দেশের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভর্তি পরীক্ষা: জবি ভিসি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ দেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কবে নেওয়া হবে সেটার সিদ্ধান্ত হবে সামনে উপাচার্যদের সাধারণ সভায় বলে জানিয়েছেন গুচ্ছ ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। সাধারণ সভা চলতি মাসের শেষদিকে আহবান করা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আজ রবিবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আমার সংবাদকে গুচ্ছ ভর্তি পরিক্ষার বিষয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘ দেশে করোনা পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা পরিক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিব। এছাড়া আগের বছরের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদেরও পরীক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষে ওঠানো যায়নি। আগে তাদের পরীক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষে ওঠাতে হবে। আর প্রথমবর্ষের পরীক্ষা নিয়েই তো আর আমরা ক্লাস নিতে পারবো না। এজন্য এ বিষয়ে তাড়াহুড়ো নেই।

দ্বিতীয় বার পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তিনি জানান, আমরা আগেই জানিয়েছি এ বছর যারা পাশ করেছে ও গতবছর যারা পাশ করেছে শুধু তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এছাড়া প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় আগে যেভাবে ভর্তি করত এবারও সেভাবে ভর্তি করবে। যারা সেকেন্ড টাইমার শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাতে চায় তারা করবে। যারা করতে চাই না তারা করবে না। তবে যে শিক্ষার্থী বর্তমানে কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত তারা যদি দ্বিতীয় বারের মতো পরিক্ষা দিতে চাই তাহলে তাদের পরিক্ষার সেন্টার হবে অধ্যয়নরত ওই বিশ্ববিদ্যালয় বাদে অন্য যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ে। কম্পিউটারে এটার প্রোগ্রামিং করে দেওয়া হবে জানান তিনি।

“আমরা আগেই এ বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি, কীভাবে পরীক্ষা হবে তাও বলে দিয়েছি। সিদ্ধান্ত আর পরিবর্তন হবে না।” তার বক্তব্যে তিনি যোগ করেন।

তিনি আরও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মেডিকেল, প্রকৌশলসহ আরো অনেক ধরনের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। একটির মধ্যে যাতে আরেকটি পরীক্ষা না পড়ে যায়, সেজন্য আমাদের উপাচার্যদের সভায় সিদ্ধান্ত হবে। সাধারণত মেডিকেল, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরীক্ষা আগে অনুষ্ঠিত হয়।

জাতির পিতার জন্মভূমির বিশ্ববিদ্যালয় নানান সমস্যায় জর্জরিত

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ জাতির পিতার জন্মভূমি গোপালগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) নানান সমস্যায় জর্জরিত। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে শিক্ষকদের পদোন্নতি, দুটি বিভাগের একীভূতকরণ ও একটি বিভাগের অনুমোদনগত সমস্যা চলছে।

আজ সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) পদোন্নতির দাবিতে শিক্ষকেরা শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। অবস্থানরত শিক্ষকেরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ১৫০ জনেরও অধিক শিক্ষকের পদোন্নতি বন্ধ হয়ে আছে। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের তাগিদ দেওয়া হলেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করেছে। ফলে বাধ্য হয়ে আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। আমরা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ১ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো।

এদিকে একইদিনে ইলেক্ট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগকে ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগে একীভূতকরণের বিপক্ষে মানববন্ধন করেছে ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নোটিসে জানতে পেরেছি ইটিই বিভাগকে পরোক্ষভাবে ইইই বিভাগে একীভূত করা হচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সাথে কোনো প্রকার আলোচনা করেনি। যদি ইটিই বিভাগকে ইইই বিভাগে একীভূত করা হয় তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করবো।

জানা যায়, ইটিই বিভাগকে ইইই করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে ইটিই বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য ইটিই বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইটিই বিভাগের প্রথম বর্ষ থেকে দ্বিতীয় বর্ষ পর্যন্ত এক সেমিস্টার এবং তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের দুই সেমিস্টার পিছনে এসে ইইই বিভাগে ক্লাস করতে হবে। এই শর্তে সম্মতি জানায় ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তবে এ সিদ্ধান্তের বিপক্ষে মাঠে নেমেছেন ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই চলছে ক্লাস-পরীক্ষা। এখন পর্যন্ত বিভাগটির অনুমোদন এবং নিজস্ব শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। একটি ইন্সটিটিউটের শিক্ষকদের দিয়ে বর্তমানে বিভাগটির ক্লাস চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) বিভাগটির অনুমোদন না দিয়ে বিভাগটিতে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয় এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের অধ্যয়ন শেষ করার অনুমতি দেয়। এরপরেই আন্দোলনে নামে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। করোনার কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ হলে তাদের আন্দোলন বন্ধ হয়ে যায়। মুঠোফোনে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা জানান, তারা দাবি আদায়ের বিষয়ে অনড়। ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।

এসকল বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুবের বক্তব্যের জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন কল কেটে দেন।

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে ৮৪০ কোটি টাকার বাজেট একনেকে অনুমোদন

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ৮৪০ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকার প্রকল্প মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির ( একনেক) সভায় অনুমোদিত হয়েছে।যা আগে ছিলো ৪৯১ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ সংশোধিত বাজেট পূর্বের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন।

মঙ্গলবার একনেক চেয়ারপার্সন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্বে এ বাজেট অনুমোদন বরাদ্দ করা হয়েছে।

সংশোধিত প্রকল্পের আওতায় রয়েছে- (ক)১৪.৯৯ একর ভূমি অধিগ্রহণ, (খ) ২য় প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ (২৯৩২ বর্গমিটার), (গ) ৫টি ইনস্টিটিউট, আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রেণি কক্ষ এবং আইটি স্পেস ভবন নির্মাণ (৯৯৬০ বর্গমিটার ), (ঘ) অতিথি ভবন নির্মাণ (৮২১ বর্গমিটার), (ঙ) একাডেমিক ভবন নির্মাণ (৪২২৯৫ বর্গমিটার), (চ) স্কুল ও কলেজ ভবন নির্মাণ (নার্সারী হতে দ্বাদশ পর্যন্ত) (৫৩৩৬ বর্গমিটার), (ছ) ১টি ছাত্র ও ১টি ছাত্রী হল নির্মাণ (আসন সংখ্যা-৮৫০+৮৫০) (১৫৯০০ বর্গমিটার +১৫৯০০ বর্গমিটার), (জ) শিক্ষক-কর্মকর্তার জন্য ইউটিলিটি ভবন নির্মাণ (১৩৪৯৮বর্গমিটার), (ঝ) শিক্ষক -কর্মকর্তার জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ (৬৩৪৭ বর্গমিটার),।
এছাড়া, (ঞ) ১১-২০তম গ্রেডের কর্মচারিদের জন্য টাওয়ার নির্মাণ (১২০৩২ বর্গমিটার), (ট) পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য আবাস ভবন নির্মাণ (১৫৭৩ বর্গমিটার), (ঠ) মাল্টিপারপাস হল কাম টি.এস.সি কাম জিমনেসিয়াম ভবন নির্মাণ (৭৮১১ বর্গমিটার), (ড) চিকিৎসা কেন্দ্রের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ (অফিস, হাসপাতাল ও আবাসিক সুবিধা সম্বলিত) (১০১৯ বর্গমিটার), (ঢ) ইমাম ও মুয়াজ্জিন এর আবাসনসহ মসজিদ নির্মাণ (২২৫২ বর্গমিটার), (ণ) বিদ্যমান ভবনের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ (৪২৮০ বর্গমিটার), (ত) ক্যাম্পাসের চারদিকে নিরাপত্তার জন্য সবুজ বেস্টনী নির্মাণ (১৫০০ বর্গমিটার), (থ) অন্যান্য আনুষঙ্গিক নির্মাণ, (দ) মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ল্যাপটপ, ফটোকপিয়ার সরবরাহ, (ধ) ল্যাব যন্ত্রপাতি, অফিস যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র সরবরাহ ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, প্রকল্পটি প্রথম সংশোধনীর পরে এই বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আগে ছিলো ৪৯১ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা।

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১০ লাখ টাকার চেক দিলেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিলে করোনা ও বন্যার প্রভাব মোকাবেলায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দশ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।

রবিবার(২০ সেপ্টেম্বর) রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এ অর্থ হস্তান্তর করে।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিজ দেশের মানুষের জন্য কিছু করার অনুভূতি থেকেই সরকারের সব উদ্যোগের সাথে থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। তিনি আরও বলেন, “সরকারের সঙ্গে সবারই নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী জনগণের পাশে দাঁড়ানো উচিত”।

প্রতিনিধি দলে সে সময় ছিলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক
মো. জাকিবুল হাসান রনি।

কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক শিক্ষার্থীর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

তার বাড়ি জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউপির রামচন্দ্রখালি গ্রামে।এ নিয়ে জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে।

এ ব্যাপারে জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস জানান, “সোমবার রাতে ৮৮টি নমুনার ফলাফলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক শিক্ষার্থীর করোনাপজিটিভ আসে। তার বাড়ি উপজেলার পোগলদিঘা ইউপির রামচন্দ্রখালি গ্রামে।”

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী ১৪ মে জ্বর, সর্দি, ঠাণ্ডা ও কাশি নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। ১৭ মে তার নমুনা সংগ্রহ করে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। পরে ওই রাতেই তাকে অ্যাম্বুলেন্সে আইসোলেশন ইউনিটে নেয়া হয়। ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি লকডাউন করে উপজেলা প্রশাসন।

শিক্ষক সমিতির নির্বাচন: আওয়ামীপন্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীপন্থীরা

ফজলুল হক পাভেল, জাককানইবি প্রতিনিধি


জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি নির্বাচন-২০২০ আগামীকাল বুধবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়য়ের কনফারেন্স কক্ষে বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ।

শিক্ষকদের ১৫ সদস্যের এই কমিটির নির্বাচনে ১২টি পদে সরাসরি ভোট গ্রহণ হবে। একই সাথে তিনটি পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন ৩জন।

এতে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. বিজয় ভূষণ দাস। এছাড়া সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রয়েছেন- মোহাম্মদ ইরফান আজীজ, তন্বী সাহা, ড. জিল্লুর রহমান পল ও আরিফ আহমেদ।

নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২০২ জন। শিক্ষক সমিতি নির্বাচন-২০২০ এ বিএনপি পন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল অংশগ্রহণ না করায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে মূলত ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে।

আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু-নীলদল এক প্যানেলে নির্বাচনে আসেনি। তাই আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন শিক্ষক। যাদের একজন শিক্ষক সমিতির বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল আমিন ও অন্যজন বঙ্গবন্ধু-নীল দলের সহ-সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম এবং বঙ্গবন্ধু নীলদলের সাধারণ সদস্য রায়হানা আকতার।

সাধারণ সম্পাদক পদেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই আওয়ামীপন্থী শিক্ষক যাদের একজন শিক্ষক সমিতির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাদা আহসান হাবীব ও অন্যজন শিক্ষক সমিতি বিদায়ী কমিটির সদস্য কল্যাণাংশু নাহা।

এছাড়া সহ-সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোঃ নকিবুল হাসান খান ও ড.তুষার কান্তি সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- নীলা সাহা ও কাজী মাহমুদুল হাসান। শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ ও ড. সেলিম আল মামুন , ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে লড়ছেন- বিজয় চন্দ্র দাস ও মোঃ রাকিবুল ইসলাম ।

যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন আসিফ ইকবাল আরিফ। কোষাধ্যক্ষ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রহল্লাদ চন্দ্র দাস এবং দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন- মোঃ মাজহারুল হোসেন তোকদার ।

এছাড়া ৬ জন সাধারণ সদস্য পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭জন শিক্ষক। তাদের মধ্যে রয়েছেন- আল জাবির, বিজয় কর্মকার, মোঃ রিয়াদ হাসান, মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, ড. মোঃ সুজন আলী, তানিয়া আফরিন তন্বী।

প্রার্থীরা শেষ সময়ে এসে নির্বাচনে জয়ী হতে চালাচ্ছেন প্রচারণা। তাদের বক্তব্যে উঠে আসছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কাজ করার প্রত্যাশা।

এ বিষয়ে সভাপতি পদে নির্বাচনে অংশ নেয়া তিন প্রার্থী তাদের ইশতেহার অনুযায়ী বিভিন্ন আশ্বাস দেন।

তাদের মধ্যে মোঃ রফিকুল আমিন বলেন- বিশ্ববিদ্যালয়কে গতিশীল করতে, শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কাজ করবো। যেখানে শিক্ষকরা ক্লাসে থাকবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে। পাবে গবেষণার পরিবেশ ও ব্যবস্থা। সর্বোপরি একটি স্বচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় গড়তেই কাজ করবো সকলকে নিয়ে।

মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নে কাজ করবো।সেই সাথে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করে যাবো। যেখানে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত হবে। শিক্ষকদের শিক্ষা ও গবেষণায় সহযোগিতা সৃষ্টিতে কাজ করবো যার ফল পাবে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়।

রায়হানা আক্তার বলেন- নারী হয়ে কেবল নারীবান্ধব কাজ করবো এমনটি নয়। আমার কাজে উপকৃত হবে শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমি একজন শিক্ষক প্রতিনিধি হয়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের মান উন্নয়নে কাজ করতে চাই।

সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বী শাহজাদা আহসান হাবীব খান বলেন- শিক্ষকদের অধিকার আদায় ও শিক্ষার পরিবেশ সুন্দর রাখতে কাজ করবো। যেখানে উপকৃত হবে বিশ্ববিদ্যালয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করে কাজ করে যাবো।বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞানের উর্বর ক্ষেত্রে পরিণত করতে গবেষণা ক্ষেত্রে জোড় দেয়ার চেষ্টা করবো।

অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে আরেক প্রার্থী কল্যাণাংশু নাহা বলেন- নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আমার প্রতিদ্বন্দী একজন। আমি সবার জন্যেই ভোট চাই। কেননা একা সব পরিবর্তন বা সমস্যা সমাধান সম্ভব নয় । আমি সকলকে নিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত ও শিক্ষকদের অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করতে চাই।

নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. বিজয় ভূষণ দাস বলেন- আশা করি উৎসব মুখোর পরিবেশেই শিক্ষকদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গ্রহনের সকল আয়োজন আমরা সম্পন্ন করেছি ।

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ফজলুল হক পাভেল, জাককানইবি প্রতিনিধি


জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং এর দায়ে দ্বিতীয় ধাপে অভিযুক্ত আরো তিন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে বহিষ্কৃত মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা পাঁচ জন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক ও পিএস টু ভিসি এস এম হাফিজুর রহমান জানান, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বিকাল পাঁচটায় সিন্ডিকেট সভায় র‍্যাগিং বিরোধী কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশের প্রেক্ষিতে ফারহানা রহমান লিয়োনা এবং আল ইমরানকে র‍্যাগিংয়ের দায়ে মোট পাঁচ শিক্ষার্থী কে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর মধ্যে স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের জাকির হোসাইন কে তিন শিক্ষাবর্ষ (৩ বছর) , একই বিভাগের তানবীরুল ইসলামকে দুই শিক্ষাবর্ষ (২ বছর) এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মেহেদী হাসানকে দুই শিক্ষাবর্ষের (২বছর) জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

পূর্বে সাময়িক বহিষ্কৃত তিন শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তোয়াবা নুশরাত মিম ও একই বিভাগের শায়রা তাসনিম আনিকা কে ১ শিক্ষাবর্ষ (২ সেমিস্টার) এর জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে এবং চারুকলা বিভাগের মৌমিতা পারভীনের সাময়িক বহিষ্কারাদেশ স্থগিত করে মুচলেকা গ্রহণ পূর্বক সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফারহানা রহমান লিয়োনা এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরানকে র‌্যাগিং করায় মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পরলে প্রথমে দুইজনকে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

লিফট কিনতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ভিসিসহ ৯ জনের ইউরোপ সফর!

জাককানইবি টুডেঃ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লিফট কিনতে ইউরোপের দুটি দেশে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ নয়জন। প্রাক চালান পরিদর্শন বা প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন হিসেবে তারা ইউরোপের সুইজারল্যান্ড ও স্পেন সফর করবেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিদেশ সফরকারীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। সফরকারী নয়জন হলেন- ভিসি প্রফেসর ড. এ এইচ এম মুস্তাফিজুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন, রেজিস্ট্রার ড. মো. হুমায়ুন কবির, প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ইঞ্জিনিয়ার মো. হাফিজুর রহমান, সহকারী প্রধান ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহবুবুল ইসলাম, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিংয়ের সহযোগী অধ্যাপক সোহেল রানা, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. শাহাবুদ্দিন ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সুব্রত কুমার দে।

প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটিতে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হুমায়ুন কবির সুইজারল্যান্ড অ্যাম্বাসি বরাবর সেনজেন ভিসার জন্য আটজনের নামে পৃথক একটি করে এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) দেন। তবে রেজিস্ট্রারের আবেদনে স্বাক্ষর করেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ আনিসুর রহমান।

উল্লেখ করা হয়, প্রি-শিপপেমন্ট ইন্সপেকশনের জন্য চলতি মাসের ২০ থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত ওই দুই দেশে সফরে থাকবেন তারা। এ সময় তাদের বিমান ভাড়া থেকে যাবতীয় ব্যয় বহন করবে ক্রিয়েটিভ ইঞ্জিনিয়ার্স।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান ও ব্যবসা অনুষদের জন্য ১০ তলা করে দুটি ভবনসহ চলছে অন্যান্য নির্মাণ কাজ। প্রকল্পে বিভিন্ন ভবনের জন্য সব মিলিয়ে ১৫টি লিফট কেনা হচ্ছে প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে। সেই লিফট সরবরাহ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ ইঞ্জিনিয়ার্স।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই ভিন্ন কথা বলছেন, প্রাক চালান পরিদর্শন বা প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন হিসেবে ইউরোপের দুই দেশে সফরকারীরা কেউই এই বিষয়ে অভিজ্ঞ নন। তাই এর স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আমিন বলেন, ‘আমার প্রশ্ন হচ্ছে ইন্সপেকশন যে কমিটি সেখানে এক্সপার্ট মেম্বার আছে কিনা। লিফট এনালাইসিস করার জন্য যে এক্সপার্ট প্রয়োজন আমার জানা মতে যারা যাচ্ছেন সেখানে সেই এক্সপার্টরা নাই। তাহলে কোন উদ্দেশ্যে যাওয়া হচ্ছে। এক্সপার্ট ছাড়া যদি লিফট কিনতে যাওয়া হয় তাহলে মূল উদ্দেশ্যই অর্জন হবে না।’

উপাচার্য জানিয়েছেন, তিনি এই সফর বাতিল করেছেন। তবে লিফট কেনার চুক্তির সময় এই বিদেশ সফরের কথা উল্লেখ ছিলো তাই ক্রয় কমিটির সদস্যরা যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘লিফটগুলো সাপ্লাই দিবে সুইজারল্যান্ড ও স্পেনের দুটি ফার্ম। তাদের চুক্তিই ছিলো উপাচার্যসহ লোকাল প্রজেক্ট ইমপ্লিম্যানটেশন কমিটির সদস্যরা দুটি লিফটের জন্য একজন করে যাবে। সাপ্লাইয়ের আগে যাচাই-বাছায়ের জন্য এ টিমকে তারা আমন্ত্রণ জানায়। এটি একদম বিধি সম্মত। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে আমি কোনো টেকনিক্যাল পার্সন নই। আমি তো লিফটের ভাল কিছু বুঝি না। শুধু দেশ ভ্রমণের জন্য যাওয়া ঠিক হবে না। তাই আমি মনে করেছি আমার না যাওয়াটাই উচিত তাই আমি যাচ্ছি না।’

বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্রিয়েটিভ ইঞ্জিনিয়ার্সের এরিয়া মার্কেটিং অফিসার জুবায়ের আহমেদ রিজভী লিফট সরবরাহের কথা নিশ্চিত করে জানান, “এই বিশ্ববিদ্যালয় ৫৫০০৩ (বাণিজ্যিক) মডেলের দুই ক্যাটাগরির লিফট কিনবে। ১০০০ কেজির একটি ক্যাটাগরির প্রতিটি লিফট সুইজারল্যান্ড থেকে আনতে খরচ পড়বে প্রায় ৫৮ লাখ টাকা। আর ১২৫০ কেজির আরেক ক্যাটাগরির জন্য খরচ হবে ৭৫ লাখের কাছাকাছি।”

দ্য ক্যাম্পাস টুডে