পবিপ্রবি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীর সুইসাইড এটেম্পটের হুমকি

পবিপ্রবি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীর সুইসাইড এটেম্পটের হুমকি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ চলতি মাসের মধ্য যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডিভিএম ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়া ও অতিদ্রুত ডিগ্রী শেষ করার সুযোগ না দেয় তাহলে তারা আত্নহত্যা করতে বাধ্য হবেন বলে গতকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক পোস্ট করে যাচ্ছেন উক্ত ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের করা পোস্ট টি হুবহু তুলে ধরা হলো –
“আমি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ সেশন এর একজন শিক্ষার্থী। পৃথিবীতে যে হারে মহামারী দেখা দিয়েছে তাতে আমরা সবাই স্তব্ধ এবং দেড় বছর থেকে স্তব্ধ অবস্থায় আছি। কিন্তু এই স্তব্ধতা আরো এক বছর বা দেড় বছর অপেক্ষা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা পাঁচ বছরের গ্রাজুয়েশন কোর্স এ ভর্তি হয়েছি। অন্যান্যদের থেকে এমনিতেই এক বছর বেশি তার মধ্যে আবার করোনার কারণে দেড় বছর লেগেছে টোটালি আড়াই বছর আমাদের জীবন থেকে চলে গিয়েছে। আর কিছুদিন গেলে আমাদের পড়ালেখা বা গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার কোনো দাম বা মানেই হয়না। যেখানেই পড়ালেখার কোন দাম বা মানে নাই সারাজীবন সারাজীবন পড়াশোনা করে শেষ জীবনে বুড়া হয়ে পড়ার ইচ্ছা নাই। শুধুমাত্র আমরা সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার কারণে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করতে পারছিনা। মাননীয় ভিসি স্যারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আপনি কি চাইলে শুধুমাত্র ফাইনাল ইয়ারের স্টুডেন্টের ফাইনাল এক্সাম কমপ্লিট করে আমাদেরকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার সুযোগ দিতে পারেন না??? এভাবে বাসায় বসে থেকে নানান মানুষের কথা শোনার থেকে আর এভাবে বেঁচে থাকার থেকে মরে যাওয়া টা অনেক ভাল মনে হচ্ছে এই মুহূর্তে। কারণ যেখানে শুধুমাত্র ফাইনাল পরীক্ষার কারণে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করতে পারছিনা সেখানে আর কিছু বলার নাই। আর তাছাড়াও অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যদি তা করতে পারে তাহলে আমরা কেন তা পারি না। দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করলে দেখা যায় শপিংমলে হাজার হাজার লোক বাজারে হাজার হাজার লোক সবখানে লোকে লোকারণ্য। অথচ আমাদের ব্যাচে শুধু মাত্র ৫৬ জন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার মানসিকতা টুকু আপনাদের নেই। যেখানে দেশে হাজার হাজার লোক জন চলাফেরা করছে সেখানে ৫৬ জন ছাত্র পরীক্ষাটা খুবই কষ্টের। বরং আমি তো মনে করি ৫৬ জনকে পরীক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রে খুব ভালোভাবেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা যাবে। মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এই মাসের মধ্যেই যদি আমাদের পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করা না হয় তাহলে আমরা সকলেই সুইসাইড করতে বাধ্য হব এবং এর জন্য আপনারা সকলেই দায়ী থাকবেন।”

এবিষয়ে পবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক স্বদেশ বলেন, শিক্ষার্থীদের বর্তমান অবস্থা আমরা খুব ভালো ভাবেই অনুধাবন করতে পারছি। ডিভিএম ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করে বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতিদ্রুত এ বিষয়টি ইউজিসি কে অবগত করে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করবো। অফলাইনে সম্ভব না হলেও অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য পবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *