বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় বশেমুরবিপ্রবির দুই শিক্ষক

বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় স্থান পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) দুইজন শিক্ষক।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক বিশ্বের প্রথম সারির চিকিৎসা ও বিজ্ঞান বিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশনা সংস্থা ‘এলসেভিয়ার’ এর সমন্বিত জরিপে চলতি বছরের গত ৪ অক্টোবর (বুধবার) এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

তালিকায় পুরো এক বছরের গবেষণা ও আরেকটি পেশাগত ভিত্তিতে সেরা গবেষক নির্ধারণ করা হয়। তালিকায় স্থান পেয়েছেন বশেমুরবিপ্রবির ফার্মেসী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম ও গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. দীপংকর কুমার।

বিশ্বসেরা গবেষক তালিকায় স্থান পেয়ে ড. মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন , বিশ্বের ২ শতাংশ বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান অর্জন করতে পারাটা ভালো লাগার বিষয়।এ তালিকায় যেন শিক্ষক শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এ ব্যাপারে ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

প্রসঙ্গত, এলসেভিয়ার প্রতিবছর প্রায় দুই হাজারের উপরে জার্নাল প্রকাশ করে। প্রকাশিত জার্নালে নিবন্ধের সংখ্যা আড়াই লাখের বেশি। এর আর্কাইভে ৭০ লাখের অধিক প্রকাশনা রয়েছে।

বশেমুরবিপ্রবির অনলাইন পরীক্ষা শুরু ২০ আগস্টের পর

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) অনলাইন পরীক্ষা আগামী ২০ আগস্টের পর শুরু হবে। সেইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের অবস্থানরত এলাকা থেকে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

রবিবার (৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আবদুর রউফ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ২০ আগস্টের পরে যেকোনো সময়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষা শুরু করা হবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া শিক্ষার্থীদের অবস্থানরত এলাকা থেকে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে শ্রেণি প্রতিনিধিদের (সিআর) মাধ্যমে নিজ বিভাগকে অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে।

এর আগে অনলাইনে পরীক্ষার বিষয়ে নীতিমালা তৈরি করতে গত ৪ আগস্ট ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে কমিটির সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রাজিউর রহমান বলেন, অনলাইনে পরীক্ষার বিষয়ে নীতিমালা খসড়া করে উপাচার্যের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

বশেমুরবিপ্রবিতে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে মন্দির নির্মাণের টেন্ডার পাশ

 

সাগর , বশেমুরবিপ্রবি প্রতিবেদক:প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পরে অবশেষে মন্দির নির্মাণ হতে যাচ্ছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে নয় হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্টের অর্থায়নে এই মন্দির নির্মাণ হবে।

সনাতন শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায় , বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পূজা অর্চনার জন্য ক্যাম্পাসে অস্থায়ী মন্দিরে কার্যক্রম চলমান থাকায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে পূজা অর্চনার জন্য ক্যাম্পাসে ছোট মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করার উদ্যোগ নিয়েঋে এবং ইতোমধ্যে মন্দির নির্মাণের টেন্ডারও পাশ হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন সংঘের সভাপতি একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক উজ্জ্বল মন্ডল স্বাক্ষরিত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর প্রদানকৃত আবেদন পত্রে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে মন্দির নির্মাণের জায়গা নির্ধারণ করে দিলেই কাজ শুরু হবে।

জায়গা নির্ধারণের বিষয়ে সনাতন সংঘের সভাপতি উজ্জ্বল মন্ডল বলেন, ইতিমধ্যে জায়গা নির্ধারণের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি আগামী সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতৃপক্ষের উপস্থিতিতে এটি বুঝিয়ে দেবে। এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, হিন্দু কল্যান ট্রাস্টের উদ্যোগে ছোট নাট মন্দির নির্মাণ হবে। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ধাপে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হলে তখন পূর্ণাঙ্গ মন্দির নির্মাণ হবে।

সনাতন শিক্ষার্থীদের দাবি, অতি দ্রুত উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করা হোক।পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তৃতীয় ধাপে পূর্ণাঙ্গ মন্দির নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হোক।

বশেমুরবিপ্রবি : চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে কর্মচারী কর্তৃক অবরুদ্ধ উপাচার্য

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে উপাচার্য ড.এ.কিউ.এম মাহবুবকে সকাল ১০ টা থেকে অবরুদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাস্টাররোলে কর্মরত কর্মচারীরা।

বুধবার (১৬ জুন) সকাল ১০.৩০ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরসহ প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলার একাংশ অবরোধ করে আন্দোলন শুর করেন প্রায় শতাধিক কর্মচারী।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী উপাচার্য এখনও অবরুদ্ধ রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসে পুলিশ অবস্থান করছে।

অটোপাস পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীরা

এ বিষয়ে মাস্টাররোল কর্মচারী রিপন গাজী বলেন, “আমরা গত তিন বছর যাবৎ অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ করছে। মাঝে প্রায় তেরোমাস আমাদের বেতন বন্ধ ছিলো। নতুন উপাচার্য আসার পর চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা এখনও আশ্বাসের কোনো বাস্তবায়ন দেখিনি। এখন আমাদের একটাই দাবি নীতিমালা প্রণয়ন করে চাকরি স্থায়ীকরণ করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত গেট আটকানো থাকবে এবং অবরোধ চলবে।”

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য ড. এ.কিউ.এম মাহবুব বলেন, “আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে আসার আগে মাস্টাররোলে প্রায় দেড় শতাধিক কর্মচারী নেয়া হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে এত সংখ্যক কর্মচারীর পদ নেই। ইউজিসির কাছে সম্প্রতি কিছু পদে লোক নিয়োগের আবেদন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে হয়ত ১২-১৩ টি কর্মচারীর পোস্ট আাসতে পারে। ইউজিসি অনুমতি না দিলেতো আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণের সুযোগ নেই।”

এদিকে তাদের দাবি লিখিত ডকুমেন্টস না দিলে, তাদের অবস্থান চলমান থাকবে।

করোনা টিকার নিবন্ধন করেননি বশেমুরবিপ্রবির প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী

 

সাগর, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( বশেমুরবিপ্রবি ) প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী করোনা টিকা গ্রহণের জন্য আবেদন করেননি। এদিকে রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা শেষ হলেও পরবর্তীতে স্বল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী করোনা টিকার জন্য নিবন্ধন করলেও বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেননি।

আজ বুধবার (৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রশাসন শাখার সহকারী রেজিস্টার মোঃ মোরাদ হোসেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে করোনা টিকার আওতায় আনতে রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ শেষ হয় ৫ এপ্রিল এ পর্যন্ত নিবন্ধন করেন ২০২০ জন কিন্তু পরবর্তীতেও সময়সীমা বৃদ্ধি না করলেও ১০৬৮ জনের নিবন্ধন জমা নিয়েছি। এ নিয়ে মোট নিবন্ধন করেন ৩৩৮৮ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া শিক্ষক ১৫১ জন ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিবন্ধন করেন ১৪৪ জন।

 

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংগ্রহ শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১২ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে গত ১ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে অপেক্ষাকৃত কম রেজিস্ট্রেশন হওয়ায় সময়সীমা শেষ হলেও নিবন্ধন জমা নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতৃপক্ষ।

শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান বশেমুরবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: করোনার কারণে দীর্ঘ ১৪ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর গত ২৪ মে সারাদেশ ব্যাপি শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ শিক্ষামন্ত্রী লাইভে এসে চলমান ছুটি ১২ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন।

এদিকে শিক্ষামন্ত্রীর ১২ জুন পর্যন্ত ছুটি বৃদ্ধির আদেশ প্রত্যাখান করে বিবৃতি প্রদান করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আজ (২৬ মে) সন্ধ্যা ৭টায় একাডেমিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা এ বিবৃতি প্রদান করেন।

বিবৃতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, “বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে” তেমনি শিক্ষার্থীদের স্থান-ই ক্যাম্পাস। সেই ক্যাম্পাস যদি ফাঁকা পড়ে থাকে, জাতির মেরুদন্ডই যদি ঝিমিয়ে পড়ে, হতাশায় ভুগে, তাহলে এই জাতির কি হবে!

শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখান, আগামীকাল সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ

তারা আরও বলেন, ২৪ মে সারাদেশে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে। অথচ কোনো ফলাফল পাইনি। আমরা সবচেয়ে বেশি হতাশ হয়েছি আজকে যখন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নিজেই বলেছেন ১৩ জুন থেকে স্কুল কলেজ খুলে দেয়া হবে। আমরা একটা প্রশ্ন ছুড়ে দিতে চাই যে, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের করোনা সম্পর্কে সচেতনতা বেশি নাকি পাবলিক বিশবিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বেশি?

এছাড়া প্রাইভেট বিশবিদ্যালয়ের কার্যক্রম পুরোদমে চলছে, মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের হল খোলা এবং তাদের টার্ম পরীক্ষাও নেয়া হচ্ছে, তাহলে আমাদের-ই কেন বন্ধ থাকবে? এটা এক ধরনের বৈষম্য।

আমরা সর্বোচ্চ বিনয়ের সাথে অনুরোধ করছি, আমাদের লক্ষ লক্ষ সাধারণ শিক্ষার্থীদের দিকে তাকিয়ে,তাদের পরিবারের দিকে তাকিয়ে হলেও বিশ্ববিদ্যালয় অনতিবিলম্বে খুলে দেয়া হোক।

 

হল-ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে বশেমুরবিপ্রবিতে মানববন্ধন

 

বশেমুরবিপ্রবি টুডে

করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ ১৪ মাস হল ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) অবিলম্বে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৪ মে) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তায় শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা প্রত্যাহার করেন। শুধু তাই নয় প্লাকার্ড হাতে শিক্ষার্থীরা বলেন, ” সিনাম হল খোলা, শপিংমল খোলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কেন”?

শুধু প্লাকার্ড হাতে নয় মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ” শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি করোনার উত্স হয় তাহলে অফিস আদালত কলকারখানা কি করোনা থেকে মুক্ত? শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে টালবাহানা না করে দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবি জানান তারা।

তারা আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমরা হতাশাগ্রস্থ , আর তারচেয়েও বেশি হতাশাগ্রস্থ আমাদের পরিবার। যেখানে পড়ালেখা শেষ করে পরিবারের হাল ধরবো সেখানে বেকার হয়ে ঘুরতেছি। আমরা আর অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষা নামক প্রহসন চাইনা, সরাসরি ক্লাসে উপস্থিত হতে চাই।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিনীত অনুরোধ অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন।”

শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনের বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড.একিউএম মাহবুব বলেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন করার অধিকার রয়েছে। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ না এলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হতো। তবে আশা করছি সরকার দ্রুতই শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করবে।”

বশেমুরবিপ্রবি: প্রক্টরের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়েছেন ১৭ সহকারী প্রক্টর

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমানের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে উপাচার্যের কাছে ২২ জন সহকারী প্রক্টরের মধ্যে ১৭ লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপাচার্য প্রফেসর ড .এ. কিউ. এম. মাহবুব ।এসময় তিনি আরও বলেন, গতকাল অভিযোগটি হাতে পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অভিযোগকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রক্টর ড রাজিউর রহমানের পদ অবৈধ। শুধু তিনি নয় চলতি দায়িত্বে থাকা উপাচার্য প্রফেসর ড.মো:শাহাজাহান এর সময় নিয়োগ পাওয়া সহকারী প্রক্টর পদও অবৈধ।

এসময় তারা বলেন, প্রফেসর ড .মোঃ শাহাজাহান উপাচার্য ( চলতি দায়িত্বে) থাকাকালীন সময়ে তিনি নিয়োগ পায় প্রক্টর পদে। কিন্তু যা চলতি দায়িত্বে থাকা উপাচার্যের ক্ষমতার বাহিরে। এছাড়া ওই অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, উপাচার্যের চলতি দায়িত্বে থাকাকালীন একজন স্থায়ী উপাচার্যের গাড়ি,অফিস ব্যবহার সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন না। কিন্তু প্রফেসর ড .মোঃ শাহাজাহান এগুলো অবৈধ ভাবে ব্যবহার করেছেন।

প্রক্টরের প্রতি অনাস্থার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন সহকারী প্রক্টর বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া কয়েকটি বিষয়ে সহকারী প্রক্টর মহোদয়দের কে অবহিত না করা এবং সমন্বয়হীনতার প্রতি এই অনাস্থা তৈরি হয়।

তিনি আরও বলেন, শুধু তাই নয় তার প্রক্টর পদ অবৈধ। তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন কোন সিদ্ধান্ত নিলেও সেই পদ অবৈধ হবে।

এবিষয়ে প্রক্টর ড রাজিউর রহমান বলেন, অফিসিয়ালি তিনি এ বিষয়ে এখনো অবগত নন।

তবে চলতি দায়িত্বে থাকা সাবেক উপাচার্য ড. মোঃ শাহাজাহান এর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বশেমুরবিপ্রবি, পিরোজপুর

 

বশেমুরবিপ্রবি টুডে

জাতীয় সংসদে ২০০১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০১ পাসের মাধ্যমে গোপালগঞ্জে যাত্রা শুরু করে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু সম্প্রতি পিরোজপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর, আইন ২০২০ পাস হয়।

তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সে সময় নামে কিছুটা পরিবর্তন এনে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ নামকরণ করতে দেখা যায়।

তবে এ মাসের (ফেব্রুয়ারি) বহুল পঠিত ম্যাগাজিন ‘কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স’ এর তথ্যে দেখা যায় পুরোপুরি মিলে গিয়েছে পিরোজপুরে প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সাথে বশেমুরবিপ্রবি গোপালগঞ্জের সাথে।

এছাড়া নতুন সরকারি তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথেই সাদৃশ্য রয়েছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে।

 

বশেমুরবিপ্রবিতে ২০% আঞ্চলিক কোটা : সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিবেদক


গত ১৫ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের জন্য ২০ শতাংশ কোটা প্রস্তাব করা হয়েছে। আর ২০% কোটার এই প্রস্তাব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গ্রুপে খোন্দকার নিয়াজ মাহমুদ নামের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থীর জরিপে দেখা গেছে প্রায় ৯৭% শিক্ষার্থী এধরণের আঞ্চলিক কোটার বিপক্ষে।

ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, ২০১৯ সালে আমরা যখন সাবেক উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের জন্য আন্দোলন করেছিলাম তখন ভিসি কোটার বিষয়টা ছিলো অন্যতম। আমরা মূলত চেয়েছিলাম বৈষম্য বিহীন ক্যাম্পাস। কিন্তু ২০ % কোটা আমাদের সেই বৈষম্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাছাড়া যাঁরা বৃহত্তর ফরিদপুরের মেধাবী শিক্ষার্থী তাদের জন্যও এটা লজ্জাজনক। কারণ তারা যখন মেধাতালিকার মাধ্যমে ভর্তি হবে অনেকে তাদের কোটা হিসেবে বিবেচনা করবে, যেটি তাদের জন্য কষ্টকর হবে। তাই আমরা আশা করি মাননীয় উপাচার্য একজন শিক্ষার্থী বান্ধব উপাচার্য হিসেবে বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আবুল বাশার কৌশিক বলেন, অযৌক্তিক কোটা সংস্কৃতির মাধ্যমে তৈরি বৈষম্য সর্বদাই মেধাবীদের সাফল্যের পথে এক বড় বাধা। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে একটি অঞ্চলের জন্য ২০ শতাংশ কোটা রাখা হলে এর মাধ্যমে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত মানই নিম্নগামী হবে না বরং বৈষম্যের নতুন সংস্কৃতির উত্থান হবে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং জাতীয় স্বার্থে এমন অযৌক্তিক প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পাশাপাশি প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি এধরণের কোটা বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত মান বৃদ্ধিতে আরো বেশি মনোযোগী হওয়ার।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আঞ্জুমান আরা বলেন, যখনই কোনো জনগোষ্ঠীকে বিশেষ সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় তখন তাদেরকে সকলে পৃথক সম্প্রদায় হিসেবে বিবেচনা করে এমনকি তারা নিজেরাও নিজেদেরকে অন্যদের থেকে আলাদা বিবেচনা করে। আর এর ফলে একসময় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জটিলতা তৈরি হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শব্দটিই এমন একটি শব্দ যেটি থেকে বোঝা যায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলের জন্য নয় এবং এখানে সকলের অধিকার সমান৷ কিন্তু যখনই একটি অঞ্চলের জন্য কোটা রাখা হবে তখনই বৈষম্য তৈরি হবে। তাই সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে আমি মনে করি এই ২০% কোটা না রাখাই ভালো হবে।

এমনকি এই কোটার বিরুদ্ধে রয়েছেন বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের শিক্ষার্থীরাও। লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত ফরিদপুর জেলার সাদমান সাকিব রক্তিম বলেন, এধরণের কোটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভার্তির ক্ষেত্রে সকলের সমান অধিকার পাওয়া উচিত এখানে কোনো অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্য কাম্য নয়।

আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত মাদারীপুর জেলার শফিকুল ইসলাম বলেন, একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের জন্য ২০% কোটা অন্যান্য অঞ্চলের প্রতি বৈষম্যমূলক,এই কোটা চালু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বাণিজ্যও হালাল রুপ পাবে বলে আমি মনে করি।

এদিকে, শুধুমাত্র শিক্ষার্থীরাই নয় এই কোটার বিপরীতে অবস্থান জানিয়েছেন শিক্ষকরাও। মানবিক অনুষদের ডিন আশিকুজ্জামান ভুঁইয়া বলেন, “অঞ্চলভিত্তিকে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো বিশ্ববিদ্যালয় ধারণার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে মেধার ভিত্তিতে, এলাকার ভিত্তিতে নয়। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখতে পাই ৬৪ জেলা থেকেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়। আর এই বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু বঙ্গবন্ধুর নামে আমরা আশা করি এটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হবে। এখানে ৬৪ জেলার শিক্ষার্থীরাই পড়ালেখার সমান সুযোগ পাবে। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহত্তর ফরিদপুরের জন্য ২০ শতাংশ কোটা থাকবে এমনটি আমি আশা করি না।”

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রভাষক এবং শিক্ষক সমিতির প্রচার সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, “২০ শতাংশ কোটার সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণার পরিপন্থী এবং অনৈতিক একটি সিদ্ধান্ত। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য তথা সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না।”

এছাড়া এ বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য না করলেও মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণাটি কি সেটি সকলের বোঝা উচিত এবং এই ধারণা অক্ষুন্ন রাখাসহ শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য কাজ করা উচিত।

প্রসঙ্গত, একাডেমিক কাউন্সিলের একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলে বশেমুরবিপ্রবি ব্যতিত অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় এই অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নের উদ্দেশ্যে কোটার প্রস্তাবটি দেয়া হয়েছে, তবে বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয় নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ.কিউ.এম মাহবুব জানিয়েছেন, প্রস্তাবটি এরপরে প্রথমে রিজেন্ট বোর্ড এবং পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও সরকারের নিকট পাঠানো হবে। আর তাদের মতামতের ভিত্তিতে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।