BSMRSTU Officers’ Association gets new executive body

The Campus Today Desk: The biennial election of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Science and Technology University (BSMRSTU) has been held in the university cafeteria on Thursday (February 11).

Tuhin Mahmud and Miraj Sikder have respectively been elected as president and general secretary of the Officers` Association’s new committee.

The results were announced privately after counting of votes in the afternoon by engineer Engineer S M Eskandar Ali, engineer and chief election commissioner of the university.

Voting for the election was held at 9.30 am. A total of 83 voters cast their ballots in the election.

Chief Election Commissioner SM Eskander Ali said, ‘A total of 30 candidates from Hira-Walid Parishad and Tuhin-Miraj Parishad contested for 15 seats in the election’

He said the elections have been completed in a fair environment. There was no untoward incident. At that time, he congratulated both the panels for their smooth participation in the elections.

Out of 15 seats, 12 have been won by Tuhin-Miraj Parishad and 3 by Hira Walid Parishad in the polls.

Elected other members of the new body are- Sheikh Mashikur Rahman, Sarafat Khan, SM Mahbubul Hasan, Mohammad Abul Kashem, Habibullah Chowdhury, Tariqul Islam, Mahtab Uddin Khan, Ashraful Islam, Mashiur Rahman, Ariful Haque, Chowdhury Monirul Hasan, Faisal Ahmed, and Atiqur Rahman Murad.

বশেমুরবিপ্রবির ২ জন কর্মচারী ইয়াবাসহ আটক

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন কর্মচারীকে ৬৩ পিস ইয়াবা সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে চৌধুরী মার্কেটের কম্পিউটার সলিউশন দোকানের সামনে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান।

চৌধুরী ইমরুল হাসান বলেন, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি তাদের কাছে প্রায় ৬০০ পিসের মতো ইয়াবা আছে কিন্তু আটকের আগে ৭ পিস ইয়াবা সেবন করেন এবং আটকের সময় তাদের কাছে ৬৩ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় আসামীদ্বয় গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী। তারা হলেন, মোঃ ইয়াসিন শিকদার (৩০), পিতা-মোঃ সাহেব আলী শিকদার ও আকাশ শিকদার(২৮), পিতা- শাহাদাৎ শিকদার।

‘তারা দীর্ঘদিন যাবত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার আশপাশে ইয়াবা সরবরাহ করে আসছিল। বর্তমানে আসামীদের বিরুদ্ধে সদর থানায় পৃথক দুটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।’ তিনি আরও যোগ করেন।

প্রসঙ্গত , আজ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারী) বিকালে ১৬:০০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সহকারী পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এর নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর নাজমুল হাসান খানসহ অন্যান্য সদস্যগণ এ অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।

১১ বছরেও সমাধান হয় নি আবাসন সংকটের

 

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) আইনের ৪১নং ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয় বিধান দ্বারা নির্ধারিত স্থান ও শর্তাধীনে বসবাস করার নিয়ম রয়েছে। তবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পর প্রায় ১১ বছর পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন সুবিধা সুনিশ্চিত করতে পারেনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, বর্তমানে ১২,০০০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৩ টি ছাত্র হল এবং ২ টি ছাত্রী হলে মাত্র ২০০০ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। যা মোট শিক্ষার্থীর মাত্র ১৬ শতাংশ।

এছাড়া, ইউজিসির ২০১৯ সালের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১০৯৮৯ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে মাত্র ১৯৪৭ জন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তক আবাসন সুবিধা পাচ্ছে। অর্থাৎ এই প্রতিবেদন অনুযায়ী মাত্র ১৭ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধার আওতাভুক্ত। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদন ২০১৩ অনুযায়ী বশেমুরবিপ্রবিতে ৩৬.৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধার আওতায় ছিলো। অর্থাৎ গত আট বছরে বশেমুরবিপ্রবিতে আবসন সুবিধা কমেছে প্রায় ১৮.৭৩ শতাংশ।

ইউজিসি কর্তৃক প্রকাশিত ২০১৩ সালের প্রতিবেদন এবং ২০১৯ সালের প্রতিবেদন তুলনা করলে দেখা যায়, ২০১৩ সালে ৩১.৫০ শতাংশ ছাত্র আবাসন সুবিধা পেতো যা ক্রমান্বয়ে কমে ২০১৯ সালে হয় ১৪.৩৬ শতাংশ। এছাড়া ২০১৩ সালে ৪৯.৭২ শতাংশ ছাত্রী আবাসন সুবিধা পেতো যা ক্রমান্বয়ে কমে ২০১৯ সালে হয় ২৬.১৫ শতাংশ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতে, অনিয়ন্ত্রিতভাবে শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধির ফলেই ক্রমান্বয়ে আবাসন সংকট প্রকট হয়েছে। ইউজিসি কর্তৃক প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩ সালে বশেমুরবিপ্রবিতে স্নাতক প্রথম বর্ষে আসন সংখ্যা ছিলো ৬৭০টি; যা মাত্র ৭ বছরেই প্রায় ৪ গুণ বেড়েছে। বশেমুরবিপ্রবির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে স্নাতক প্রথম বর্ষে আসন সংখ্যা রয়েছে ২ হাজার ৯৯২টি।

আবাসন সঙ্কট নিরসনে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, হল না পেলে এই সংকট নিরসন সম্ভব নয়। নতুন হলের জন্য ইউজিসির কাছে আমরা এপ্লাই করবো। এজন্য আমাদের মাস্টার প্ল্যান আছে।এই প্ল্যানের মধ্যে নতুন হল, একাডেমিক বিল্ডিং সহ অনেক কিছু হবে। হল বাড়ালেই অনেকাংশে আবাসন সংকট নিরসন হবে। আর নতুন যে হল হবে তা আগের মতো পাঁচতলা বা ছয় তলা হবে না। দশ তলা বিশিষ্ট হল হবে এবং এতে লিফ্ট থাকবে। তবে এটা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার এজন্য বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে।

ইনস্টিটিউটের অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত, সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস পরীক্ষা বর্জন

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ (সিএসই) এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সাথে একীভূত হওয়ার দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত শেখ হাসিনা আইসিটি ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেছে।

আজ (বুধবার) বেলা ১২টায় প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ আইসিটি এর ২০১৮- ১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিং এই ঘোষণা দেয়া হয়।

এই সময়ে শিক্ষার্থীরা বলেন,মাননীয় ভিসি স্যারের আশ্বাসে এবং প্রশাসনের প্রতি আস্থা রেখে একাডেমিক কাউন্সিল না হওয়া পযর্ন্ত অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।কিন্তু সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সকল ক্লাস এবং পরীক্ষা বর্জন করা হবে।

শিক্ষার্থীরা আরো জানায়, ২০১৮-১৯শিক্ষাবর্ষে ইনস্টিটিউটের সিএসই , ইইই এবং ইটিই থাকলেও তৎকালীন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন বি.কে বালা এবং ইটিই বিভাগের ডিন অধ্যাপক শাহজাহান ইটিই বিভাগকে অনুষদের ইটিই বিভাগের সাথে একীভূত করে। এর পরবর্তী ২ বছরে সিএসসি এবং ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে কয়েকবার স্মারকলিপি, আবেদনপত্র প্রশাসন বরাবর জমা দিলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুস্পষ্ট কোনো সমাধান দেয়নি। বরং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া সত্ত্বেও ইনস্টিটিউট এর পরবর্তী ব্যাচ ভর্তি বন্ধ করে দেয়।

শিক্ষার্থীরা আরো জানায়, এর প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৭ দফা দাবিতে পরবর্তী ব্যাচ ভর্তিসহ সকল সমস্যা সমাধান করে ইনস্টিটিউট চলমান রাখার জন্য আন্দোলন করলে তৎকালীন প্রশাসন আশ্বাস দেয় স্থায়ী ভিসি আসলে সি এস সি এবং ইইই বিভাগকে অনুষদের স্ব-স্ব বিভাগে একীভূত করা হবে। এ আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন বন্ধ করলেও স্থায়ী ভিসি আসা সত্ত্বেও সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর সমস্যা সমাধানের জন্য অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন নামে শিক্ষার্থীরা। এ সময় মাননীয় ভিসি স্যার জানান, পরবর্তীতে ব্যাচ ভর্তি চালু রাখবেন এবং সার্বিক সমস্যা সমাধানের জন্য একাডেমিক কাউন্সিলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

 

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যের খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের অদূরদর্শীতায় মাদারিপুরের শিবচরে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে অস্থায়ী ভাবে তৈরি হয় শেখ হাসিনা আইসিটি ইনিস্টিটিউট। যেখানে ইটিই ইইই এবং সিএসই বিভাগে প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানো হয়। এর মধ্যে ইটিইি বিভাগের ৬ জনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইটিইি বিভাগে একীভূতকরা হলেও বাকি দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের একীভূতকরা হয়নি।

বশেমুরবিপ্রবি: বিভাগে তালা ঝুলিয়ে ইইই বিভাগের অবস্থান কর্মসূচি

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগকে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সাথে একীভূতকরণের প্রতিবাদে ইইই বিভাগের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে বিভাগে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার (২৫ জানুয়ারী) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ৪র্থ তলায় নিজ বিভাগের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এ বিষয়ে ইইই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শামীম রেজা বলেন, “প্রশাসন ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে ইটিই কে ইইই বিভাগের সাথে একীভূত করার একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যাচ্ছে। আশ্চর্যের বিষয় হল, এ বিষয়ে ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে কোন আলোচনা করা হয়নি। এছাড়াও গত ৩১ ডিসেম্বর আমরা প্রশাসনের বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেই স্মারকলিপির ব্যাখা এখনো দেয়নি এবং আমাদের সাথে কথা বলতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছে।”

এসময় তিনি প্রশ্ন রাখেন, “সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা প্রণয়ন এবং সেই নীতিমালার সঙ্গে ‘ইইই’ বিভাগ বা সকল সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রহণ ছাড়া ‘ইটিই’ বিভাগকে ‘ইইই’-তে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদক্ষেপ কতটা যুক্তিযুক্ত?”

একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মিশন দাস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমের ৮ বছরের মধ্যেই একটি বিভাগকে বারবার পরিবর্তন, সেই বিভাগের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোন সুপ্ত দুর্বলতাকে আখ্যায়িত করে। একটি বিভাগের প্রতি কেন এত সুপ্ত দুর্বলতা, এর পিছনে কি কোন সুনির্দিষ্ট ষড়যন্ত্র রয়েছে? কেন একটি দল বা গোষ্ঠীকে বারবার অনুষদ এবং বিভাগ পরিবর্তন করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে?

প্রসঙ্গত, ইটিই গ্রাজুয়েটদের কর্মক্ষেত্রের অপ্রতুলতার বিষয়টি উল্লেখ করে ইটিই বিভাগকে ইইই এর সাথে একীভূতকরণের দাবিতে ২০১৯ এর অক্টোবর থেকে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন শুরু করেন বশেমুরবিপ্রবির ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে এই দাবিকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে দীর্ঘদিন যাবৎ দাবিটির বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন ইইই’র শিক্ষার্থীরা।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে বশেমুরবিপ্রবিতে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু

শাফিউল কায়েস, বশেমুরবিপ্রবিঃ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক একিউএম মাহবুব ও রসায়ন বিভাগের শিক্ষক মোঃ যাদু মিয়া মুয়াজ।

আজ রবিবার (২৪ জানুয়ারি) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ১ম সেমিস্টারের ল্যাব ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হয়।

রসায়ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, আজ রবিবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ল্যাব ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হয়েছে। করোনার কারণে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছি আমরা । বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত আমাদের শিক্ষাকার্যক্রম একধাপ এগিয়ে নিবে।

খুবির ঘটনা প্রশাসনের স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ:মানববন্ধনে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মোঃ যাদু মিয়া মুয়াজ বলেন, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে পরেছে। এজন্য ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস পরীক্ষা চালু করার জন্য আবেদন করে, এর প্রেক্ষিতে আমরা ভিসি মহোদয়ের অনুমতি নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক ক্লাসের ব্যবস্থা করি। আমরা স্বাস্থ্যবিধিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছি, ছাত্র ছাত্রীদের মুখে যেন মাস্ক থাকে এবং তারা যেন পরস্পর থেকে দূরত্ব বজায় রাখে – এব্যাপারে আমরা খুব খেয়াল রাখছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক একিউএম মাহবুব বলেন, ল্যাব ক্লাস ও পরীক্ষার ব্যাপারে রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিম খান আমাকে অবগত করেন। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে পরেছে, তারা যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ল্যাব ক্লাস ও পরীক্ষা নিতে পারে তাহলে শিক্ষার্থীদের উপকার হবে। ফলে তাদের ল্যাব ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বন্ধ থাকবে।

খুবির ঘটনা প্রশাসনের স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ:মানববন্ধনে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

সাগর দেঃ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত বাতিল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনশনরত দুই শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার ও তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করা যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।

রবিবার (২৪ জানুয়ারি ) সকাল ১১ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন একটা বিশ্ববিদ্যালয় নায্য অধিকার আদায়ের জন্য যৌক্তিক আন্দলোনের সূতিকাগার। এবং যৌক্তিক আন্দলোনের জন্য শিক্ষার্থী বহিষ্কার ও শিক্ষকদের বরখাস্ত করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করেন।

মানববন্ধনে আইন তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী উজ্জ্বল মন্ডল বলেন,একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি হল সুবিধা সহ শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার আদায়ের আন্দলোন করার প্রেক্ষিতে দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার এবং ছাত্র ছাত্রীদের নায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনের সংহতি প্রকাশ করায় তিন শিক্ষক বহিষ্কারের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের এমন স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনঃক্ষুণ্ন করে। এবং এমন জঘন্য ঘটনায় একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হয়ে আমরা ব্যথিত।

আরো বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক বিভাগের জুবায়ের হোসেন বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার মেয়াদের শেষ সময়ে যে আচরণ করেছেন তা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আচরণের মতোই। যেখানে উপাচার্য শেষ সময়ে দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করেছেন যা তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের মতো আচরণ করেছেন। শিক্ষার্থীদের যে পাঁচ দফা আন্দোলন তা শিক্ষার মৌলিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন। আর এসব মৌলিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনের জন্য বহিষ্কারের যে সংস্কৃতি তা শিক্ষা ব্যাবস্থার জন্য অশনিসংকেত । আশা করি তিনি শেষ সময়ে দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার ও তিন শিক্ষক বরখাস্ত প্রত্যাহার করবেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১ ও ২ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করেন।এ সময় শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ, তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতা না করাসহ বিভিন্ন কারণে ওই দুই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।তাঁদের আন্দোলনের সাথে সংহতি জানানোর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে অপসারণ এবং একজন শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে।বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে দুই শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে শুরু হওয়া অনশন কর্মসূচি এখনো অব্যাহত আছে।এবং সবশেষ খবর অনুযায়ী বর্তমানে অনশনরত দুই শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কারের প্রতিবাদে বশেমুরবিপ্রবিতে মানববন্ধন

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার এবং তিন শিক্ষককে অপসারণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।এ সময় ২ শিক্ষার্থীর বহিষ্কার আদেশ প্রত্যহারসহ শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানানো হয় ।

আজ (শুক্রবার) বিকেল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান।

মানববন্ধনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল মিলন বলেন, “শিক্ষার্থীদের নায্য আন্দোলনে জড়িত থাকার ‘অপরাধে’ দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার এবং শিক্ষার্থীদের সমর্থনে এগিয়ে আসা শিক্ষকদের বরখাস্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অথচ শিক্ষকদের জাতি গঠনের কারিগর বলা হয়।কেননা একজন আদর্শ শিক্ষকই পারেন তার অনুসারী দের জ্ঞান ও ন্যায় দীক্ষা দিতে।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীর মানবতাবোধ কে জাগ্রত করে একজন শিক্ষক কেবল পাঠদান কে সার্থকই করে তোলেন না,অন্যায়ের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতেও শিক্ষা দেন।সেই শিক্ষকের উপর যখন স্বেচ্ছাচারী নিয়ন্ত্রণের অনৈতিক দমনের চেষ্টা করা হয় তখন সেটা অন্ধকারের দিকেই নির্দেশ করে। তাই আমরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই ন্যাক্কারজনক,স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং শিক্ষকদের স্বপদে বহাল ও শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। একইসাথে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”

মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, লোকপ্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাসেল হোসেন বলেন, “আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দিকে তাকালে দেখতে পাবো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষা এবং জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রে পরিণত না করে অর্থ ও বানিজ্যের কেন্দ্রে পরিণত করা হচ্ছে। এছাড়া ইতোপূর্বে অনেকেই দাবি করতো ছাত্র রাজনীতি না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে। কিন্তু খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা থেকে আমরা দেখছি এই দাবি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। বরং ছাত্র রাজনীতি না থাকায় যৌক্তিক দাবি করার পরও শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার হতে হচ্ছে। তাই আমরা অবিলম্বে ২ শিক্ষার্থীর বহিষ্কার আদেশ প্রত্যহারসহ শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে , দুই শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণ ও তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে সম্প্রতি দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।এছাড়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানানোসহ আন্দোলনের সময় প্রশাসনের সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে গত ১৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিন্ডিকেট মিটিংয়ে ৩ শিক্ষককেও অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

স্ব স্ব বিভাগে একীভূত হওয়ার জন্য আইসিটি ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

 

সাগর, বশেমুরবিপ্রবি


গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ (সিএস) এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সাথে একীভূত হওয়ার দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত শেখ হাসিনা আইসিটি ইন্সটিটিউটের সিএসই এবং ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১ ঘটিকায় (১৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থী।

এসময় মানববন্ধনে শেখ হাসিনা আইসিটি ইন্সটিটিউটের সিএসই বিভাগের সেতু বলেন, “ সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা দেয়ার নিমিত্তে আমাদেরকে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ আইসিটি তে ভর্তি করানো হলেও সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত আমরা। তার উপর আমাদের ইনস্টিটিউট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ আমরাই একমাত্র ব্যাচ যেটি ইনস্টিটিউট থেকে পাস করে বের হবে যেটা বাংলাদেশের অন্য কোথাও এমন নজির নেই। সুতরাং আমাদের একটাই দাবি আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ব স্ব বিভাগে সংযুক্ত হতে চাই।”

এসময় আরেক শিক্ষার্থী ইইই বিভাগের খলিলুর বলেন, “ আমরা ভর্তি হয়ে একই টিচারদের কোর্স করে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের কোনো স্বীকারোক্তি নেই। এই দুই বিভাগের প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খেলা করতে পারে না। আমরা আর ভাসমান অবস্থায় থাকতে চাই না। হয় আমাদের ইনস্টিটিউটে পরবর্তী ব্যাচ ভর্তি করিয়ে পুনরায় চালু করতে হবে নতুবা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ব স্ব বিভাগের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।”

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যের খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের অদূরদর্শীতায় মাদারিপুরের শিবচরে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে অস্থায়ী ভাবে তৈরি হয় শেখ হাসিনা আইসিটি ইনিস্টিটিউট। যেখানে ইটিই ইইই এবং সিএসই বিভাগে প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানো হয়। এর মধ্যে ইটিইি বিভাগকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ইটিইি বিভাগের সাথে একীভূতকরা হলেও বাকি দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের একীভূত করা হয়নি।

বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর চেতনায় বিশ্বাসী প্যানেল জয়ী

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিবেদক

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধিকারের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষক প্যানেল জয়লাভ করেছে। আজ সকালে নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মাহবুব হাসান এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

 

বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধিকারের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষক পরিষদের পক্ষ থেকে সভাপতি পদে এপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান এবং সাধারণ সম্পাদক পদে বঙ্গবন্ধু ইন্সটিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার অ্যান্ড বাংলাদেশ স্টাডিজের সহকারী অধ্যাপক ড. মোঃ আবু সালেহ নির্বাচিত হয়েছেন।

 

 

নব নির্বাচিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি পদে সহকারী অধ্যাপক আবুল বাশার রিপন খলিফা, যুগ্ম-সম্পাদক পদে শামসুল আরেফিন, কোষাধ্যক্ষ পদে মোঃ হাফিজুর রহমান, প্রচার সম্পাদক পদে সাদ্দাম হোসেন এবং ৯টি সদস্য পদে ড. মোঃ রাশেদুজ্জামান পবিত্র, মাহবুব আলম , গাজী মোঃ মাহবুব, দিলরুবা আফরোজ পপি, মোঃ শরিফুজ্জামান, মোঃ মাইদুল হোসেন, অভিজিৎ বিশ্বাস, ইনজামাম উল হক এবং মোঃ নাছির উদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ড. মাহবুব হাসান বলেন, “১০ তারিখের মধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের নির্দেশনা ছিলো৷ কিন্তু বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধিকারের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষক পরিষদ ব্যতিত অন্য কোনো প্যানেল মনোনয়নপত্র সংগ্রহ না করায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদেরক জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।”

শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলকে সাথে নিয়ে প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে সামনের দিনের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবো এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে শিক্ষক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ড. মো: কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের পূর্বের কমিটি এক বছর সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছে, আমরাও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবো।

 

এদিকে নির্বাচনে জয় লাভের পর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আজ দুপুর ২ টায় শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ। এ সময় শিক্ষক সমিতির সাবেক নেতৃবৃন্দ সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।