বশেমুরবিপ্রবিতে সেইভের আয়োজনে ‘আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস’ পালিত

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) স্টুডেন্ট’স এগেইনেস্ট ভায়োলেন্স এভরিহয়ার (সেইভ) এর আয়োজনে ‘শান্তির বাংলাদেশ গড়ি’ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস পালিত হয়েছে।

সোমবার (০২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরী এর সামনে থেকে এ উপলক্ষে র‍্যালি শুরু হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও বশেমুরবিপ্রবি সেভ চ্যাপ্টারের মডারেটর এমদাদুল হক এবং সাদিয়া আফরিন, সেইভের জেনারেল সেক্রেটারি কামাল হোসেন,কো প্রেসিডেন্ট দিসা হালদার পূজাসহ সেইভের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্যবৃন্দ ও ক্যাম্পাসে অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বশেমুরবিপ্রবি সেভ চ্যাপ্টারের মডারেটর এমদাদুল হক বলেন , সেভ সুনামের সাথে বিগত কয়েক বছর ধরে দেশ ব্যাপী নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে ।আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও সেভ এর টিম নিয়মিত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে ।মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন উপলক্ষে এ দিনটি প্রতিবছর উদযাপন করা হয় এবং এই অহিংস আন্দোলন এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যা এখন বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

মডারেটর সাদিয়া আফরিন বলেন, আমরা যারা যুবক আছি আমাদের হাত ধরেই শান্তির বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে । আমরা চাই আমাদের দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে যাক ।

কো প্রেসিডেন্ট এবং জেনারেল সেক্রেটারি বলেন, সহিংসতাকে বর্জন করি অহিংসা তাকে ধারণ করি, শান্তির বাংলাদেশ গড়ি ।

পর্যটন দিবসের কেস কম্পিটিশনে প্রথম রানারআপ বশেমুরবিপ্রবি টিম

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:বিশ্ব পর্যটন দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘ট্যুরিজম অ্যান্ড গ্রিন ইনভেস্টমেন্ট’ এর উপর ভিত্তি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের আয়োজনে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কেস কম্পিটিশনে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের টিম ‘দা ক্লুলেস এক্সপ্লোরার ‘ প্রথম রানারআপ হয়েছে।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাবসার শিক্ষা অনুষদে আয়োজিত কেস কম্পিটিশনে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে দশটি টিম আংশগ্রহন করেন । সেখানে গত ১৮ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে দেওয়া নির্দিষ্ট কেস সলভ করে তার উপর প্রেজেন্টেশন তৈরি করে অংশগ্রহণকারী দলগুলো প্রেজেন্টেশন দেন। যেখানে প্রতিটা টিমে ৪ জন প্রধান উপস্থাপক এবং ৪ জন সহকারী উপস্থাপক মিলিয়ে ৮ জন করে সদস্য ছিলো। অনুষ্ঠান শেষে বিচারকদের মতামতের ভিত্তিতে ঢাকা কমার্স কলেজ চ্যাম্পিয়ন ,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম রানারআপ এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় রানারআপ হিসেবে নির্বাচিত হয়।

বশেমুরবিপ্রবির টিম দা ক্লুলেস এক্সপ্লোরার সদস্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সিফাত আবদুল্লাহ (টিম লিডার),কৌশিকী বৈদ্য, অয়ন বণিক ও আবুবকর সিদ্দিক অনিক ।

জাতীয় পর্যায়ে নিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগকে রিপ্রেজেন্ট করেতে পারা এবং সফলতা অর্জনে করতে পেরে তারা বলেন, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কেস কম্পিটিশনের মত এমন বড় একটা ইভেন্টে আমরা নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় এবং ডিপার্টমেন্টেকে রিপ্রেজেন্ট করতে পেরে গর্ববোধ করছি এবং এই সফলতা অর্জন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমাদের এই সফলতার পিছনে আমাদের বিভাগের শিক্ষকদের অবদানই বেশি তারা সার্বক্ষণিক আমাদের পরামর্শ দিয়ে এবং সাহায্য সহযোগিতা করে সামনে এগিয়ে যেতে উৎসাহ যুগিয়েছেন। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তাদের এই সাহায্য সহযোগিতায় ভবিষ্যতে আমার আরো ভালো কিছু করতে এবং পর্যটন খাতকে একটা শিল্পতে পরিনত করতে অবদান রাখতে পারবো।

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে বশেমুরবিপ্রবি সাতক্ষীরা জেলা অ্যাসোসিয়েশনের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাতক্ষীরা জেলা অ্যাসোসিয়েশন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছে।

২৮ সেপ্টেম্বর (বৃহষ্পতিবার) সকাল ১১ ঘটিকায় এই কর্মসূচি শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে, কেন্দ্রীয় মন্দির প্রাঙ্গণে, স্বাধীনতা দিবস হলের পাশে ৭৭ টি আম্রপালি জাতের আম গাছ রোপণ করা হয়।
কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার জনাব শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন। সভাপতিত্ব করেন ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক জনাব মুজাহিদুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও শেখ রাসেল হল এর প্রভোস্ট মোঃ এমদাদুল হক ও অ্যাসোসিয়েশন এর সদস্যরা। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাতক্ষীরা জেলা অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক সৌরভ কর্মকার।
প্রধান অতিথি শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন বলেন, “আজ বঙ্গবন্ধুর স্নেহের কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিন। আমাদের নেত্রীর জন্মদিনের উপহার- আমাদের সাতক্ষীরার অসংখ্য আম গাছের চারা। পরিবেশের এই বিপর্যয় রোধে আমাদের সকলকে বৃক্ষরোপণে এগিয়ে আসতে হবে এমন পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে হবে। আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।”
ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক জনাব মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন জনপ্রিয় নেত্রী। তার জন্মদিন উপলক্ষে বৃক্ষ রোপণ করে আমরা তার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানাতে চাই।” রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও শেখ রাসেল হল এর প্রভোস্ট মোঃ এমদাদুল হক বলেন, “সাতক্ষীরা জেলা অ্যাসোসিয়েশনের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এই বৃক্ষগুলো আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করবে।”
সাতক্ষীরা জেলা অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক সৌরভ কর্মকার বলেন, “নেত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে আমরা আজ ৭৭ টি বৃক্ষরোপণ করেছি। বর্তমান বৈশ্বিক পরিবেশ বিপর্যয়ের কথা চিন্তা করলে, বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই।”

একুশে বশেমুরবিপ্রবি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ আজ ৮ জুলাই । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) দিবস। এ বছর ২১তম বর্ষে পদার্পণ করছে বশেমুরবিপ্রবি।

২০০১ সালের ৮ জুলাই জাতীয় সংসদে বশেমুরবিপ্রবি আইন-২০০১ পাসের মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান গোপালগঞ্জে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। শিক্ষার্থী সংখ্যার দিক থেকে বর্তমানে এটি বাংলাদেশের ৪র্থ বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। নীতি বাক্য-জানুন, চিন্তা করুন, পরিবর্তন সাধন করুন।

ফরম ফিলাপের ফি নিয়ে বিপাকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা

২০০১ সালের ১৩ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু পরবর্তীতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে ২০০২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্পটি বন্ধ ঘোষণা করে। পুনঃক্ষমতায় এসে ২০১০ সালে আওয়ামীলীগ সরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পটি পুনরুজ্জীবিত করে এবং ২০১১ সালে মাত্র ১৬০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আটটি অনুষদের অধীনে ৩৪টি বিভাগে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছেন।

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে চলতি বছরে অত্যন্ত সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিবসটি উদযাপন করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

দিবস উদযাপন নিয়ে বশেমুরবিপ্রবি উপচার্য এ কিউ এম মাহবুব জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনে বেশ কিছু পরিকল্পনা থাকলেও কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে দিবসটি উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে না থাকায় সকল আনুষ্ঠানিকতাই অপূর্ণ থেকে যায়। আমরা আশা করি কোভিড-১৯ অতিমারি মুক্ত হয়ে আগামীতে জাকজমকপূর্ণ ভাবে উদ্‌যাপিত হবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস।#একুশে বশেমুরবিপ্রবি

পেনশনের নীতিমালা করতেই ব্যয় সাড়ে ৭ লাখ টাকা

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা,কর্মচারীদের পেনশন ও ভবিষ্যত তহবিল নীতিমালা সংশোধন এবং অনুমোদনের জন্য সাত লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার ব্যয় দেখানো হয়েছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি)। এমনকি রিজেন্ট বোর্ড এবং অর্থ কমিটির অনুমোদন ছাড়াই এই সম্পূর্ণ অর্থ অগ্রীম প্রদান করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বশেমুরবিপ্রবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং পেনশন ও ভবিষ্যত তহবিল নীতিমালা কমিটির সদস্য সচিব গোলাম হায়দারকে এই অর্থ প্রদান করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে ২০২০ সালের ২ জানুয়ারির অর্থ প্রাপ্তির আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, “নীতিমালা সংশোধন, সারসংক্ষেপ তৈরি এবং নীতিমালা দুইটি অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এর অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিবসহ তাদের দপ্তরের কর্মকতা ও কর্মচারীবৃন্দ অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। মন্ত্রনালয়ের নিয়মানুযায়ী এর সাথে কাজ করার জন্য মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিবসহ তাদের দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত কমিটির সদস্য বৃন্দ তাদের প্রাপ্ত বেতনের বেসিক অনুযায়ী একটি করে বেসিক সম্মানী হিসেবে পাওয়ার দাবীদার।”

অনিশ্চিত হয়ে গেল ২ হাজার ৫০০ শিক্ষক নিয়োগ

আন্তর্জাতিক দ্য ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড পেলেন খুবি ছাত্র ইউসুফ

আবেদনপত্রে এই হিসেবে অনুযায়ী আনুষঙ্গিক খরচসহ মোট সাত লাখ টাকার নথি পেশ করা হয়। নথিতে দেখা যায় শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব, একজন যুগ্ম সচিব এবং সাতজন কর্মকর্তা কর্মচারীসহ মোট নয়জনকে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩০ টাকা প্রদান করার তালিকা দেয়া হয়েছে।

এদের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো: আবদুল্লাহ আল হাসান চৌধুরীকে ৭৬,৪৯০ টাকা, যুগ্মসচিব (বৃত্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) সৈয়দ আলী রেজাকে ৬৩,৫৭০ টাকা, বৃত্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: আবুল কালাম আজাদকে ২০,৪৪০ টাকা, কম্পিউটার অপারেটর হামিদা মুক্তিকে ১২,৭৪০ টাকা, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক চায়না আক্তারকে ১১,৩২০ টাকা, অফিস সহায়ক জান্নাতুল ফেরদৌসকে ১৫,৯৬০ টাকা, অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) এর দপ্তরের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলামকে ৩৪,০১০ টাকা এবং অফিস সহায়ক মো: আসাদকে ১৩,৯০০ টাকা দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

আবেদনপত্র অনুযায়ী২০২০ সালের ০২ জানুয়ারি ভর্তি কোর কমিটির ৬ জন সদস্যের অনুমোদন সাপেক্ষে তৎকালীন উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি তহবিল থেকে বর্ণিত ব্যয়ভার বহনের জন্য অনুমোদন করেন। তবে এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটির অনুমোদন নেয়া হয়নি এবং অর্থ কমিটির অনুমোদন ছাড়াই পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস.এম গোলাম হায়দারকে একইদিনে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা অগ্রীম প্রদান করা হয়।

এ বিষয়ে পেনশন ও ভবিষ্যত তহবিল কমিটির সদস্য সচিব এস এম গোলাম হায়দার বলেন, “কমিটির সকলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টাকাটা আমার নামে দেয়া হয়েছিলো। তবে তালিকায় উল্লেখিত শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং যুগ্ম সচিবকে এখনও কোনো টাকা দেয়া হয় নি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা কমিটিতে ছিলেন তাদের মধ্যে ৩-৪ জন ছাড়া আর কেউ এখনও টাকা গ্রহণ করেন নি।”

এসময় তিনি আরও বলেন, “আমরা এখনও অর্থ সমন্বয় করিনি, এর মধ্যে কেউ টাকা ফেরতও দিতে পারে।”

তবে এস এম গোলাম হায়দার কমিটির সকলের সিদ্ধান্তে অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে দাবি করলেও এই বক্তব্যের সাথে দ্বিমত জানিয়েছেন কমিটির সদস্য এবং মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি তাপস বালা। তিনি বলেন, “অর্থ উত্তোলন করা হবে এ বিষয়ে আমাকে কিছুই জানানো হয় নি, এমনকি এ বিষয়ে অর্থ উত্তোলনের পূর্বে কোনো মিটিংয়েও আমাকে ডাকা হয় নি।”

এ বিষয়ে তৎকালীন উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) এবং পেনশন ও ভবিষ্যত তহবিল কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মো: শাহজাহান বলেন, “টাকাটা অগ্রীম তোলা হয়েছিলো এবং পরবর্তীতে সমন্বয় করার কথা ছিলো। এছাড়া কথা ছিলো অর্থ কমিটির অনুমোদন পেলে টাকাটা বিতরণ করা হবে।” তবে আবেদনপত্রে অর্থ কমিটির অনুমোদনের শর্ত সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, “কোনো কমিটি গঠন করা হলে কমিটির মিটিং আয়োজনের জন্য কিছু পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয় তবে সেই অর্থের পরিমাণ এত বড় অংকের হয় না। এছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে নীতিমালা তৈরি এবং অনুমোদনের পর সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যদের একটি সম্মানি দেয়া হয়। তবে সেটি অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী রিজেন্ট বোর্ড, অর্থ কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হতে হয়। এখানে যে কারণ দেখিয়ে যে পদ্ধতিতে অর্থ নেয়া হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত।”

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড. এ.কিউ.এম মাহবুব বলেন, “আমি বিষয়টা সম্পর্কে ইতোমধ্যে জেনেছি। এখানে কিছু নিয়মের ব্যতয় ঘটেছে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার স্ট্যাটাস দেওয়া সেই ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার স্ট্যাটাস দিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ মিনাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ বৃহস্পতিবার(২৪ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো আব্দুর রউফ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ কথা জানানো হয়েছে।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ফয়সাল আহমেদ, পিতা- আমিনুর রহমান মিনা, আইডি নং- ১৮ পিএস১৪৫, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় কিন্তু সে ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টার ও ১ম বর্ষ ২য় সেমিস্টার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে তার পুন ঃ ভর্তি হওয়ায় কথা থাকলেও সে ভর্তি হয়নি।

অফিস আদেশে আরো বলা হয়, গত ২৩/০৬/২০২১ তারিখে তার ফেসবুক আইডি হতে সে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রসঙ্গে অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্খিত স্ট্যাটাস দেয়, যা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমুর্তিকে ক্ষুন্ন করেছে। তার এহেন রাষ্ট্রবিরােধী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপের প্রেক্ষিতে তাকে অত্র বিশ্ববিদ্যালয় হতে এত্বারা সাময়িক বহিষ্কার করা হলাে।

প্রসঙ্গত, ফয়সাল আহম্মেদ মীনা (২৫) ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গুলি করে হত্যার স্ট্যাটাস দিয়ে গ্রেফতার হয়েছে।
এ ঘটনায় গত বুধবার সদর উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি মো. মাসুদ রানা বাদী হয়ে ঐ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ৪২, তাং ২৩/০৬/২০২১)।

এদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের পর ফয়সাল আহমেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

করোনা টিকার নিবন্ধন করেননি বশেমুরবিপ্রবির প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী

 

সাগর, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( বশেমুরবিপ্রবি ) প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী করোনা টিকা গ্রহণের জন্য আবেদন করেননি। এদিকে রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা শেষ হলেও পরবর্তীতে স্বল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী করোনা টিকার জন্য নিবন্ধন করলেও বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেননি।

আজ বুধবার (৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রশাসন শাখার সহকারী রেজিস্টার মোঃ মোরাদ হোসেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে করোনা টিকার আওতায় আনতে রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ শেষ হয় ৫ এপ্রিল এ পর্যন্ত নিবন্ধন করেন ২০২০ জন কিন্তু পরবর্তীতেও সময়সীমা বৃদ্ধি না করলেও ১০৬৮ জনের নিবন্ধন জমা নিয়েছি। এ নিয়ে মোট নিবন্ধন করেন ৩৩৮৮ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া শিক্ষক ১৫১ জন ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিবন্ধন করেন ১৪৪ জন।

 

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংগ্রহ শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১২ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে গত ১ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে অপেক্ষাকৃত কম রেজিস্ট্রেশন হওয়ায় সময়সীমা শেষ হলেও নিবন্ধন জমা নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতৃপক্ষ।

ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, তদন্তের মুখে চাকরি ছাড়লেন শিক্ষক

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি :গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের খন্ডকালীন এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।ওই শিক্ষকের নাম শান্তনু বিশ্বাস লিংকন। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সেলের প্রধান মানসুরা খানম।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই একই বিভাগের এক ছাত্রীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হটস্অ্যাপে আপত্তিকর ছবি পাঠায় শিক্ষক । পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সেলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দেয় এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে তাদের ক্লাস নেয়া থেকে বিরত রাখার জন্য আবেদন জানায়।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলাকালীন সময়ে গতকাল (২ জুন ) শান্তনু বিশ্বাস লিংকন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন।

শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান বশেমুরবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: করোনার কারণে দীর্ঘ ১৪ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর গত ২৪ মে সারাদেশ ব্যাপি শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ শিক্ষামন্ত্রী লাইভে এসে চলমান ছুটি ১২ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন।

এদিকে শিক্ষামন্ত্রীর ১২ জুন পর্যন্ত ছুটি বৃদ্ধির আদেশ প্রত্যাখান করে বিবৃতি প্রদান করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আজ (২৬ মে) সন্ধ্যা ৭টায় একাডেমিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা এ বিবৃতি প্রদান করেন।

বিবৃতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, “বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে” তেমনি শিক্ষার্থীদের স্থান-ই ক্যাম্পাস। সেই ক্যাম্পাস যদি ফাঁকা পড়ে থাকে, জাতির মেরুদন্ডই যদি ঝিমিয়ে পড়ে, হতাশায় ভুগে, তাহলে এই জাতির কি হবে!

শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখান, আগামীকাল সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ

তারা আরও বলেন, ২৪ মে সারাদেশে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে। অথচ কোনো ফলাফল পাইনি। আমরা সবচেয়ে বেশি হতাশ হয়েছি আজকে যখন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নিজেই বলেছেন ১৩ জুন থেকে স্কুল কলেজ খুলে দেয়া হবে। আমরা একটা প্রশ্ন ছুড়ে দিতে চাই যে, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের করোনা সম্পর্কে সচেতনতা বেশি নাকি পাবলিক বিশবিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বেশি?

এছাড়া প্রাইভেট বিশবিদ্যালয়ের কার্যক্রম পুরোদমে চলছে, মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের হল খোলা এবং তাদের টার্ম পরীক্ষাও নেয়া হচ্ছে, তাহলে আমাদের-ই কেন বন্ধ থাকবে? এটা এক ধরনের বৈষম্য।

আমরা সর্বোচ্চ বিনয়ের সাথে অনুরোধ করছি, আমাদের লক্ষ লক্ষ সাধারণ শিক্ষার্থীদের দিকে তাকিয়ে,তাদের পরিবারের দিকে তাকিয়ে হলেও বিশ্ববিদ্যালয় অনতিবিলম্বে খুলে দেয়া হোক।

 

হল-ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে বশেমুরবিপ্রবিতে মানববন্ধন

 

বশেমুরবিপ্রবি টুডে

করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ ১৪ মাস হল ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) অবিলম্বে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৪ মে) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তায় শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা প্রত্যাহার করেন। শুধু তাই নয় প্লাকার্ড হাতে শিক্ষার্থীরা বলেন, ” সিনাম হল খোলা, শপিংমল খোলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কেন”?

শুধু প্লাকার্ড হাতে নয় মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ” শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি করোনার উত্স হয় তাহলে অফিস আদালত কলকারখানা কি করোনা থেকে মুক্ত? শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে টালবাহানা না করে দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবি জানান তারা।

তারা আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমরা হতাশাগ্রস্থ , আর তারচেয়েও বেশি হতাশাগ্রস্থ আমাদের পরিবার। যেখানে পড়ালেখা শেষ করে পরিবারের হাল ধরবো সেখানে বেকার হয়ে ঘুরতেছি। আমরা আর অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষা নামক প্রহসন চাইনা, সরাসরি ক্লাসে উপস্থিত হতে চাই।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিনীত অনুরোধ অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন।”

শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনের বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড.একিউএম মাহবুব বলেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন করার অধিকার রয়েছে। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ না এলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হতো। তবে আশা করছি সরকার দ্রুতই শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করবে।”