শ্বাসকষ্টে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের মৃত্যু

 

বেরোবি টুডে

ঈদের দিন (শুক্রবার) দুপুরে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আকতারুল ইসলাম মারা গেছেন। তিনি নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন। সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন তার বাবা তৌফিকুল ইসলাম।

তার বাবা বলেন, গতকাল তরমুজ খেয়ে হঠাৎ পেটের সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তার দেখিয়ে তিনি ওষুধ খেয়ে একটু সুস্থ হন। এরপর শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে আবার অসুস্থ বোধ করেন। হঠাৎ অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় মেডিকেলে নেওয়ার ব্যবস্থা করতেই নিজ বাড়িতে মারা যান।

জানা যায়, তার গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ভেলাতৈড় গ্রামে। দুইটি ছোট সন্তান (একটি ছেলে একটি মেয়ে) রয়েছে। এছাড়াও তিনি অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

শুক্রবার বাদ মাগরিব পীরগঞ্জ ভেলাতৈড় জামতলী স্কুল মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর স্থানীয় গোরস্থান যোদ্দপীরে দাফন কাজ সম্পন্ন হয়।

এদিকে আকতারুল ইসলামের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান প্রধান গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এই প্রথম বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষকের অকাল মৃত্যু হলো। তার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গভীরভাবে ব্যথিত। এসময় তিনি শোক সন্তত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন ।

তার হঠাৎ মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী এবং এলাকার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেরোবিসাসের শ্রদ্ধাঞ্জলি

রবিউল হাসান সাকীব, বেরোবিঃ মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (বেরোবিসাস) এর সাংবাদিকবৃন্দ।

আজ রোববার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি রাব্বি হাসান (সবুজ)-সময় টিভি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি,সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালের কণ্ঠের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সৌম্য সরকার, ইসমাঈল রিফাত- কোষাধ্যক্ষ (বেরোবিসাস) ও প্রতিনিধি প্রতিদিনের সংবাদ , আদিব হাসান প্রচার সম্পাদক (বেরোবিসাস) বার্তা-২৪,শিপন তালুকদার ঢাকা পোস্ট, রুদ্র মাহমুদ জয় দৈনিক সমকাল, আবু সাঈদ জনি দৈনিক অধিকার। এছাড়াও নাহিদুজ্জামান নাহিদ দৈনিক খোলা কাগজ, রবিউল হাসান সাকীব- দ্য ক্যাম্পাস টুডে, কেএম হিমেল আহমেদ দৈনিক ভোরের ডাক উপস্থিত ছিলেন ।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আল্টিমেটাম

বেরোবি প্রতিনিধিঃ আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার নোটিশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। এ সময়ের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা হলে বড় ধরনের আন্দোলনে নামবে বলে হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে।

শনিবার(৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের আরেক সংগঠন নীল দল নিষেধাজ্ঞা জারির নোটিশটি প্রত্যাহারের দাবিতে একটি মিছিল বের করে। মিছিলে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে। মিছিলটি ক্যাম্পাসের শেখ রাসেল মিডিয়া চত্তর থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, উপাচার্য, রেজিস্ট্রার বছরের পর বছর অনুপস্থিত থেকে তাঁরা নিজেরাই রাষ্ট্রীয় আইন ভঙ্গ করে চলেছেন, প্রতিষ্ঠানের সকল আইন-রীতি ধ্বংস করছেন, তাঁদের এইসব হঠকারী সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে আরো ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ভিসি নিয়োগ শর্ত ভেঙ্গে অনিয়ম করে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে চলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় এমন ফরমান জারি করার এখতিয়ার রাখেন না তাই ভিসি-রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্টদের বিচারের দাবি জানান তিনি। এসময় আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিষেধাজ্ঞার নোটিশ প্রত্যাহার না করা হলে আগামীকাল থেকে আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তিনি।

এদিকে প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে ‘অগণতান্ত্রিক’ উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফ্রন্ট। এছাড়াও ভিসি বিরোধী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদ এক প্রতিবাদলিপিতে এঘটনাকে বাংলাদেশের সংবিধান পরিপন্থী ও সংবিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়ে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা ছাড়াও শাখা ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ৩১ জানুয়ারি স্বাক্ষর হওয়া একটি নোটিশ ভাইরাল হয়। এতে প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন, ভিসির বাংলো, একাডেমিক ভবন এবং শ্রেণিকক্ষের সামনে মিছিল-মিটিং, অবস্থান ধর্মঘট, বিক্ষোভ প্রদর্শন, স্লোগান, বক্তব্য প্রদান ও মৌন মিছিলসহ প্রতিবাদের অংশ হিসেবে তালা লাগানোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। নোটিশ ভাইরাল হওয়ার পর ক্ষোভে ফুলেফেঁপে উঠে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ও বাইরেসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়।

প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করার ঘটনায় সরকারের সর্বোচ্চ মহলে বেশ সমালোচনা হয়। এরপর সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় এ নিয়ে সমালোচনা হয়। এজন্য অন্যান্য মহলের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে-এমন বিষয় বোঝাতেই এসব নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. একে এম ফরিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে নোটিশের তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে সংবিধান ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন কোন ঘটনা ঘটে নি যে সিন্ডিকেটের বিশেষ সভা করে এরূপ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন সংসদ কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রনীত আইনকে লঙ্ঘন করে বিভাগীয় প্রধান, ডিনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়ে চলেছেন। এ অবস্থায় এ ধরনের নোটিশই বলে দেয় যে এ প্রশাসনের অপকর্মগুলো বিনা প্রতিবাদে ও নির্বিচারে চালিয়ে যেতে চায়।

তবে বরাবরের মতো এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আতিউর রহমান, রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামাল, প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. সরিফা সালোয়া ডিনা, ভিসি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হয়। কিন্তু কেউই ফোন রিসিভ করেননি।

দেশের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভর্তি পরীক্ষা: জবি ভিসি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ দেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কবে নেওয়া হবে সেটার সিদ্ধান্ত হবে সামনে উপাচার্যদের সাধারণ সভায় বলে জানিয়েছেন গুচ্ছ ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। সাধারণ সভা চলতি মাসের শেষদিকে আহবান করা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আজ রবিবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আমার সংবাদকে গুচ্ছ ভর্তি পরিক্ষার বিষয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘ দেশে করোনা পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা পরিক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিব। এছাড়া আগের বছরের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদেরও পরীক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষে ওঠানো যায়নি। আগে তাদের পরীক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষে ওঠাতে হবে। আর প্রথমবর্ষের পরীক্ষা নিয়েই তো আর আমরা ক্লাস নিতে পারবো না। এজন্য এ বিষয়ে তাড়াহুড়ো নেই।

দ্বিতীয় বার পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তিনি জানান, আমরা আগেই জানিয়েছি এ বছর যারা পাশ করেছে ও গতবছর যারা পাশ করেছে শুধু তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এছাড়া প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় আগে যেভাবে ভর্তি করত এবারও সেভাবে ভর্তি করবে। যারা সেকেন্ড টাইমার শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাতে চায় তারা করবে। যারা করতে চাই না তারা করবে না। তবে যে শিক্ষার্থী বর্তমানে কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত তারা যদি দ্বিতীয় বারের মতো পরিক্ষা দিতে চাই তাহলে তাদের পরিক্ষার সেন্টার হবে অধ্যয়নরত ওই বিশ্ববিদ্যালয় বাদে অন্য যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ে। কম্পিউটারে এটার প্রোগ্রামিং করে দেওয়া হবে জানান তিনি।

“আমরা আগেই এ বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি, কীভাবে পরীক্ষা হবে তাও বলে দিয়েছি। সিদ্ধান্ত আর পরিবর্তন হবে না।” তার বক্তব্যে তিনি যোগ করেন।

তিনি আরও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মেডিকেল, প্রকৌশলসহ আরো অনেক ধরনের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। একটির মধ্যে যাতে আরেকটি পরীক্ষা না পড়ে যায়, সেজন্য আমাদের উপাচার্যদের সভায় সিদ্ধান্ত হবে। সাধারণত মেডিকেল, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরীক্ষা আগে অনুষ্ঠিত হয়।

অনলাইন ক্লাসের ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় বেরোবি

সাকীব খান
বেরোবি প্রতিনিধি


অনলাইন ক্লাস এখন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সেশনজট নামক অভিশাপ থেকে রক্ষা পেতে অনলাইন ক্লাসের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন অনেক শিক্ষাবিদ।তবে এই অনলাইন ক্লাস আদৌ আলোর মুখ দেখবে কিনা এ বিষয়ে সন্দিহান অনেকেই।

গত ২৫শে জুন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন(ইউজিসি) উপাচার্যদের সাথে অনলাইন সভায় অনলাইন ক্লাসের নির্দেশনা দেন।

এতে শিক্ষার্থীদের নানাবিধ সমস্যা সমাধানকল্পে অনলাইন ক্লাসের মতামত দেন উপাচার্চরা।এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ক্লাস চালু করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সেদিক থেকে পিছিয়ে রংপুর বিভাগের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। অনলাইন ক্লাসের ব্যাপারে এখনও কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

অনলাইন ক্লাসের ব্যাপারে জানতে চাইলে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রুবেল হোসেন আদনান বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কিছু ডিপার্টমেন্ট সেশনজট পুরোনো বিষয়। করোনাকালীন সময়ে দীর্ঘদিন একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এটি আরো প্রকট আকার ধারণ করছে।তাই এই অবস্থা থেকে বের হওয়ার জন্য অনলাইন ক্লাস এখন সময়ের দাবি।

রুবেল আরও বলেন, “তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই ক্লাস গুলো ফেসবুক গ্রূপ খুলে তাতে রেকর্ডের মাধ্যমে আপলোড করা ও ইউটিউবে আপলোড করার দিকে নজর দিতে হবে। কেননা দেশের অনেক প্রান্তেই নেটওয়ার্ক সমস্যা রয়েছে, আপলোড করার ফলে স্টুডেন্টরা তা পরবর্তী সময়ে দেখে নিতে পারবে।”

২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সৈয়দ ফাহিম আলী বলেন, “পুরো বিশ্ব যখন মহামারী করোনার ভয়ানক থাবায় কুপোকাত, তখন এটির প্রকোপ থেকে আমরাও বেঁচে নেই। এটির ভয়াল প্রকোপ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকেও একটি মহাসংকটে ফেলে দিয়েছে।যার ফলশ্রুতিতে এটির প্রকোপ শিক্ষা ক্ষেত্রে কিছুটা কমাতে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সেশনজট মুক্ত রাখতে নেওয়া হয়েছে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত।”

ফাহিম আরও বলেন, “এই উদ্যোগটি তখনই কার্যকর হবে যখন আমরা শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত ডিভাইস, সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট গ্রহণ ও ভালো একটি নেটওয়ার্ক পাবো। আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকার এসকল সমস্যার কথা মাথায় রেখে আমাদের সকলকে সামনে এগিয়ে নিতে সক্ষম হবে।তা নাহলে এসকল সমস্যার মধ্যেও অনলাইন ক্লাস হবে বামন হয়ে আকাশ ছোঁয়া’র মতোই হবে।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) আতিউর রহমান দ্য ক্যাম্পাস টুডেকে বলেন, “এখনও কোন একাডেমিক মিটিং হয়নি অনলাইন ক্লাসের ব্যাপারে।বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন’র (ইউজিসি) নির্দেশনার আগের মিটিংয়ে অনলাইন ক্লাসের ব্যাপারে আলোচনা হলেও কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।”

অনলাইন ক্লাসের জন্য পরবর্তী একাডেমিক মিটিং কবে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর বলেন, এ ব্যাপারে আমি বলতে পারছি না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও উপাচার্যকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও রিসিভ করেননি।

বদলে যাওয়া বেরোবি, পথ দেখাচ্ছেন উপাচার্য

আব্দুল্লাহ আল তোফায়েল


অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন নানা সমস্যায় জর্জরিত উত্তরবঙ্গের মানুষের বহুল আকাঙ্ক্ষিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে (বেরোবি)।

২০১৭ সালের ১৪ জুন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গত তিন বছরে একটু একটু করে বদলে যাচ্ছে ক্যাম্পাসের দৃশ্যপট।

পূর্ববর্তী দুই উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল জলিল মিয়া ও অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর উন নবীর আমলে স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা আর দুর্নীতি-লুটপাটের কারনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। দুর্নীতির মামলায় বাংলাদেশের প্রথম উপাচার্য হিসেবে একজনকে জেলেও যেতে হয়েছিল এবং অন্যজনের বিরুদ্ধে মামলা চলমান। এসব মামলাই তাঁদের সীমাহীন দুর্নীতি প্রমাণ করে।

ড. কলিমউল্লাহ দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজ ফিরিয়ে আনতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। যদিও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যানারে অনেকে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল কোন কোন পক্ষ, কিন্ত বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত ড. কলিমউল্লাহ তা হতে দেননি।

বরং কঠোর হাতে দমন করেছেন। সততা, দক্ষতা ও আন্তরিকতা দিয়ে তিনি গোটা ক্যাম্পাসে একটা টিম ওয়ার্ক গড়ে তুলতে সচেষ্ট হয়েছেন। আর এ কাজে উনাকে সবচেয়ে বেশী উৎসাহ এবং সহযোগিতা করছেন কয়েকজন শিক্ষক।

সেশনজট নিরসন ও প্রশাসনে গতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন।নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক -কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষ করার জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যলয়ের ইতিহাসে প্রথম বারের মতো বুনিয়াদী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। তার নিয়োগের পর থেকে অর্থাৎ ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে দু একটা ব্যতিক্রম ছাড়া কোন সেশনজট নেই।

এ সময় নবীনবরণের দিনেই শিক্ষার্থীরা হাতে পেয়েছেন আইডি কার্ড অথচ পূর্ববর্তী ভিসিদের আমলে ক্ষেত্রবিশেষ দুই বছরেও আইডি কার্ড পাওয়ার যেত না।দায়িত্ব নেওয়ার পর ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে লাইব্রেরী বিকেল ৫ টার পরিবর্তে ৭ টা পর্যন্ত খোলা রাখা,পরিবহন সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন বাস ক্রয় করেছেন ,একাধিক নতুন রোডে বাস চালু করেছেন।

ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যলয়ের করার লক্ষ্যে পুরো ক্যাম্পাসকে ওয়াইফাই সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা, প্রতিটি বিভাগে একটা করে ভার্চুয়াল ক্লাসরুম, ফাইল ট্রাকিং ও ই টেন্ডারিং এর ব্যবস্থা করেছেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের বারো বছরের ইতিহাসে প্রথম বারের মতো প্রমীলা ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন এবং দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ক্যাফেটেরিয়া চালু করেছেন।মহামারী করোনা ভাইরাসে শিক্ষার্থীদের হলের সীট ভাড়া মওকুফের পাশাপাশি দারিদ্র শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যলয়ের পক্ষ থেকে এককালীন আর্থিক সহায়তার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

সব ধরনের নিয়োগের ক্ষেত্রে তার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হল দলবাজি ও স্বজন-প্রীতিকে প্রশ্রয় না দিয়ে মেধা ও যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেওয়া। ফলে বিভিন্ন সময় আত্নীয় স্বজনের চাকুরী না হওয়ায় মনঃক্ষুণ্ণও হয়েছেন প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন শিক্ষক।নিয়োগের ক্ষেত্রে তদবিরকে প্রধান অযোগ্যতা ঘোষনা করেছেন।

তবে এই তিন বছরে ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থাকা, সিন্ডিকেট সভা, নিয়োগ বোর্ডসহ বেশ কিছু সভা ঢাকার লিয়াজো অফিসে করা নিয়ে বিতর্কিতও হয়েছেন।। এছাড়াও উপাচার্য বাণিজ্য ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং এর পাশাপাশি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন অথচ এ দুটি অনুষদে দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত শিক্ষক রয়েছেন।

প্রায় এক যুগ পেরিয়ে গেলেও নিজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা বারবার আশাহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের ধারণা ছিল তিনি সাবেক উপাচার্যদের বৃত্তের বাইরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসবেন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অন্যতম একটি চাওয়া ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে একটি অত্যাধুনিক গেট নির্মাণ যা এখনো আলোর মুখ দেখেনি।

গত তিন বছরের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে আলাপ কালে তিনি জানান, পূর্ববর্তী উপাচার্যদের হেঁয়ালিপনায় বিশ্ববিদ্যালয় অনেক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে।দাযিত্ব নেওয়ার পর ডিসিপ্লিন ফিরিয়ে এনে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা ছিলো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের। আমি এ লক্ষ্যে দিনরাত কাজ করেছি।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর আত্নহত্যা

বেরোবি প্রতিনিধিঃ ঈদের দিন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ( বেরোবি) কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী আত্নহত্যা করেছে। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহী রাজিউন।

জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থীর নাম আলাভী। ঈদের দিন সে পাবনায় তার নানার বাড়িতে আত্মহত্যা করে। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীতে। আলাভী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিল। তবে আলাভীর আত্নহত্যার কারণ এখনও জানা যায় নি।

কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাজিব বলেন, সকালে তার মারা যাওয়ার বিয়টি শুনেছি। যতদূর শুনেছি লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।আবার কেউ কেউ বলছে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর (চলতি) আতিউর রহমান বলেন, আমি আরিফুল ইসলামের মৃত্যুর বিষয়ে এখনো কিছু জানি না। তবে আমি এখনি তার বিভাগের সাথে কথা বলে এবিষয়ে নিশ্চিত হব।

বেরোবিতে নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ

সাকীব খান, বেরোবি প্রতিনিধি


রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য উইমেন পিস ক্যাফে এর উদ্যোগে প্রতিটি বিভাগে মেয়েদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিস বিভাগের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের কাছে স্যানিটারি ন্যাপকিন হস্তান্তর করার মাধ্যমে উক্ত কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

কর্মসূচিতে জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিস বিভাগের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, মেয়ে শিক্ষার্থীরা জীবনের অনেক বড় একটা সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটায়, এ সময়ে তারা শিক্ষাকাজে যেন কোনভাবে পিছিয়ে না যায় সেজন্য এই উদ্যোগ অনবদ্য ভূমিকা পালন করবে। উইমেন পিস ক্যাফের এই উদ্যোগকে তিনি দেশের জন্য মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করেন।

এসময় উইমেন পিস ক্যাফের মেন্টর সোহেলা মুস্তারী নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে যেয়ে মেয়েদের নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তিনি এই সমস্যাগুলো থেকে উত্তরণের জন্য সকল বিভাগগুলোকে কাজ করার জন্য আহবান করেন। বিভাগের বিশেষ একটি কক্ষে স্টোর করে স্যানিটারি ন্যাপকিন সহবরাহকে সহজলভ্য করারও পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত উইমেন পিস ক্যাফের সভাপতি উম্মে কুলসুম বলেন, নারীদের সুরক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সম্পর্কে সুরক্ষার জন্য আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা আশা করি সকল বিভাগের শিক্ষক এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উইমেন পিস ক্যাফের মেন্টর ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক সোহাগ আলী,একই বিভাগের প্রভাষক ও মেন্টর জেসমিন নাহার ঝুমুর,ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও মেন্টর শামীম হোসেন এবং উইমেন এন্ড পিস ক্যাফের সাধারণ সম্পাদক জেসমিন খাতুনসহ সকল সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়: আগামীকালের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

বেরোবি টুডেঃ বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) আগামীকালের (১১ নভেম্বর) ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে ।



১১ নভেম্বরের পরীক্ষা ১২ নভেম্বর, ১২ নভেম্বরর পরীক্ষা ১৩ নভেম্বর এবং ১৩ নভেম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৪ নভেম্বর।



২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদভূক্ত ২১টি বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে। ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.brur.ac.bd) প্রকাশ করা হবে।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের তিন দফা মেনে নিলেন ভিসি

বেরোবি টুডেঃ বিগত বছরে ভর্তি জালিয়াতির সাথে জড়িত অভিযুক্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারীদের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি ও ভর্তি সংক্রান্ত কর্মকান্ড থেকে বিরত রাখাসহ তিন দফা দাবিতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (০৬ নভেম্বর) আন্দোল শুরু হওয়ার পাঁচ ঘন্টা পরে উপাচার্য
অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ সরাসারি এসে তাদের দাবী মেনে নেন। এসময় দাবি মেনে নেয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা আনন্দ-উল্লাস প্রকাশ করেন।

এদিন দুপুর ১২টায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর ফটকের সামনে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা।

পরে আন্দোলন থামাতে প্রশাসনের পক্ষে কথা বলতে এসে বিকেল চারটায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন শহীদ মুখতার ইলাহী হলের প্রভোস্ট (চলতি দায়িত্ব) শাহীনুর রহমান। এর আধাঘন্টা পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ এসে মৌখিকভাবে শিক্ষার্থীদের সকল দাবী মেনে নিয়ে বলেন, আপনাদের দেওয়া দাবী প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে মেনে নেওয়া হয়েছে। আপনারা আন্দোলন ছেড়ে রুমে ফিরে যান।

যৌক্তিক দাবি আন্দোলনের মুখপাত্র জাকারিয়া জাকির বলেন, “আজকের এই আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন মেনে নেয়ায় পুরো বাংলাদেশে বেরোবির সুনাম অর্জিত হবে । এখন থেকে প্রত্যেকবার ভর্তি পরীক্ষার সময়ে ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রীরা এবং তাদের সাথে আসা অভিভাবকরা হলে থাকবেন । আমরা চাই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মত বেরোবি ও নিজের ধারায় এগিয়ে যাক বিশ্বের দরবারে।”



সংবাদ প্রেরক দ্য ক্যাম্পাস টুডের বেরোবি প্রতিনিধি সাকীব খান।