বশেমুরবিপ্রবি কম্পিউটার চুরির তদন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি

বশেমুরবিপ্রবি কম্পিউটার চুরির তদন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) কম্পিউটার চুরির তদন্ত রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশ এবং শিক্ষকদের হুমকি প্রদাণের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে অংশ নেয় প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী।

মানববন্ধনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, শেখ তারেক, বাবুল শিকদার বাবু এবং ফাহাদ সার্জিল বক্তব্য রাখেন। এসময় তারা শিক্ষকদের হুমকি প্রদানের বিচার দাবি করেন এবং প্রকৃত কম্পিউটার চোরকে শনাক্ত করার দাবি জানান।

এছাড়া চুরির ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশের আবেদন জানিয়ে তারা বলেন, “চুরির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি গত ৬ সেপ্টেম্বর তাদের প্রতিবেদন রেজিস্ট্রারের নিকট জমা দিলেও এখনও সেটি উপাচার্যের নিকট হস্তান্তর করা হয় নি এবং কোনো ব্যবস্থাও করা হয়নি। আমরা এই বিলম্বের কারণ জানতে চাই এবং দ্রুত দোষীদের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানাই।”

এছাড়া তারা মানববন্ধন শেষে বিচার দাবি করে উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপিও প্রদান করেছেন। স্মারকলিপিতে তারা চুরির ঘটনায় আটককৃত শিক্ষার্থী পনির সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ নজরুল ইসলাম হিরার যোগসাজেশের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন এবং নজরুল ইসলাম হিরা কর্তক শিক্ষকসহ তদন্ত কমিটির সদস্যদের হুমকি প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া স্মারকলিপিতে চুরির ঘটনায় করা মামলাটি র‍্যাবের নিকট হস্তান্তরের জন্য ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানান।

এ বিষয়ে উপাচার্য ড. এ. কিউ. এম মাহাবুব বলেন, “শিক্ষার্থীরা আমার কাছে এসেছিলো এবং আমি তাদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেছি। কিন্তু এ বিষয়ে মামলা চলমান তাই এখানে আমার তেমন কিছুই করার সুযোগ নেই। আমি সর্বোচ্চ বিষয়টি রিজেন্ট বোর্ডের মিটিংয়ে তুলতে পারি।”

এর আগে , ঈদুল আজহার ছুটিতে বশেমুরবিপ্রবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরি হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু কমিটির সদস্য মোঃ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে চুরির ঘটনায় গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থী পনির সাথে সুসম্পর্কের অভিযোগ ওঠায় তাকে কমিটি থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।

আর এই সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত হয়ে নজরুল ইসলাম তদন্ত কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরন করেন, যার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া তিনজন শিক্ষকসহ তদন্ত কমিটির পাঁচ সদস্য নজরুল ইসলাম হিরার বিরুদ্ধে রেজিস্ট্রার বরাবর হুমকির অভিযোগ জানিয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *