মানববন্ধন করতে নিষেধ করায় চবি শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল

 

চবি প্রতিনিধি


পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের(পিসিপি) পূর্বঘোষিত মানববন্ধন করতে না দেয়ার প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।এতে সংহতি জানায় প্রগতিশীল বাম সংগঠনগুলো।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,গত মঙ্গলবার(৯ফেব্রুয়ারি) চিম্বুক পাহাড়ে ম্রো জনগোষ্ঠীর ভূমি দখলপূর্বক পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণের প্রতিবাদে বুধবার(১০ফেব্রুয়ারি) পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে মানববনন্ধনের অনুমতি চায়।কিন্তু দুপুরে অনুমতি প্রদানের পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রাতে মানববন্ধন করতে নিষেধ করে।

এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার(১১ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ , সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ এবং বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ একত্রিত মশাল মিছিল করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চবির অর্থনীতি বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ”পিসিপিকে মানববন্ধন করতে না দেয়া শুধু পিসিপি’র ইস্যু নয়, এটি ক্যাম্পাসের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক চর্চার উপর একটি আঘাত। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই এবং চিম্বুক পাহাড়ের ম্রো জনগোষ্ঠীর সাথে সংহতি জানাই।’’

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি আশুতোষ চাকমা বলেন, “ম্রো জনগোষ্ঠীর প্রতি এই অন্যায় এর প্রতিবাদ আমরা জানাই। ম্রো জনগোষ্ঠীর ভূমি দখলপূর্বক পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ বন্ধ করতে হবে।একই সাথে তাদের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।’’

এ বিষয়ে চবি প্রক্টর রবিউল হাসান ভুইঁয়া বলেন, “শিক্ষার্থীদের আমি মানববন্ধন না করার বিষয়টি বুঝিয়ে বলেছি।তারা প্রথমে মেনে নিলেও হঠাৎ করে আজ সন্ধ্যায় মশাল মিছিল করাটা বোধগম্য নয়।করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের কোন ইস্যু নিয়ে মানববন্ধন আমরা করতে দিচ্ছি না।পূর্বানুমতি ছাড়া আজকের এই মশাল মিছিলের জন্য তাদের রবিবার ডাকানো হবে।’’

চবির আবাসিক হলে তল্লাশি ,২৩ জনের আইডি কার্ড জব্দ

চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(চবি) আবাসিক হলগুলোতে অবৈধভাবে থাকার অভিযোগে ছেলেদের চারটি হলে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল বডি।
সোমবার(৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ছয়টা থেকে সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত প্রক্টোরিয়াল বডি ও পুলিশের উপস্থিতিতে এ তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।দুই ঘণ্টাব্যাপি এ অভিযানে দুইটি আবাসিক হলে ২৩ জন শিক্ষার্থীকে অবৈধভাবে অবস্থানরত অবস্থায় পাওয়া যায়।পরে তাদের পরিচয় পত্র জব্দ করে প্রক্টর অফিসে যোগাযোগ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

তল্লাশি অভিযান চালানো হলগুলো হলো-শাহজালাল হল, শাহ্ আমানত হল, স্যার এএফ রহমান হল, আলাওল হল ।এসময় আলাওল হলে ৩জন এবং স্যার এফ রহমান হলে ২০জন কে অবস্থারত অবস্থায় পাওয়া যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভুইঁয়া বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে হলে তল্লাশি চালানো হয়েছে।চারটি হলের মধ্যে দুটিতে অবৈধভাবে অবস্থান করা ২৩ জন কে আমরা পেয়েছি।তাদের আইডি কার্ড রেখে দিয়ে প্রক্টর অফিসে যোগাযোগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার ড.কামরুল হুদা আর নেই

 

চবি টুডে


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার ও উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড.কামরুল হুদা আর নেই।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভুইঁয়া। শুক্রবার(৫ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে ঢাকার কল্যাণপুরে একটি বেসরকারী হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান।

এর আগে গত তিনি ২৭ জানুয়ারি চট্টগামের সিআরবিতে রিকশা উলটে দুর্ঘটনার শিকার হন।এতে তিনি মারাত্মকভাবে পায়ে এবং চোখে আঘাত পান।তার বাম পায়ের উরুসন্ধি থেকে শুরু করে হাঁটুর আগের অংশের (ফিমার) বেশ বড় ভাঙ্গন দেখা যায়।তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে সফলভাবে তার অস্ত্রোপচার হয়।

ড. কামরুল হুদা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ও সাবেক রেজিস্ট্রার ছিলেন। এছাড়া তিনি প্রীতিলতা হলের প্রভোস্টেরও দায়িত্ব পালন করেন।তিনি চবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি ছিলেন।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।তার মৃত্যুতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

সড়ক দুর্ঘটনায় চবির সাবেক শিক্ষার্থী নিহত

 

চবি প্রতিনিধি

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা খান তানভীর ওসমান শোভন।

গতকাল (শুক্রবার ) সকালে ৯টার দিকে অটোরিকশাযোগে বাসায় ফেরার পথে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারান তিনি।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাপাসিয়া থানার এসআই আব্দুল মোমিন।

তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন।এছড়াও তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ‘ক্যাম্পাস শাখা’ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।

নিহত শোভনের বাবা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক প্রয়াত খান তৌহিদ ওসমান।তিন মাস আগে গতবছরের ২৮অক্টোবর বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মারা যান।

চবি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম আর নেই

চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(চবি) প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও চবি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আর নেই।পারিবারিক ভাবে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

শুক্রবার(২৯জানুয়ারি) রাত ১০.৪০টায় চট্টগ্রামের ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

 

শনিবার (৩০ জানুয়ারি) জোহরের নামাজের পর নগরীর মিসকিন শাহ মাজার প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী চবি অর্থনীতি বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। ৬২ এর ছাত্র আন্দোলন,৬৯এর গণ অভ্যুত্থানের তিনি সক্রিয় ছাত্রনেতার দায়িত্ব পালন করেছিলেন।১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধেও তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল।

করোনা ভ্যাক্সিনের অগ্রাধিকার নিশ্চিতসহ পাঁচ দফা দাবিতে ছাত্র ইউনিয়নের মানববন্ধন

 

চবি প্রতিনিধি

বিনামূল্যে করোনা ভ্যাক্সিনের অগ্রাধিকার নিশ্চিত, আবাসিক হল এবং যাতায়াতের জন্য বাস চালু করা সহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) সংসদ।মানববন্ধন শেষে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তাঁরা।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় চবির জয় বাংলা চত্বরে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন,চবি সংসদের সভাপতি গৌরচাঁদ ঠাকুরের সভাপতিত্বে এবং সহকারী সাধারণ সম্পাদক সৌরভ ধরের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি ধীষণ প্রদীপ চাকমা,চবি সংসদেরর সমাজকল্যাণ ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কিশোর বড়ুয়া ধ্রুব।

এসময় মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট,চবি শাখার সদস্য শাহনাজ মুন্নী ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ,চবি শাখার আহ্বায়ক মিঠন চাকমা।

ছাত্র ইউনিয়নের পাঁচ দফা দাবিসমূহ হলো,পরীক্ষার্থীদের আবাসনের স্বার্থে নিয়ম মেনে আবাসিক হল খুলে দেওয়া। শাটল ট্রেন চালু না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাস থেকে শহর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু করা। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে দ্রুত সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দেওয়া। অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার ব্যাপারে সুপরিকল্পিত ঘোষণা দেওয়া এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তারা তাঁদের দাবিসমূহ উপস্থাপন করেন এবং সমাবেশ শেষে উপাচার্য বরাবর পাঁচ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।উপাচার্যের পক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভুইঁয়া স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।

 

চবি কর্মকর্তার উপর হামলা,অফিসার সমিতির অবস্থান ধর্মঘট আগামীকাল

চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব নিয়ামক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ফরিদুল আলম চৌধুরীর উপর হামলা চলিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

আজ দুপুর ১.৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অফিসে কর্মরত অবস্থায় এ হামলা চালায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত।কারা, কী কারণে এ হামলা চালিয়েছে তা সুস্পষ্টভাবে জানা যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রাশাসন এবিষয়ে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ আবুল মনছুরকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্তকমিটি গঠন করেছে।গোপনীয় শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফজলুল করিমকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.রবিউল হাসান ভূইয়াঁ ও কেন্দ্রীয় স্টোর শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও অফিসার সমিতির সভাপতি রশিদুল হায়দার।কমিটিকে ৪কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

এঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতি আগামীকাল(১৩জানুয়ারি) সকালে মানববন্ধন ও অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচির ঘোষণা করছে।

এবিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতির সাধারণ সম্পাদক হামিদ হাসান নোমানী বলেন,”আমাদের হিসাব নিয়ামক মহোদয় একজন ধার্মিক ও সজ্জন ব্যক্তি।আমি একটি অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত ছিলাম,একজন সহকর্মীর ফোন কল পেয়ে হিসাব নিয়ামক অফিসে গেলে শুনি কিছু ছাত্র নামধারী দুর্বৃত্ত উনি দুপুরের নামাজ শেষে অফিসে গিয়ে কাজ করার সময় অতর্কিতভাবে উনার উপর হামলা চালায়।তাৎক্ষনিকভাবে সবাই কাজকর্ম বন্ধ রেখে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করতে থাকে।প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রার স্যার ও প্রক্টর স্যার উপস্থিত হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।’’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.রবিউল হাসান ভুইঁয়া বলেন,”আমরা বিষয়টি জেনেছি।আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে যাই।গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।এবিষয়ে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।কমিটি রিপোর্ট দিলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।’’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড.এস এম মনিরুল হাসান বলেন, “তদন্ত কমিটি হয়েছে।তাঁরা রিপোর্ট দিবে।এর পর আমরা ব্যাবস্থা নিব’’

হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী

চবি প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন চবি শিক্ষার্থী এস এম আবরার লাবিব।

তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনেন্স বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

পরিবার সূত্রে জানা যায়,আবরারের বাবা কোভিডে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।গতকাল (৫জানুআরি) সন্ধ্যায় আবরার তাঁর বাবাকে দেখে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি। তিনি মুঠোফোনও সাথে নেয়নি।

বুধবার (৬ জানুয়ারি) নগরের ডবলমুরিং থানায় এ ব্যাপারে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে আবরারের পরিবার।

এ ব্যাপারে ডবলমুরিং থানার তদন্ত কর্মকর্তা এমএম মানিক বলেন, নিখোঁজ চবি ছাত্র আবরার লাবিবের পরিবার বুধবার (৬ জানুয়ারি) সকালে থানায় জিডি করেছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিচ্ছি। দ্রুত লাবিবকে খুঁজে বের করা হবে।

চবি: ডিসেম্বরেই পরীক্ষার দাবি, না মানলে আমরণ অনশনের ডাক

নুর নওশাদ, চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান শেষ বর্ষের লিখিত পরীক্ষা ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছে সম্মান শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা (সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ, চবি)। দাবি বাস্তবায়ন না হলে,রবিবার (৬ডিসেম্বর) থেকে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ,চবি এর পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে এই দাবি জানানো হয়।বলা হয়,আগামী ৩রা ডিসেম্বর,২০২০ এর মধ্যে স্থগিতকৃত পরীক্ষাসমূহ নেয়ার ব্যাপারে যদি তারিখ ঘোষণা পূর্বক সুনির্দিষ্ট কোন নির্দেশনা না আসে,তাহলে আগামী ৬ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখ থেকে আমরণ অনশনে যাবে তাঁরা।

কয়েক দফা মানববন্ধন,স্মারক লিপি ও আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়ার পর গত ১৫ নভেম্বর স্থগিত থাকা সম্মান শেষ বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।কিন্তু বিভাগগুলোতে পরীক্ষা সংক্রান্ত কোন নির্দেশনা না যাওয়ায় বিভাগগুলো পরীক্ষার নেওয়ার ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করে।এরই প্রেক্ষিতে গত ২৫ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়।সর্বশেষ,গত ২৯ নভেম্বর অসমাপ্ত পরীক্ষা সংক্রান্ত গঠিত কমিটির প্রথম সভায় পরীক্ষার ব্যাপারে মৌখিক ও প্র‍্যাক্টিক্যাল পরীক্ষাগুলো সবার আগে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ থেকে বলা হয়,’বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে তিনমাস আগেই স্থগিত পরীক্ষাসমূহ পর্যায়ক্রমে নিয়ে নিতে পারতো।সর্বশেষ বিভিন্ন বিভাগের সম্মান ৪র্থ বর্ষের স্থগিত লিখিত পরীক্ষা শেষ না করেই ভাইবা এবং প্র‍্যাকটিকাল পরীক্ষাসমূহ গ্রহণের সিদ্ধান্ত কে সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্থগিত পরীক্ষাসমূহ না নেয়ার দুরভিসন্ধি হিসেবেই দেখছে।করোনা পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে তো তখন লিখিত পরীক্ষা দেয়াটা জটিল হয়ে পড়বে।’

তারা জানান,’ইতোমধ্যে ৪২ তম ও ৪৩ তম বিসিএসের সার্কুলার প্রকাশিত হয়েছে। এ অবস্থায় ডিসেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন বিভাগের সম্মান ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষাসমূহ শেষ না হলে, বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অল্পের জন্য ৪১তম এর পর ৪৩ তম বি সি এস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ হারাবে।’

এমতাবস্থায় সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ থেকে বলা হয়, ‘আগামী বৃহস্পতিবারের(৩ডিসেম্বর) মধ্যেই বিভিন্ন বিভাগের ৪র্থ বর্ষের স্থগিত লিখিত পরীক্ষাসমূহ ডিসেম্বর মাসের ভিতরেই গ্রহণের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে। এর ব্যতয় ঘটলে আগামী রোববার থেকে আমরণ অনশনে যাবে শিক্ষার্থীরা।’

কোন শিক্ষার্থী যদি অংশগ্রহণ করতে না পারে সেক্ষেত্রে কী হবে এই প্রশ্নের উত্তরে তাঁরা জানান,”আমরা যারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবো আমরা সম্পূর্ণ নিজেদের রিস্ক নিয়েই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবো।তবে কোনো শিক্ষার্থীর সাথে কোনোরূপ প্রহসন আমরা মেনে নেবো না।”

স্বাস্থ্যবিধির প্রশ্নে তাঁরা বলেন,”স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনে আমরা প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনের নামে শিক্ষার্থীদের সাথে কোনো অন্যায় হলে সেটা আমরা মেনে নেবো না।”

পরীক্ষা প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছিল পরীক্ষা গ্রহণ একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া তাই দেরি হচ্ছে। তাঁরা শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করছে একই সাথে স্বাস্থ্যবিধির বিষয় নিয়েও চিন্তা করছে।

সম্মান শেষ বর্ষের পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত,প্রথমে ভাইভা ও প্রাক্টিক্যাল

চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আটকে থাকা সম্মান শেষ বর্ষের পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চবি প্রশাসন। এক্ষেত্রে মৌখিক ও প্রাক্টিক্যাল পরীক্ষাগুলো সবার আগে নেওয়া হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড.এস এম মনিরুল হাসান।

চবি রেজিস্ট্রার দ্য ক্যাম্পাস টুডে’কে বলেন, “পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বহাল আছে।প্রথমে মৌখিক ও প্রাক্টিক্যাল পরীক্ষাগুলো নিয়ে নেওয়া হবে।পরবর্তীতে পরিস্থিতি বুঝে বিভাগের সভাপতি ও ডিনেরা মিলে সমন্বয় করে ক্রমান্বয়ে লিখিত পরীক্ষাসমূহ নেবে।পরীক্ষা সম্পর্কিত নির্দেশনা বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।”

উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর করোনায় আটকে থাকা সম্মান শেষ বর্ষের পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছিল সম্মান শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা।