চবির ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ ও প্রবেশপত্র সংগ্রহের সময়সীমা প্রকাশ

চবি প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) স্নাতক ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ইউনিট ভিত্তিক পুনঃনির্ধারিত তারিখ প্রকাশ করা হয়েছে। একই সাথে প্রবেশপত্র সংগ্রহের নতুন সময়সীমাও প্রকাশ করা হয়েছে।

বুধবার (১১আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার(একাডেমিক) স্বাক্ষরিত এক অফিস বিজ্ঞপ্তিতে নতুন এই সময়সূচি জানানো হয়।

করোনা পরিস্থিতিতে দুই দফা পিছিয়ে আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে ১৫ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত।

ইউনিট ভিত্তিক পরীক্ষার পুনঃনির্ধারিত সময়সূচি – ‘বি’ ইউনিট এর পরীক্ষা ২৭ অক্টোবর ও ২৮ অক্টোবর, ‘সি’ ইউনিট এর পরীক্ষা ২৯ অক্টোবর, ‘ডি’ ইউনিট এর পরীক্ষা ৩০ অক্টোবর ও ৩১ অক্টোবর, ‘এ’ ইউনিট এর পরীক্ষা ১ নভেম্বর ও ২ নভেম্বর , ‘বি১’ উপ ইউনিট এর পরীক্ষা ৫ নভেম্বর সকাল ৯টা ৪৫ এবং ‘ডি১’ উপ ইউনিট এর পরীক্ষা ৫ নভেম্বর দুপুর ২টা ১৫টায় অনুষ্ঠিত হবে।

ব্যবহারিক পরীক্ষার সময়সূচি- ‘চারুকলা ইনস্টিটিউট – ১৫ নভেম্বর, ‘নাট্যকলা বিভাগ – ১৬ নভেম্বর, ‘সংগীত বিভাগ – ১৮ নভেম্বর, ‘ফিজিকাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগ – ২০ নভেম্বর ও ২১ নভেম্বর ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণ করবে।

প্রবেশপত্র সংগ্রহের নতুন সময়সীমা – ‘বি’ ইউনিট ১২ অক্টোবর, ‘সি’ ইউনিট ১৪ অক্টোবর, ‘ডি’ ইউনিট ১৫ অক্টোবর, ‘এ’ ইউনিট ১৭ অক্টোবর এবং ‘বি১’ও ‘ডি১’ উপ ইউনিটে ২১ অক্টোবর থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি ইউনিট সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার ১ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্রবেশপথ সংগ্রহ করতে পারবেন।

ভর্তি প্রক্রিয়া ও স্থান- প্রতিবারের মতো এবারও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ১০০ নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া জিপিএ এর ভিত্তিতে ২০ নম্বর থাকবে। বহুনির্বাচনী পদ্ধতির এই ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর হবে ৪০।

আসনপ্রতি লড়বে ৩৭ জন- এবারের ৪ হাজার ৯২৬টি আসনের বিপরীতে ১লাখ ৮৩ হাজার ৮৬৩ জন শিক্ষার্থীর লড়বেন। সে হিসাবে প্রতি আসনপ্রতি লড়বে ৩৭ জন।

আসন সংখ্য- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। এতে ৪ হাজার ৯২৬টি আসন রয়েছে। এরমধ্যে ‘এ’ ইউনিটে আসন রয়েছে ১ হাজার ২১৪টি, ‘বি’ ইউনিটে ১ হাজার ২২১টি, ‘সি’ ইউনিটে ৪৪২টি, ‘ডি’ ইউনিটে ১ হাজার ১৫৭টি। উপ ইউনিটের মধ্যে ‘বি-১’ ইউনিটে ১২৫টি ও ‘ডি-১’ ইউনিটে ৩০টি আসন রয়েছে।

#চবির ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ ও প্রবেশপত্র সংগ্রহের সময়সীমা প্রকাশ

শুধু ঢাকা নয় বিভাগীয় শহরগুলোতে পৌঁছে দেওয়ার দাবি চবি শিক্ষার্থীদের

 

চবি প্রতিনিধি

আগামী পহেলা জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে কঠোর লকডাউন।এরই মধ্যে গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।তাই লকডাউন বিবেচনায় পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)কর্তৃপক্ষ।পরীক্ষার্থীদের পৌঁছে দিতে দুটি বাসের ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ।

তবে এই পরিস্থিতিতে শুধু ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ঢাকার বাইরে দূরদূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীরা।

সোমবার(২৮জুন) দিবাগত রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দুইটি বাসের মাধ্যমে ঢাকা পর্যন্ত পৌছে দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,বিভিন্ন বিভাগ/ইনস্টিটিউটের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপদে বাসায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ২টি বাস ২৯ জুন ২০২১ রাত ১০ টায় চবি স্মরণ চত্বর থেকে ছেড়ে জিইসি (কামাল স্টোর) হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিবে।

এমতাবস্থায় শুধু ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া,বাস সংখ্যা কম ও সুবিধাজনক সময় না হওয়ায় মিশ্রপ্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন দূরদূরান্ত থেকে আসা পরীক্ষার্থীরা।তারা বলছেন,শুধু ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছে দিলে বাকি পথটুকু তারা কীভাবে পৌঁছাবেন।মাত্র দুইটি বাসে শিক্ষার্থী সংকুলান হবে কিনা সেটি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।শিক্ষার্থীদের দাবি,বাসের সংখ্যা বাড়িয়ে তাদেরকে যেন অন্তত বিভাগীয় শহরগুলোতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী আল মুজাহিদ রাহয়ান বলেন, চবি প্রশাসন মাত্র দুইটা বাস দিবে তাও শুধু ঢাকাতে যাবে যেটা চাহিদা অনুযায়ী নিতান্তই অপ্রতুল।অনেক জেলার শিক্ষার্থীরা দূরপাল্লার বাস না চলার জন্য ক্যাম্পাসে আটকা পড়ে আছে।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট অনুরোধ আপনারা দয়া করে আমাদের কে এহেন বিপদ থেকে উদ্ধার করুন।

ফারজানা রাহমান সাদিয়া নামের এক ছাত্রী মন্তব্য করে লিখেন, রাত ১০ টায় ছাড়লে ঢাকায় আসবে ভোর ৩/৪ টার দিকে,এই সময় মেয়ে গুলা কই যাবে।আর ঢাকা থেকে সব বাস অফ।আশা করি এইবার অন্তত ছাত্র প্রতিনিধিরা একটু চাপ দিবে,যেন ৭ টা বাস দেয়,বাকিদের অনুকরণ করে হলেও।

আজিমুজ্জান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ৩৬০ কোটি টাকার থেকে কয়েক হাজার টাকা কি ছাত্রদের পিছে খরচ করা যাবে না?সবাই কি ঢাকায় থাকে?

এছাড়া একাধিক বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, আগামী ৩০জুনও তাদের পরীক্ষা আছে।পরীক্ষা শেষের এক দিন আগে বাস ছাড়ার সিদ্ধান্ত অগ্রহণযোগ্য।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.রবিউল হাসান দ্য ক্যাম্পাস টুডেকে বলেন, আজ(মঙ্গলবার) এবং আগামীকাল(বুধবার) দুই দিনের জন্য বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।শিক্ষার্থী অনুযায়ী প্রয়োজনে বাস সংখ্যা বাড়ানো হবে।বাস ঢাকা পর্যন্তই যাবে।এর বাইরে সম্ভব না।

তিনি বলেন, বাস যদি বিকালে ছাড়ে তাহলে রাতে ঢাকা পৌঁছাবে।এতে ভোগান্তি বাড়বে।তাই বাস রাতে ছাড়লে সকালে তারা ঢাকা যেতে পারবে।

গণপরিবহণ বন্ধে পরীক্ষার্থীদের জন্য চবির বিশেষ বাস

 

চবি প্রতিনিধি

লকডাউনে গণপরিবহণ বন্ধের সিদ্ধান্তে পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে বিশেষ বাস সার্ভিস চালু করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।চট্টগ্রাম শহর থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের পৌঁছে দেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি বাস।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া।আজ সোমবার ২৮ জুন থেকে ৩০ জুন বুধবার পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য এই বিশেষ বাস সার্ভিস চালু থাকবে।

চবি প্রক্টর বলেন, পরীক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে ৪ টি বাস চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে সকাল ৮ টায় ছাড়বে এবং পরীক্ষা শেষে বাসগুলো ক্যাম্পাস হতে বিকেল ৪ টায় শহরের উদ্যেশে ছেড়ে যাবে।৩০জুন পর্যন্ত এই সার্ভিস চালু থকাবে।

চট্টগ্রাম শহর থেকে বাস ছাড়ার পয়েন্ট গুলো হলো একে খান মোড়,বড়পুল,নিউমার্কেট ও রাহাত্তারপুল।

চবিতে কর্মরত শ্রমিকদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা

চবি প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাবসায় প্রশাসন অনুষদে কর্মরত শ্রমিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। কর্মরত শ্রমিকরা অনুষদে রঙের কাজ করতেন।

শনিবার (২৬) জুন সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে, ১৫ থেকে ২০জনের একটি দল এসে কর্মরত শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে দিয়ে তাদের উপর মারধর শুরু করে। এর আগেও গত সপ্তাহে এসে তারা কাজ না করার জন্য শ্রমিকদের হুমকি দিয়ে যায়।

মারধরের শিকার একজন ভুক্তভোগী শ্রমিক বলেন, আমরা গরীব মানুষ,দৈনিক ভিত্তিতে এখানে কাজ করি। হঠাৎ একদল এসে আমাদের উপর মারধর চালায় এবং বলে তোরা এখনে কাজ করতেছস কেন, তোদের কাজ করতে নিষেধ করছিলাম না। মুখে মাস্ক পরা ছিল সবাই।

ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর এস এম সালামত উল্ল্যা ভুঁইয়া বলেন, গত সাপ্তাহ থেকে বেশ কয়েকজন ছেলে এসে এখানে কর্মরত শ্রমিকদের হুমকি দিতে থাকে। বিষয়টি আমি প্রক্টরকে জানিয়েছিলাম। এই সপ্তাহে তারা কাজ শুরু করলে আজকে আবার তাদের মারধর করে চলে যায়। এরা কারা সেটা আমরা বলতে পারছি না।এইভাবে চললে তারা কাজ করবে কীভাবে। আমি বিষয়টি ভিসি, প্রো ভিসি, প্রক্টরকে অবহিত করেছি। তারা ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।

ফেকাল্টিতে কর্মরত প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, তারা হঠাত করেই এসে মারধর করে চলে যায়।এরপরই প্রক্টোরিয়াল বডি আসেন। সিসি টিভিতে তাদের রেকর্ড আছে। আমরা সবাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।ভয়ে কেউ কাজ করতে চাইছে না।

এবিষয়ে জানতে চাইলে চবি প্রক্টর ড.রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, খবর পেয়েই আমরা প্রক্টোরিয়াল বডি সেখানে যাই। তাদেরকে চিহ্নিত করে আমরা ব্যবস্থা নিব।

ট্রাকচাপায় প্রাণ হারালেন চবির সাবেক ছাত্র

 

চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানহাট মোড়ে ট্রাক-মোটর বাইক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মো. ইমরুল কাদের (৩৮)।তিনি চবির ফাইন্যান্স বিভাগের ৩৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

গত সোমবার (১৪ জুন) সন্ধা ৭ টার দিকে সংঘর্ষে তার মৃত্যু হয়।

জানা যায়, ইমরুল কাদের মিরসরাই উপজেলার আলমগীর চৌধুরীর ছেলে। তিনি চবি’র ২০০২-৩ সেশনের (৩৮ তম) ব্যাচের ফাইন্যান্স বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি কেনপার্ক প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র মার্চেন্ডাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।এছাড়াও চবি’র বগি ভিত্তিক প্রগতিশীল সংগঠন ‘একাকার’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং চবি ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চবি ফাইন্যান্স বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কাজী মো. তানজিম হোসাইন বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় তিনি মারাত্মক ভাবে আহত হন। পরে আগ্রাবাদ ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে তার লাশ মিরসরাইতে নেওয়া হচ্ছে। আগামীকাল তার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইমরুল কাদের ভাই জামায়াত -বিএনপি আমলের পরীক্ষিত একজন ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। তিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন একাকার পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু

 

নুর নওশাদ : করোনার কারণে স্থগিত হওয়া পরীক্ষাসমূহ সশরীরে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়(চবি) কর্তৃপক্ষ।আজ থেকেই চবিতে স্থগিত পরীক্ষা নেওয়া শুরু হয়েছে।

বুধবার(৯জুন) চবি মার্কেটিং বিভাগের ১৬-১৭ সেশনের ২৫তম ব্যাচের স্থগিত ষষ্ঠ সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেয়ার মধ্য দিয়ে আবারো সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু হয়েছে।

পরীক্ষা শুরু হলেও বন্ধ থাকছে হল।ফলে পরীক্ষার্থীদের স্থানীয় মেস কিংবা কটেজে থেকেই পরীক্ষা দিতে হচ্ছে।তবে পরীক্ষায় উপস্থিতির হার শতভাগ।

ইতোমধ্যে আরো বেশকিছু বিভাগ পরীক্ষার তারিখ ও রুটিন প্রকাশ করেছে।শুরুতেই বিভাগগুলো তাদের স্থগিত হওয়া পরীক্ষাসমূহ গ্রহণ করবে।

নৃবিজ্ঞান বিভাগ ১০ জুন থেকে সম্মান শেষ বর্ষের স্থগিত পরীক্ষা নেয়ার রুটিন প্রকাশ করেছে।ইংরেজি বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা হবে ১৩ জুন থেকে।রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৬ জুন থেকে এম.এস.এস পরীক্ষার নোটিশ দিয়েছে।অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা ২৮ জুন থেকে শুরু হবে বলে ।মার্কেটিং ২৬ তম ব্যাচের পরীক্ষা ২১জুন থেকে শুরু হবে।প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগ ২০ তারিখ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বর্ষের মৌখিক,ব্যবহারিক ও তাত্ত্বিক পরীক্ষা নিবে।

এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগ ১৫ তারিখের পর সিদ্ধান্ত দিবে বলে জানিয়েছে।

পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি ‘ইতিবাচক’ ভাবে দেখছেন চবি শিক্ষার্থীরা।এর আগে বেশ কয়েকবার সশরীরে পরীক্ষা ও ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৫-১৬ সেশনের সম্মান শেষবর্ষের শিক্ষার্থী আকাশ মজুমদার বলেন, আমরা এতদিন খুবই ডিপ্রেশনে ছিলাম।পরীক্ষার সিদ্ধান্তে মনে হচ্ছে এখন নিশ্বাস নিতে পারবো।আমরা খুবই বাজে অবস্থায় পড়ে গেছিলাম।

অর্থনীতি বিভাগের ১৪-১৫ সেশনের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মিছবাহ উদ্দীন আহমেদ বলেন, এতোদিন ধরে আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়াতে আমার অর্থনীতি ডিপার্টমেন্ট সহ সকল ডিপার্টমেন্ট অবশ্যই ধন্যবাদ প্রাপ্য। আশা করছি যথাসময়ে পরীক্ষাগুলো দেওয়ার মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীরা আবারও আমাদের প্রাত্যহিক ব্যস্ত জীবনে ফিরে যেতে পারবো।

এবিষয়ে চবি ব্যাবসায় প্রসাশন অনুষদের ডিন প্রফেসর এস এম সালামত উল্ল্যা ভুঁইয়া বলেন, মার্কেটিং বিভাগে কয়েকটি পরীক্ষা বাকি ছিল।আমরা এখন স্থগিত পরীক্ষা গুলো নিয়ে নিচ্ছি।পরীক্ষায় শতভাগ উপস্থিতির হার শতভাগ ছিল। ১৫ তারিখ মিটিং এর পর বাকি পরীক্ষাগুলো সিদ্ধান্ত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. এস এম মনিরুল হাসান বলেন, স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেওয়ার জন্য ইউজিসির অনুমতি আছে।ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণের কথা ভেবে আমরা সকল ফেকাল্টির ডিন ও চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানিয়েছি।তাই উনারা পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

উল্লেখ্য,এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে ১৭ মে হল এবং ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ঘোষণা দেয়।একই সাথে বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরই সব পরীক্ষা নেওয়া হবে।এই ঘোষণার সাথে একমত পোষণ করে ২৫ফেব্রুয়ারি চবি কর্তৃপক্ষ সকল ধরনের পরীক্ষা স্থগিত করে।

চবিতে বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই উপাচার্যের বাড়ির কর্মচারীর ছেলে-দোকানদার নিয়োগ

 

চবি প্রতিনিধি

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন(ইউজিসির) এর নির্দেশনা না মেনেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়(চবি) ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজে ছয় শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।একই সাথে প্রকৌশলী দপ্তরেও ইউজিসির নিয়ম না মেনে সাত কর্মচারীকে ‘অবৈধভাবে’ নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড.শিরীণ আখতারের বিরুদ্ধে।এ নিয়োগগুলোর ক্ষেত্রে কোন ধরনের বিজ্ঞপ্তি বা পরীক্ষা নেওয়া হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়,নিয়োগ প্রাপ্তদের মধ্যে ক্যাম্পাসের দোকানদার ,উপাচার্যের বাড়ির কর্মচারীর ছেলে,উপাচার্যের গ্রামের বাসিন্দা,স্থানীয় বাসিন্দা ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীও রয়েছে।

গত ২৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অফিসে নিয়োগ দেওয়া হয় সাত কর্মচারীকে। একদিন পর ২৪ মে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ছয় শিক্ষককে।জানা যায়,আরও বেশ কিছু চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।

নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কোন নির্দেশনা মানেনি চবি কর্তৃপক্ষ। নিয়োগ দেওয়ার আগে নিয়ম অনুযায়ী কোন বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়নি।এধরনের নিয়োগের বৈধতা নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় মহলে।

২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তাদের অনুমতি ব্যতীত অ্যাডহক, দৈনিকভিত্তিক জনবল ও মাস্টাররোলে নিয়োগ না দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছিল।এমনকি আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমেও নিয়োগ দিতে হলে ইউজিসির অনুমোদন লাগবে।

জানা যায়,গত ২৩ মে সাত জনকে মাসিক সর্বসাকুল্যে ৯ হাজার টাকা বেতনে ছয় মাসের জন্য পাম্প সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।এ সংক্রান্ত একটি নথি ক্যাম্পাস টুডের কাছে এসেছে।সেখানে দেখা যায় এ নিয়োগে দৈনিক ভিত্তিক, অ্যাডহক, চুক্তিভিত্তিক নাকি মাস্টার রোল তার কোনোটিই উল্লেখ করা হয়নি।

নিয়োগপ্রাপ্ত সাতজন হলেন,শাহরিয়ার ইসলাম, ছানা উল্লাহ, বেলাল হোসেন, আব্দুল মুকিত, ইসমাইল হোসেন, মোহাম্মদ নোমান, মো. মোরশেদ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুই পাম্প সহকারী পদে নিয়োগপ্রাপ্ত শাহরিয়ার ইসলাম ও ছানা উল্লাহ তামিমের বাড়ি উপাচার্যের বাড়ির এলাকায়।নিয়োগপ্রাপ্ত বেলাল হোসেন ভিসি বাংলোর কর্মচারী মো. হারুনের ছেলে।নিয়োগপ্রাপ্ত আব্দুল মুকিত বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ ক্যাম্পাস এলাকার কাপড়ের দোকানদার।আরেক নিয়োগপ্রাপ্ত দুই নম্বর গেইটের আরেক দোকনদার ইসমাইল হোসেন।।স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ নোমানও নিয়োগ পেয়েছেন এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। এ ছাড়াও নিয়োগ পেয়েছেন হাটহাজারীর বাসিন্দা মো. মোরশেদ।

এছাড়াও ২৪ মে চবি ল্যাবরেটরি কলেজে অস্থায়ী ভিত্তিতে ছয় শিক্ষককে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়।জানা যায় এই সংখ্যা আরো বাড়বে।এক্ষেত্রে কোন লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়নি।৬০টি ক্লাস ভিত্তিক হিসেবে তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।।

এই নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রলীগ নেতার কথাও উঠে এসেছে।তিন জনের মধ্যে রয়েছে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শরিফুল ইসলাম,সাবেক মোহাম্মদ সদস্য পারভেজ এবং অনুপম রুদ্র।

এবিষয়ে চবি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শামসাদ বেগম চৌধুরীকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি ভিসি ম্যাম,রেজিস্ট্রার জানেন।আমরা কিছু বলতে পারবো না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন জ্যৈষ্ঠ শিক্ষক ক্যাম্পাস টুডেকে বলেন, এ ধরনের নিয়োগে কোন সচ্ছতা নেই।যোগ্যতা যাচাই ছাড়া সিলেক্টিভ ভাবে শিক্ষক নিয়োগ প্রত্যাশিত না।কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাত করে এমন নিয়োগ নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে।

ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড.মোহাম্মদ আবু তাহের ক্যাম্পাস টুডেকে বলেন, আমাদের বলা আছে ইউজিসির অনুমতি ছাড়া কোন বিশ্ববিদ্যালয় এডহক,মস্টাররোল,দৈনিক ভিত্তিক,চুক্তিভিত্তিক কোম নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
পদ খালি থাকলে বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।সংবিধানের ২৯(১) অনুচ্ছেদে এবলা আছে,প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ-লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকবে।কিন্তু এর বাইরে যদি কেউ করে তাহলে এটি ‘অবৈধ’।

অভিযোগের ভিত্তিতে চবি রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড.এস এম মনিরুল হাসান ক্যাম্পাস টুডেকে বলেন, আমাদের জরুরি ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হয়েছে।ইমারজেন্সি বেসিসে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাই পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়নি।ইউজিসির নির্দেশনা আছে অবসর জনিত,মৃত্যুজনিত শূন্যপদে সাময়িক সময়ের জন্য নিয়োগ দেওয়া যাবে।

চবি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজে নিয়োগের বিষয়ে রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) বলেন, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ৬০টা ক্লাস করাবে ঐরকম ভাবে আমরা সিলেকশন করছি।নিয়োগ এখনো দেওয়া হয়নি।এটি আগে থেকেই হয়ে আসছে।আগের বছরগুলোতেও এভাবে নেওয়া হতো।৬০টা ক্লাসের পর তাদের আর নিয়োগ থাকবে না।

অভিযোগের ভিত্তিতে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড.শিরীণ আখতারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

আমাদের মানুষ মনে করুন,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন’

 

চবি প্রতিনিধি

করোনাকালে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা হল-ক্যাম্পাস খোলা দাবিতে একত্রিত হয়ে মানববন্ধন করছে চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার(২৪মে) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।মানববন্ধনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়,কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

বক্তারা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর কয়দিন এভাবে বন্ধ থাকবে।আমাদের বয়স বেড়ে যাচ্ছে।চাকরি করতে গেলে ইন্টার পাশ বললে কেউ চাকরি দেয় না।এদিকে পড়াশুনা শেষ করতে গিয়ে চাকরির বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে।আমাদের মা বাবারা আমাদের দিকে তাকিয়ে আছেন।

তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগই গ্রামের।এখন অনলাইন পরীক্ষার কথা বলছেন।গ্রামের ইন্টারনেট এর অবস্থা আপনারা জানেন।যেখানে আমরা নেটওয়ার্কই পাচ্ছিনা সেখানে আমরা অনলাইনে পরীক্ষা কীভাবে দেব?

শিক্ষার্থীরা বলেন, বাসা থেকে চাপ দিচ্ছে।কিছুই করতে পারছি না আমরা।অনেক শিক্ষার্থীর ডিপ্রশনে গিয়ে আত্মহত্যা করছে।

তারা বলেন, লকডাউন চলছে।কিন্তু সব কিছুই খোলা।করোনা কি শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে?আমাদের মানুষ মনে করুন।অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন।

কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে দেশসেরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

 

নুর নওশাদ : স্পেনভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিমাগো ইনস্টিটিউশনস র‌্যাঙ্কিংয়ে চলতি বছরের বিষয়ভিত্তিক তালিকায় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলে(সিএসই) শীর্ষস্থান অর্জন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়(চবি)।

এ তালিকায় কম্পিউটার বিজ্ঞানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(বুয়েট) এবং তৃতীয় স্থানে আছে চট্টগ্রামে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(চুয়েট)।

সিমাগোর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকায় বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪র্থ এবং বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৬৬তম অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

কলা ও মানবিকী, রসায়ন, গণিত, অর্থনীতি, কৃষি ও জৈবিক বিজ্ঞান, প্রকৌশলসহ ১৬টি বিষয়ভিত্তিক শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করেছে সিমাগো ইনস্টিটিউশনস।

তালিকাতে কম্পিউটার বিজ্ঞানে দেশের শীর্ষ স্থানে অবস্থান করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া বিজনেস,ম্যানেজমেন্ট ও একাউন্টিং বিভাগে ৩য়,ইঞ্জিনিয়ারিং এ ৪র্থ,এগ্রিকালচার এন্ড বায়োলজিক্যাল সাইন্সে ৬ষ্ঠ,এনভায়রনমেন্টাল সাইন্সে ৭ম,ফিজিক্স এন্ড এস্ট্রোনমিতে ১২ তম অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।পাশাপাশি এনার্জি গবেষণাতেও প্রথম স্থানে রয়েছে চবি।

এ বিষয়ে চবির কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও আইসিটি সেলের পরিচালক ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম বলেন,”এই র‍্যাংঙ্কিংগুলো করা হয় গবেষণা পাব্লিকেশনের উপর।আমাদের বিভাগের শিক্ষকরা অনেক গবেষণা করছেন।আমাদের পাব্লিকেশনের সংখ্যাও অনেক।আমার নিজেরো গত ৬-৭ মাসে ৮টার মতো পাব্লিকেশন হয়েছে।’’

স্পেনভিত্তিক সিমাগো ইনস্টিটিউশন র‌্যাংকিং হলো একটি আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। যেখান থেকে সিমাগো ল্যাব ও স্কপাসবিজ্ঞান গবেষণায় অবদানের জন্য প্রতিবছর শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের র‌্যাংকিং প্রকাশ করা হয়ে থাকে। ২০০৯ সাল থেকে এ প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং প্রকাশ করে আসছে।

জাতীয় অধ্যাপক হলেন চবির সাবেক ভিসি আলমগীর মোহাম্মদ

চবি প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক উপাচার্য ও ইমেরিটাস অধ্যাপক প্রফেসর ড. আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীনকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে আগামী ৫ বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

৫ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো উপসচিব শামিমা বেগম স্বাক্ষরিত এক লিখিত প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “জাতীয় অধ্যাপক সিদ্ধান্তমালা ১৯৮১,অনুযায়ী নিম্নোক্ত তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য জাতীয় অধ্যাপক করা হয়েছে।’’

জাতীয় অধ্যাপক পদে নিয়োগ পাওয়া তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তি হলেন, চবির সাবেক উপাচার্য ও ইমেরিটাস অধ্যাপক প্রফেসর ড. আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন,ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বারডেম) সভাপতি এ কে আজাদ খান এবং বাংলাদেশ গ্যাস্ট্রোএনটারোলজি সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক মাহমুদ হাসান।

প্রফেসর ড. আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন ১৯৩৭ সালের ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৫৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে ইতিহাস বিষয়ে স্নাতকোত্তর (এমএ) শেষ করেন। ১৯৬৪ সালে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নেন। ১৯৬৭ সালে লিংকনস ইন থেকে নেন ব্যারিস্টার এট ল ডিগ্রি।আইনশাস্ত্রেও তিনি একজন ব্যারিস্টার।

১৯৬৯ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরে ১৯৭৪ সালে তিনি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করেন। বর্তমানে তিনি ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে নিয়োজিত আছেন।

তিনি ১৯৮৮ সালের ২৩ মে থেকে ১৯৯১ সালের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ম উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বাংলাদেশের অর্থনীতি, রাজনীতি ও আঞ্চলিক ইতিহাস, আইন ও মানবাধিকার, মুসলিম সমাজ ও নারী বিষয়ে এ পর্যন্ত পাঁচটি গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে তাঁর। এর মধ্যে তিনটি বই অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়।গবেষণা করেছেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর।

শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০১৭ সালে একুশে পদক লাভ করেন।