৪র্থ সপ্তাহ : ৭ম শ্রেণি চারু ও কারুকলা এসাইনমেন্ট ২০২১

৪র্থ সপ্তাহ : ৭ম শ্রেণি চারু ও কারুকলা এসাইনমেন্ট ২০২১

৭ম শ্রেণি ৪র্থ সপ্তাহ এর এসাইনমেন্ট চারু ও কারুকলা। করোনার কারণে বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট এর মাধ্যমে মূল্যায়ন কার্যক্রম পুনরায় শুরু করেছে। সে লক্ষ্যে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির তৃতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট পুনর্বহাল এবং ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করেছে।

৭ম শ্রেণি ৪র্থ সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট চারু ও কারুকলা সপ্তম শ্রেণির চারু ও কারুকলা পাঠ্য বইয়ের প্রথম অধ্যায় থেকে ৪র্থ সপ্তাহের ১ম অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে।

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের ক্রম: এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ-১

অধ্যায় ও অধ্যায়ের শিরোনাম : প্রথম অধ্যায়

পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ নম্বর ও বিষয়বস্তু: পাঠ: ২ পাঠ: ৩

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ: চারু ও কারুকলা জীবন যাপনকে সুন্দর ও রুচিশীল করে এবং সমাজকে সুন্দরভাবে গড়তে সাহায্য করে- ব্যাখ্যা কর।

নির্দেশনা: পাঠ্যপুস্তক/ পারিপার্শ্বিক অনুষঙ্গ প্রয়োজনবোধে ইন্টারনেটের ব্যবহার।

নিচে ৭ম শ্রেণি ৪র্থ সপ্তাহ এর এসাইনমেন্ট বিজ্ঞান এবং চারু ও কারুকলা এর নমুনা উত্তর দেওয়া হলো। এখান থেকে সহযোগিতা নিয়ে তোমাদের এসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ করতে পার। তবে এই লেখা বা নমুনা উত্তর হুবুহু তোমার এসাইনমেন্টে লিখে স্কুলে জমা দিবে না। শুধু মাত্র এই এসাইনমেন্টের উত্তর লেখার সুবিধার্থে দেওয়া হলো-

৭ম শ্রেণি ৪র্থ সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট চারু ও কারুকলা এর উত্তরঃ- চারুকলা একটি মানবীয় ক্রিয়া , যা দ্বারা সজ্ঞানে কতিপয় বাহিক প্রক্রিয়া দ্বারা নিজের মনের অনুভূতি বা কোন ভাবকে এমনভাবে অপরের নিকট পৌছে দেয় , যে অপরের মন সেভাবে সংক্রমিত হয় তা উপলব্ধি করতে পারে।

অন্যদিকে ” যে কলা বা শিল্প প্রধানত দৈহিক ও ব্যবহারিক চাহিদা মেটানোর সঙ্গে আনন্দদান করে ,তাকে কারুকলা বলে।

আর এই চারু ও কারুকলা জীবনকে সুন্দর ও রুচিশীল করে তোলে। সাহায্য করে সমাজকে সুন্দরভাবে গড়তে। কেননা এর ফলে মানুষ মনের আনন্দের পাশাপাশি বেঁচে থাকার জন্য সৃজনশীল চিন্তা ভাবনা দ্বারা বাস্তব জীবনের চিত্র ফুটিয়ে তুলে। এছাড়াও চারু ও কারুকলা জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তির মধ্যে সবসময় উন্নত চিন্তাভাবনা থাকায় সে খুব রুচিশীল হয়।

ফলে তার রুচিশীল কাজ সবাই পছন্দ করে এবং তার এই কারুকাজ দ্বারা আর্থিকভাবে লাভবান হয় , তার জীবন হয় সুন্দর ও স্বচ্ছল। আর এর প্রভাব পড়েমুন্দর সমাজ গঠনে। কেননা সমাজের লোকজন তার কাজ বা রুচিশীল কর্মকান্ডদ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলতে সোচ্চার হয়। এছাড়াও কারুকাজ দ্বারা সমাজে বিভিন্ন নকশা , ছবি তৈরীর মাধ্যমে সমাজে ছোট বাচ্চা এবং কিশোরদের সৃজনশীল হওয়া এবং সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করার কাজ সম্ভব হয়।

উন্নত রুচিবোধে থাকায় সমাজে সবাই পরিপাঠী থাকে ফলে সমাজে অরাজকতা , বিশৃঙ্খলা এবং অপরিচ্ছন্নতার সৃষ্টি হয় না। ফলে সমাজ হয়ে উঠে অনেক সৃজনশীল , গতিশীল এবং আধুনিক রুচিসম্পন্ন যা আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে প্রেরণা জোগায়। তাই আলোচনা শেষে সহজেই বলা যায় যে , চারু ও কারুকলা যেমন ব্যক্তি জীবন সুন্দর ও রুচিশীল করে গড়ে তোলে তেমনি সাহায্য করে সমাজকে সুন্দর ও সঠিকভাবে সাজাতে।

দেশের ক্যাম্পাস তথা শিক্ষা ভিত্তিক অন্যতম প্রিয় অনলাইন পোর্টাল সর্বদাই সত্য ও বস্তুনির্ভর তথ্য প্রকাশে বদ্ধপরিকর। আপনার যেকোন অভিযোগ আপত্তি ও পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *