করোনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ইবি প্রতিনিধিঃ করোনা আক্রান্ত হয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (৯ জুলাই) আনুমানিক রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বিভাগের শিক্ষজ অধ্যাপক ড. শেখ এবি এম জাকির হোসাইন এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

সাত কলেজের ভর্তি আবেদন শুরু আজ, পরীক্ষা অক্টোবরে

এসময় তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি শিব্বির আহমেদ কুষ্টিয়া শহরের লাহিনী পাড়ার এক মসজিদে ইমামতি করতো।১৫ দিন আগে জ্বর, সর্দিসহ একাধিক উপসর্গ তার শরীরে দেখা যায়। অবস্থার পরিবর্তন না হলে তার ছোট ভাই কুষ্টিয়ায় এসে তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে নিয়ে যায়।

পরে তাকে উল্লাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে করোনা টেস্ট করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অবস্থার অবনতি হলে গত শুক্রবার (২ জুলাই) তাকে ঢামেকে ভর্তি করানো হয়।

ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুতে বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা শোক প্রকাশ করেছেন। আজ সকাল ৮ টায় নিজ গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করানো হয়েছে।

ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী

ইবি টুডে: বকুল জোয়ার্দ্দার নামে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬। গ্রেফতারের সময় অভিযান চালিয়ে ৮৯ পিস ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়।

আজ মঙ্গলবার (২৫ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঝিনাইদহের শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম।

জানা যায়, বকুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পস (বিএনসিসি) অফিসের কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।

শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, র‌্যাব-৬ মামলা দিয়ে তাকে শৈলকূপা থানায় সোপর্দ করে। মঙ্গলবার (২৫ মে) তাকে ঝিনাইদহ আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন কি-না তা নিশ্চিত নই।

তিনি আরও বলেন, মাদক অভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার (২৪ মে) বিকেলে শেখপাড়া এলাকায় অভিযান চালায় ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬। পরে শেখপাড়া বাজার থেকে ইবি কর্মচারী বকুল জোয়ার্দ্দার ও একই এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে সাহেব আলীকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এ সময় তাদের কাছে ৮৯ পিস ইয়াবা পায় র‌্যাবের অভিযানিক টিম।

এ বিষয়ে ইবি প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা এ ব্যাপারে কিছুই জানি না এবং জানানো হয়নি। গ্রেফতার হলে আমরা এ বিষয়ে খোঁজ নেব। আদালত তাকে জামিন না দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী অ্যাক্ট অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাখির চোখে দৃষ্টিনন্দন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ইমানুল সোহান, ইবি: দৃষ্টি যত দূরে যায় দু’চোখ জুড়িয়ে যায়। চেনা ক্যাম্পাসকে ভিন্নরূপে দেখতে কেমন লাগে? নিশ্চয়ই অনেক ভালো। ১৭৫ একরের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্য পাখির চোখে তুলে ধরেছেন একজন শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, একাডেমিক ভবন, আবাসিক হলসহ ১৭৫ একরের অপরুপ ছবি ড্রোন ক্যামেরায় বন্দী করেছেন জীবন মালাকার। যে ছবিগুলোতে প্রকৃতির মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা ভবনগুলোতে লুকিয়ে রয়েছে একেকজন শিক্ষার্থীর হাজারো গল্প। করোনাকালীন সময়ে সরূপে ক্যাম্পাসে না গিয়েও চোখজুড়ে দেখুন ক্যাম্পাসের ভিন্নরূপ।

প্রধান ফটক
শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধ
প্রশাসনিক ভবন
টিএসসিসি
টিএসসিসি
বিশ্ববিদ্যালয় লেক
বিশ্ববিদ্যালয় লেক
মুক্তবাংলা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের হল

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল
শহীদ জিয়াউর রহমান হল
শহীদ জিয়াউর রহমান হল
শেখ রাসেল হল
শেখ রাসেল হল
লালন শাহ হল
সাদ্দাম হোসেন হল

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীদের হল

ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল
দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল
ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল
ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল
খালেদা জিয়া হল
খালেদা জিয়া হল
ভিসি বাসভাবন
ভিসি বাসভাবন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত নিয়ে ছাত্রলীগ একাংশের কর্মসূচি!

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গতকাল এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করে। সেই নিদের্শনার ২৪ ঘন্টা না পেরোতেই বহিরাগতদের নিয়ে কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রলীগের একাংশ।

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জুয়ী মুজিব ম্যুরালের পাদদেশে ছাত্রলীগ নেতা টনি বহিরাগতদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

ক্যাম্পাস সূত্রে, গতকাল ৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসনের অনুমতি ব্যতীত ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ক্যাম্পাসে অনুমতি ব্যতীত বহিরাগত প্রবেশ, বিচরণ ও অবস্থান, হোন্ডাসহ প্রবেশ, খেলার মাঠে প্রবেশসহ অন্য যে কোন ধরণের কর্মকান্ড সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজে অংশগ্রহণকারী শ্রমিকগণকে প্রকৌশল অফিস হতে ইস্যুকৃত নিজ নিজ পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।

এ নিদের্শনার ২৪ ঘন্টা না পেরোতেই আজ সকাল সাড়ে ১০ টায় বহিরাগতদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা তন্ময় সাহা টনি। এসময় প্রক্টরিয়াল বডি উপস্থিত থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনরকম ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। তবে ছাত্রলীগের অন্য একাংশের নেতা শাহজালাল ইসলাম সোহাগকে এসময় বাধা দিতে দেখা যায়। সোহাগ তন্ময় সাহা টনির এক কর্মীকে বলেন, ‘তুমি কোন বিভাগে পড়ো?’ তখন টনি তার কর্মীকে কথা না বলে চলে আসতে বলেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতারা বলেন,‘ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওই কথিত নেতা শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করুক। কিন্তু অছাত্রদের নিয়ে কিভাবে ক্যাম্পাসে আসে? এ বিষয়ে প্রশাসনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা তন্ময় সাহা টনি বলেন, ‘বিবাহিত হয়ে যদি ছাত্রলীগ করতে পারে এবং সকল প্রোগামে সামনে থেকে অংশ নিতে পারে, তাহলে আমি বহিরাগত নিয়ে কেন শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবো না? এটা জাতীয় কর্মসূচি সকল ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী শ্রদ্ধা নিবেদন করার অধিকার রাখে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগের সাথে কেউ এসে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলে তার দায়ভার আমরা নিবো না। আগামী থেকে কেউ বহিরাগত এনে প্রোগ্রামে অংশ নিতে চাইলে সে বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।’

 

দেশের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভর্তি পরীক্ষা: জবি ভিসি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ দেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কবে নেওয়া হবে সেটার সিদ্ধান্ত হবে সামনে উপাচার্যদের সাধারণ সভায় বলে জানিয়েছেন গুচ্ছ ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। সাধারণ সভা চলতি মাসের শেষদিকে আহবান করা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আজ রবিবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আমার সংবাদকে গুচ্ছ ভর্তি পরিক্ষার বিষয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘ দেশে করোনা পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা পরিক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিব। এছাড়া আগের বছরের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদেরও পরীক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষে ওঠানো যায়নি। আগে তাদের পরীক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষে ওঠাতে হবে। আর প্রথমবর্ষের পরীক্ষা নিয়েই তো আর আমরা ক্লাস নিতে পারবো না। এজন্য এ বিষয়ে তাড়াহুড়ো নেই।

দ্বিতীয় বার পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তিনি জানান, আমরা আগেই জানিয়েছি এ বছর যারা পাশ করেছে ও গতবছর যারা পাশ করেছে শুধু তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এছাড়া প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় আগে যেভাবে ভর্তি করত এবারও সেভাবে ভর্তি করবে। যারা সেকেন্ড টাইমার শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাতে চায় তারা করবে। যারা করতে চাই না তারা করবে না। তবে যে শিক্ষার্থী বর্তমানে কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত তারা যদি দ্বিতীয় বারের মতো পরিক্ষা দিতে চাই তাহলে তাদের পরিক্ষার সেন্টার হবে অধ্যয়নরত ওই বিশ্ববিদ্যালয় বাদে অন্য যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ে। কম্পিউটারে এটার প্রোগ্রামিং করে দেওয়া হবে জানান তিনি।

“আমরা আগেই এ বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি, কীভাবে পরীক্ষা হবে তাও বলে দিয়েছি। সিদ্ধান্ত আর পরিবর্তন হবে না।” তার বক্তব্যে তিনি যোগ করেন।

তিনি আরও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মেডিকেল, প্রকৌশলসহ আরো অনেক ধরনের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। একটির মধ্যে যাতে আরেকটি পরীক্ষা না পড়ে যায়, সেজন্য আমাদের উপাচার্যদের সভায় সিদ্ধান্ত হবে। সাধারণত মেডিকেল, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরীক্ষা আগে অনুষ্ঠিত হয়।

ইবিতে স্নাতক-স্নাতকোত্তর পরীক্ষা: পরিবহন সুবিধা থাকলেও হল বন্ধ

ইবি প্রতিনিধিঃ করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক সুবিধা ছাড়াই স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আবদুস সালামের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে অনুষ্ঠিত ১১৯তম একাডেমিক কাউন্সিল সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এদিকে পরীক্ষা চলাকালে পরিবহন সুবিধা থাকলেও আবাসিক হল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ।

সভায় প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এসএম আব্দুল লতিফ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের সভাপতিসহ শিক্ষক ও বিভিন্ন অফিস প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

পরীক্ষা গ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি বিভাগের হাতেই থাকবে বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এসএম আব্দুল লতিফ। পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিবহন সুবিধা দিলেও আবাসিক হলসমূহ বন্ধ থাকবে। তবে পরীক্ষা চলাকালে কোন শিক্ষার্থীদের করোনা হলে তার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিবে না।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন অনুষদে নতুন ডিন নিয়োগ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন অনুষদে আগামী দুই বছরের জন্য নতুন ডিন নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার ( ১১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ স্বাক্ষরিত পৃথক তিনটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

নতুন তিন ডিনের মধ্যে জীববিজ্ঞান অনুষদে নিয়োগ পেয়েছেন ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. রাকিবা ইয়াসমিন এবং বিজ্ঞান অনুষদে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ১৯৮০ সংশােধিত আইন ২০১০’র ২৩ (৪) ধারা অনুযায়ী সিন্ডিকেট সভার অনুমােদন সাপেক্ষে এ দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। ১৪ নভেম্বর থেকে তারা দায়িত্ব পালন করবেন।

এর আগে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে লোক প্রসাশন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাসিম বানু, জীববিজ্ঞান অনুষদে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ওয়াহাব এবং বিজ্ঞান অনুষদে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামালের দায়িত্বের সময়কাল শেষ হওয়ায় নতুন নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।

আমার তো সব শেষ! বেঁচে থেকে কী লাভ?: মায়ের সাথে তিন্নীর শেষ কথা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


‘বাইরের লোক কেন আসবে আমার রুমে? আমারতো সব শেষ, বেঁচে থেকে কী লাভ?’ বোনের সাবেক স্বামীর হাতে লাঞ্চিত হওয়ার পর মায়ের সঙ্গে শেষ কথা ছিল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থেকে সদ্য পাস করা উলফাত আরা তিন্নীর। পরে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নারী নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে।

সেই রাতে ইবি ছাত্রী তিন্নীর সঙ্গে যা ঘটেছিল তা তার মা হালিমা বেগম এবং মেজো বোন মিন্নীর বর্ণনায় উঠে এসেছে। হালিমা বেগম বলেন, বৃহম্পতিবার তিন্নী এক বান্ধবীর বিয়ের অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া গিয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরে রাত ৮টার দিকে। এর কিছু সময় পর মেজো মেয়ে মিন্নীর তালাকপ্রাপ্ত স্বামী জামিরুল গোপনে তিন্নীর রুমে ঢোকে এবং খাটের নিচে লুকিয়ে থাকে।

তিনি বলেন, তিন্নী বাইরে থেকে এসে পোশাক বদল করে বাসার নিচ তলায় তার সঙ্গে দেখা করে, একটু বসে। এরপর ঘুমাতে তার রুমে যায়। এরপর তিন্নী বুঝতে পারে তার খাটের নিচে কেউ লুকিয়ে আছে। লোকটি খাটের নিচ থেকে বের হয়ে এক পর্যায়ে তিন্নীকে জাপটে ধরে। শুরু হয় ধস্তাধস্তি, এসময় চিৎকার দেয় তিন্নী। লোকটি ছিল জামিরুল।

ভয় ভয় কণ্ঠে হালিমা বেগম বলেন, আমরা তখন বুঝতে পারি বাসার চারপাশে জামিরুলের অনেক সহযোগী এবং তারা আমাদের বলতে থাকে- কোনও হৈ চৈ করবি না। আজ সবাইকে মেরে ফেলবো।

পরের ঘটনার বর্ণনা দেন তিন্নীর মেজো বোন জানান, বোনের চিৎকারে তিনি ছুটে যান তিন্নীর রুমের সামনে। কিন্তু রুম ছিল ভেতর থেকে আটকানো। অনেক চেষ্টা করে দরজার লক ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখি সেখানে জামিরুল। তখনো তারা ধস্তাধাস্তি করছে। বাধা দিতে গেলে সে আমাকে মারতে আসে। আমি অন্য রুমে গিয়ে আত্মরক্ষা করি।

‘এরপর অনেক সময় চলে তিন্নীর রুমে তাণ্ডব। পরে রুম থেকে বের হয়ে আমাকে ও আমার মাকে খুঁজতে থাকে সে। এক পর্যায়ে প্রতিবেশীদের উপস্থিতি টের পেয়ে রাত ১১টার দিকে জামিরুল পালিয়ে যায়।

হালিমা বেগম বলেন, জামিরুল বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর তিন্নী নিচে তার রুমে আসে। আমাকে সে প্রশ্ন করে- ‘‘বাইরের লোক কেন আমার রুমে প্রবেশ করল মা? আমার তো সব শেষ! আমার আর বেঁচে থেকে কী লাভ? এই বলে সে নিজের রুমে চলে যায়। এরপর পর রাত ১২টার দিকে টের পাই তিন্নী রুমে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে’’।

এদিকে তিন্নীর মৃত্যুর ঘটনার বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষর্থীরা। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা মুখে কালো কাপড় বেধে নেক্কার জনক ঘটনার প্রতিবাদ জানায়।

ইবির নতুন উপাচার্য ড. শেখ আব্দুস সালাম

ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত) ড. শেখ আব্দুস সালাম৷
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৮০ র ১০(১) ধারা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ চার বছরের জন্য তাঁকে এই পদে নিয়োগ দিয়েছেন৷
আজ মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নিজেদের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়৷
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট ইবির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশিদ আশকারী চার বছরের জন্য প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন৷ গত ২০ আগস্ট তাঁর মেয়াদ শেষে প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে শূণ্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয়টি শীর্ষ এ পদটি।

এক মাস ধরে অভিভাবকহীন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


গত এক মাস ধরে উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ ছাড়াই চলছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। গত ২০ আগস্ট উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী এবং ২১ আগস্ট কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিম তোহার মেয়াদ শেষ হয়।অভিভাবকহীন ইবিতে একাডেমিক, প্রশাসনিক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ সর্বস্তরে স্থবিরতা নেমে এসেছে। আটকে আছে ইবি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যদের বেতনভাতা।

ফলে গত ২২ আগস্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদ দুটি শূন্য হয়ে আছে। এ মাসেই উপাচার্য নিয়োগ না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারাও সামনের মাস থেকে বেতন পাবেন না। সব মিলিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে দিন পার করছে ইবি পরিবার।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমান প্রশাসনের শেষ কার্যদিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেয়ার অনুমতি দিয়ে যান উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-উর রশিদ আসকারী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিম তোহা।

কিন্তু ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৯৪ জন আনসার সদস্য ও মাস্টাররোলে কর্মরত ৮০ জনের বেতন-ভাতার ব্যাপারে কোনো অনুমতি দিয়ে যাননি তারা। ফলে নতুন উপাচার্য না আসা পর্যন্ত তারা কোনো বেতনভাতা পাবেন না বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এসএম আব্দুল লতিফ।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বলেন, উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদ শূন্য থাকায় তাদের বেতন আটকে আছে। সরকার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য পদে কাউকে এখনও নিয়োগ দেয়নি। এমনকি বর্তমান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শাহিনুর রহমানকেও অফিসিয়ালি কোনো দায়িত্ব দেয়নি। তাই তিনি আর্থিক ক্ষেত্রে কোনো অনুমোদন দিতে পারবেন না।

এ মাসেই উপাচার্য বা কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা-কর্মচারীরাও সামনের মাস থেকে বেতন পাবেন না।

এদিকে বর্তমানে ক্যাম্পাসে নানামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। সরকারের দেয়া ৫৩৭ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের কিছু কাজ শুরু হলেও ঠিকাদাররা নিয়মিত বিল পাচ্ছেন না। ফলে শ্রমিকরাও কাজ স্থগিত করে দিয়েছেন। অন্যদিকে নতুন কিছু ভবনের টেন্ডার সম্পন্ন হলেও উপাচার্যের সিদ্ধান্ত ও অনুমতি ছাড়া কার্যাদেশ প্রদান করা যাচ্ছে না বলে প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আলীমুজ্জামান টুটুল বলেন, সকল উন্নয়ন কাজ স্থবির হয়ে গেছে। নতুন কাজে হাত দিতে পারছি না। বন্ধের মধ্যে কিছু আবাসিক হলের সংস্কার কাজের টেন্ডার হয়েছিল। কিন্তু সিদ্ধান্তের অভাবে সব বন্ধ হয়ে আছে।

করোনাভাইরাসের কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছিল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অনলাইন ক্লাসে পাঠদানের ফলে একাডেমিক কার্যক্রমে কিছুটা হলেও গতিশীলতা ফিরে এসেছিল। কিন্তু উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হতেই অধিকাংশ বিভাগের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

তাদের দাবি, অনলাইন ক্লাসসহ একাডেমিক কার্যক্রম এবং সর্বস্তরে গতিশীলতা আনতে অতিদ্রুত উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হোক।

এদিকে উপাচার্য না থাকায় রেজিস্ট্রার অফিসে প্রায় সাড়ে চারশ ফাইল আটকা পড়েছে। আটকে আছে কয়েকটি বিভাগের নতুন সভাপতি নিয়োগ ও প্রমোশন প্রক্রিয়াও। এছাড়া ছুটি সংক্রান্ত ব্যাপারেও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষকদের। ফলে কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক আবু হেনা মোস্তফা জামাল বলেন, উপাচার্য হচ্ছে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। সেই প্রাণ না থাকায় কোনো গতিশীলতা পাচ্ছি না আমরা। সমস্ত নীতি-নির্ধারণী বিষয়গুলো তিনিই হাতে নেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই অতিদ্রুত যোগ্যতাসম্পন্ন কাউকে উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয়া হোক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহজাহান মণ্ডল বলেন, উপাচার্য না থাকায় একাডেমিক-প্রশাসনিকসহ বিভিন্ন কালচারাল অ্যাক্টিভিটিস ব্যাহত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাভাবিকভাবে গতিশীল রাখতে অবশ্যই পদ দুটিতে অতিদ্রুত নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন।