দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অবদান নিরূপণ, এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষা ২০২১

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অবদান নিরূপণ, এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষা ২০২১

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অবদান নিরূপণ । এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষা ২০২১ শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট মার্কেটিং নীতি ও প্রয়োগ-২ । HSC BM 2021 Assignment Marketing. ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ধারণা বর্ণনা করতে হবে, ,ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে হবে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে হবে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এর ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বৈশিষ্ট্য , ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের গুরুত্ব, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ধারণা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এর ধারণা।

এসাইনমেন্ট প্রশ্নঃ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অবদান নিরূপণ

এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষা ২০২১ শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট মার্কেটিং নীতি ও প্রয়োগ-২ এর উত্তর

অর্থনৈতিক উন্নয়ন এর ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে

অর্থনৈতিক উন্নয়ন সেই প্রক্রিয়াকে বোঝায় সর্বসমেত শারিরীক অবস্থা, কুশল, এবং একাডেমিক স্তরের জনসংখ্যা উন্নত করে। উন্নয়নকালে, কৃষি থেকে শিল্পে এবং পরে তা পরিষেবায় জনসংখ্যা স্থানান্তর হয়। প্রত্যেক বার দোকান থেকে কেনাকাটা করার সময় এবং স্থানীয় বা রাষ্ট্র বিক্রয় ট্যাক্স দেওয়ার মাধ্যমে আপনি অর্থনৈতিক উন্নয়ন তহবিলে সাহায্য করতে পারেন। যেমন ধরুন নতুন জুতো কিনলেন বা কর প্রদান করলেন। তার কিছু শতাংশ অর্থ অর্থনৈতিক উন্নয়ন তহবিলে প্রোজেক্টের দিকে যায়।

অর্থনৈতিক উন্নয়ন কাকে বলে আলোচনায় সাধারণ অর্থে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হল জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন। উন্নত জীবনযাত্রার মান বলতে বোঝায় শিক্ষার উচ্চস্তর, শ্রমিকের আয়, স্বাস্থ্য ও জীবনযাপন।

কৃষিনির্ভর অর্থনীতি থেকে বাংলাদেশ শিল্পোন্নয়নের অভিযাত্রায় অনেকদূর এগিয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আবাদি জমির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে এবং যাচ্ছে। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে অর্থনীতির প্রাণ কৃষি হলেও দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কৃষির পাশাপাশি শিল্প খাতের উন্নয়ন অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শিল্প খাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের বিকাশ শিল্পোন্নয়নের চালিকাশক্তি হিসেবে বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ধারণা বর্ণনা করতে হবে

ক্ষুদ্র শিল্পের ধারণা : যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্বল্প মূলধন, কম শ্রমিক ও ছোটখাটো যন্ত্রপাতি নিয়ে কোনো একটি দ্রব্য উত্পাদন করে তাদের ক্ষুদ্র শিল্প বলে। উৎপাদনমুখী শিল্পের ক্ষেত্রে “ক্ষুদ্র শিল্প” বলতে সেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানকে বুঝায় যে সব প্রতিষ্ঠানে জমি এবং কারখানা ভবন ব্যাতিরেকে স্থায়ী সম্পদের মূল্য, প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ৫০ লক্ষ টাকা থেকে ১০ কোটি টাকা কিংবা যে সব শিল্প প্রতিষ্ঠানে ২৫-৯৯ জন শ্রমিক কাজ করে।

সেবা মূলক শিল্পের ক্ষেত্রে “ক্ষুদ্র শিল্প” বলতে সেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানকে বুঝায় যে সব প্রতিষ্ঠানে জমি এবং কারখানা ভবন ব্যতিরেকে স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ৫ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা কিংবা যে সব শিল্প প্রতিষ্ঠানে ২০- ২৫ জন শ্রমিক কাজ করে।

মাঝারি শিল্পের ধারণা: যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান যথেষ্ট পরিমাণ মূলধন, উল্লেখযোগ্য দক্ষ ও অর্ধদক্ষ শ্রমিক, পুরনো ও আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে একটি দ্রব্য উত্পাদন করে তাদের মাঝারি শিল্প বলে।

উৎপাদমুখী শিল্পের ক্ষেত্রে মাঝারি শিল্প বলতে যে সব শিল্প প্রতিষ্ঠানকে বুঝায় যে সব প্রতিষ্ঠানে জমি এবং কারখানা ভবন ব্যতিরেকে স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ১০ কোটি টাকার অধিক এবং ৩০ কোটির মধ্যে কিংবা যে সব শিল্প প্রতিষ্ঠানে ১০০ – ২৫০ জন শ্রমিক নিয়োজিত থাকে।

সেবা মূলক শিল্পের ক্ষেত্রে মাঝারি শিল্প বলতে সেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে জমি এবং কারখানা ভবন ব্যতিরেকে স্থায়ী সম্পদের মূল্য ব্যয়সহ প্রতিস্থাপন ১ কোটি টাকা থেকে ১৫ কোটি টাকা পযুন্তু কিংবা যে সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে ৫০-১০০ জন শ্রমিক পর্যন্ত নিয়োজিত রয়েছে।

এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষা ২০২১ শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট মার্কেটিং নীতি ও প্রয়োগ-২ এর উত্তর

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে হবে

ক্ষুদ্র শিল্পের বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলো: ক্ষুদ্র শিল্পের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো উৎপাদনমুখী শিল্পের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র শিল্প গঠন করার জন্য স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয় সহ ৫০ লক্ষ টাকা থেকে ৫০ কোটি টাকার প্রয়োজন ।

আর তাই সব শিল্প প্রতিষ্ঠানে ২৫-২৯ জন শ্রমিক কাজ করে। আর সেবামূলক শিল্পের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গঠন করার জন্য স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ৫ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা প্রয়োজন। আর তাই সব প্রতিষ্ঠানে ১০-২৫ জন শ্রমিক কাজ করে ।

মাঝরি শিল্পের বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলো: মাঝারি শিল্পের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো উৎপাদনমুখী শিল্পের ক্ষেত্রে মাঝারি শিল্প গঠন করার জন্য স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয় সহ ১০ কোটি টাকার আর্থিক এবং ৬০ কোটি টাকার প্রয়োজন।

আর তাই সব প্রতিষ্ঠানে ১০০-২৫০ জন শ্রমিক কাজ করে । আর সেবামূলক শিল্পের ক্ষেত্রে মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান গঠন করার জন্য স্থায়ী সম্পদের মূল্য, প্রতিস্থাপন ব্যয় সহ ১ কোটি টাকা থেকে ১৫ কোটি টাকার প্রয়োজন । আর তাই সব প্রতিষ্টানে ৫০ থেকে ১০০ জন শ্রমিক কাজ করে ।

এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষা ২০২১ শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট মার্কেটিং নীতি ও প্রয়োগ-২ এর উত্তর

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে হবে

ক্ষুদ্র শিল্পের গুরুত্ব: বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে ক্ষুদ্র শিল্প অধিকতর উপযোগী। দেশের বেশির ভাগ শিল্পই ক্ষুদ্র শিল্পের আওতাভুক্ত। কর্মসংস্থানের বড় ক্ষেত্র হচ্ছে এ সকল শিল্প। নিম্নে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্ষুদ্র শিল্পের ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো:

১. মূলধন সাশ্রয় ও অধিকতর কর্মসংস্থান সৃষ্টিঃ উদ্বৃত্ত শ্রমশক্তি আমাদের দেশের উৎপাদন ব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ক্ষুদ্র শিল্পে স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগের অধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। কারণ এ ধরণের শিল্প তুলনামূলক ভাবে শ্রম প্রধান।

২. সহায়ক পেশাঃ বাংলাদেশের জনগোষ্ঠী এক বিরাট অংশ খন্ডকালীন বেকারত্বের স্বীকার। বিশেষ করে কৃষি কাজে নিয়োজিত জনগোষ্ঠী বছরের কিছু সময় বেকার থাকে। এসব খন্ডকালীন বেকারত্ব দূর করার ক্ষেত্রে গ্রামীণ এলাকার কৃষি ও কৃষি বহির্ভূত ক্ষুদ্র শিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসাবে ভূমিকা পালন করে।

৩. স্থানীয় সম্পদের সদ্ব্যবহারঃ ক্ষুদ্র শিল্প প্রধানত স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কাঁচামাল ও উপকরণ দ্বারা পরিচালিত হয়। ফলে দেশের মধ্যে প্রাপ্ত কাঁচামাল ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের সদ্ব্যাবহার সম্ভব হয়।

৪. আত্নকর্মসংস্থানঃ ক্ষুদ্র শিল্পে প্রয়োজন স্বল্প পুঁজি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ। এ ধরণের শিল্প প্রতিষ্ঠান আমাদের বিপুল সংখ্যক বেকার ও অর্ধবেকার লোকদের জন্য আত্নকর্মসংস্থান ও আয় বর্ধনের সুযোগ সৃষ্টি করে।

৫. সুষম উন্নয়নঃ ক্ষুদ্র শিল্প দেশের সর্বত্রই স্থাপনা করা যায়। ফলে দেশে সুষম উন্নয়ন সম্ভব হয় এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে গতিশীলতা আসে।

৬. উদ্যোক্তার প্রতিভা পালনঃ ক্ষুদ্র শিল্প দেশের উদ্যোক্তাদের শিল্পোদ্যোগের ফল। ক্ষুদ্র শিল্পে সফলতা অর্জন করলে সে নতুন ও বড় ধরণের কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ হয়।

৭. আয় বন্টনঃ ক্ষুদ্র শিল্প সারা দেশ ব্যাপী ছড়িয়ে থাকলেও বিপুল সংখ্যক লোকের কর্মসংস্থান করে, ফলে আয়ের এক ধরণের বিস্তৃত বন্টন হয়ে থাকে। সুতরাং বলা যায়, ক্ষুদ্র শিল্প যেমন বৃহদায়তন শিল্প প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে তেমনি বৃহৎ শিল্পের পাশাপাশি ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়।

মাঝারি শিল্পের গুরুত্ব: বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মাঝারি শিল্পের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের মোট শিল্প খাতে বেশির ভাগই আসে মাঝারি শিল্প থেকে। নিম্নে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মাঝারি শিল্পের ভূমিক সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো:

১. মূলধন বেশী ও অধিকতর কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে মাঝারি শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে কর্মক্ষম করতে মাঝারি শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

২. দেশীয় কাঁচামাল ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করে মাঝারি শিল্প পল্লী অঞ্চলের সম্পদ বৃদ্ধি করে থাকে। ফলে অধিক মুনাফা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

৩. সুষম শিল্প উন্নয়ন করে মাঝারি শিল্প অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত করে থাকে।
৪. বৃহদায়তন শিল্পে কাঁচামাল ও দক্ষ জনশক্তি সরবরাহ করে মাঝারি শিল্প দেশের মুল কাঠামো শক্তিশালীকরণে সাহায্য করে।

৫. মাঝারি শিল্প স্থাপনে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সরকার সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে রাজস্ব আয় করে থাকে।
৬. মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করার ক্ষেত্রে মাঝারি শিল্প যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে থাকে।

#দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অবদান নিরূপণ

২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন যেভাবে

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *