ৭ দফা দাবীতে মানববন্ধন করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৫ মে) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।’

এসময় “শিক্ষার অধিকার ফেরত চাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা চাই “, “হাট বাজারে মানুষের ঢল বন্ধ কেন পরীক্ষার হল”, “দাবী মোদের একটাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা চাই “, “একদিনও দেরী নয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা চাই “, “সবকিছু সচল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন অচল ” ইত্যাদি ফেস্টুন হাতে মানববন্ধন করেন তারা।

এসময় মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ৭ দফা দাবি উপস্থাপন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আহবান জানান। দফাগুলো হলো-

১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, হল খুলে দিতে হবে এবং সকল শিক্ষার্থীদের জন্য ভ্যাক্সিন নিশ্চিত করতে হবে।

২. সুষ্ঠু পাঠ-পরিকল্পনা ও আটকে থাকা গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগুলো সংক্ষিপ্ত সিলেবাস এবং সময় বাড়িয়ে নিতে হবে। যে পরীক্ষা যে সিলেবাস অনুযায়ী হবে তার পরবর্তী ভর্তি পরীক্ষাগুলো সে সিলেবাস অনুযায়ী নিতে হবে।

৩.শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান যতদিন বন্ধ ছিলো তার চারভাগের এক ভাগ বেতন নিতে হবে এবং অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফ করতে হবে।

৪.যদি কোন শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তদারকিতে আক্রান্ত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা হতে হবে এবং আক্রান্ত হওয়ার ফলে কোন পরীক্ষা দিতে শিক্ষার্থী অপরাগ হয় তাহলে পরবর্তীতে তাকে সাপ্লিমেন্টারী পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।

৫. রিভিউ ক্লাস/ এক্সট্রা ক্লাস/ ওপেন ক্রডিট/ ব্যাকলগ পরীক্ষা ইত্যাদি সুবিধা সমূহ দিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতিপূরণের সুযোগ দিতে হবে এবং এর জন্য অতিরিক্ত কোন ফী আদায় করা যাবে না।

৬. অটোপ্রমোশন বা অটোপাশ চাই না। সেশনজট এড়াতে প্রয়োজনবেধে সেশনের সময়সীমা কমাতে হবে।

৭. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে রোডম্যাপ তৈরী ও বাস্তবায়ন করতে হবে এবং শিক্ষাখাতে অবকাঠামোগত উন্নয়নে ও সার্বিক কাজে বাজেট বৃদ্ধি করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, দ্রুত হল-ক্যাম্পাস খুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করা, বিভিন্ন সেশনে স্থগিত করা পরীক্ষাসূমহ দ্রুত নেওয়ার ব্যাবস্থা করতে হবে ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সকল শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে।

করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে সরকার। এরপর কয়েক ধাপে ছুটি বাড়ানো হয়। এছাড়া পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী গত রবিবার (২৩ মে) থেকে স্কুল, কলেজ এবং সোমবার (২৪ মে) থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কথা থাকলেও ফের আগামী ২৯ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *