শেকৃবিতে রেজিস্ট্রারকে উপাচার্য নিয়োগ ; জবি শিক্ষক সমিতির নিন্দা

জবি প্রতিনিধি


শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির মত এত গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে ভিসির দায়িত্ব দেয়াতে নিন্দা জ্ঞাপন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। কারণ শেকৃবিতে সদ্য নিয়োগ পাওয়া উপাচার্য ( রুটিন দায়িত্ব) শেখ রেজাউল করিম উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা।

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির মেয়াদ শেষ হওয়াতে উক্ত শূন্য পদে পরবর্তী ভিসি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার জনাব শেখ রেজাউল করিম কে ভিসির রুটিন দায়িত্ত্ব পালন করার জন্য আদেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।

উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির মত এত গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে ভিসির দায়িত্ব দেয়াতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিন্দা জ্ঞাপন করেন জবি শিক্ষক সমিতি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
গত ১৩ আগস্ট তারিখে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা এর ভাইস চ্যান্সেলরের মেয়াদপূর্তিতে পদ শূন্য হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে পরবর্তী ভিসি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার জনাব শেখ রেজাউল করিমকে ভিসির রুটিন দায়িত্ত্ব পালন করার আদেশ প্রদান করে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়,
বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান বিতরন ও জ্ঞান সৃষ্টির স্থান। কাজেই একজন প্রতিথযশা শিক্ষাবিদ হবেন এর প্রধান অর্থাৎ ভাইস চ্যান্সেলর,যিনি জ্ঞান বিতরন ও জ্ঞান সৃষ্টির নেতৃত্বদানের মাধ্যমে জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিবেন।

আর একজন কর্মকর্তার পক্ষে এই কাজটি কোনোভাবেই সম্ভবপর না এবং একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে ভিসির দায়িত্ব হিসেবে নিয়োগাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ও মর্যাদার সম্পূর্ণ পরিপন্থি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন তার বিচক্ষণ নেতৃত্ব আর নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে একটি সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছেন ঠিক তখন একটি মহল তাঁর অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ও তাদের অসাধু উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষে এ ধরনের নিয়োগাদেশ প্রদানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করবার অপচেষ্টায় লিপ্ত।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে শেকৃবির ভাইস চ্যান্সেলরের রুটিন দায়িত্ব পালন করার আদেশ প্রদানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে নিয়োগাদেশ বাতিলপূর্বক প্রত্যাহার করবার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাই।

Scroll to Top