ব-ফলা উচ্চারণ সূত্র , ম-ফলা উচ্চারণ সূত্র , য-ফলার উচ্চারণ সূত্র

ব-ফলা উচ্চারণ সূত্র , ম-ফলা উচ্চারণ সূত্র , য-ফলার উচ্চারণ সূত্র

এইচএসসি / আলিম ২০২২ বাংলা ২য় পত্র এসাইনমেন্ট তৃতীয় সপ্তাহ – HSC / Alim 2022 Bangla 2nd Paper Assignment 3rd Week. ব-ফলা উচ্চারণ সূত্র , ম-ফলা উচ্চারণ সূত্র ও য-ফলার উচ্চারণ সূত্র এবং গদ্য কবিতা থেকে বাছাইকৃত ফলা যুক্ত শব্দের উদাহরণ।

ব-ফলার উচ্চারণের সূত্র

ব-ফলার উচ্চারণের সূত্রগুলো নিচে আলোচনা করা হলোঃ

১) শব্দের আদিতে ব-ফলা যুক্ত হলে ‘ব’ অনুচ্চারিত হয়, তবে যে বর্ণ সংযুক্ত হয় সে বর্ণ উচ্চারণে একটু
শ্বাসাঘাত লাগে। যেমন- স্বামী, স্বাধীকার, জ্বলছে, দ্বিতীয়।

২) শব্দের শেষে বা মধ্যে ব-ফলা থাকলে সেই ব ফলা অনুচ্চারিত এবং যে বর্ণে যুক্ত সেই বর্ণ দ্বিত্ব হয়। যেমনঃ বিশ্বাস, ভূস্বামী, বিশ্ব।
উৎ উপসর্গের সাথে ব যুক্ত হলে ব উচ্চারিত হয়। যেমনঃ উদ্বেগ,উদ্বেলিত, উদ্বাস্তু উদ্বোধন।

৩) শব্দের মধ্যে বা শেষে বা এর সঙ্গে ব, ম এর সঙ্গে ব যুক্ত হলে ঐ ‘ব’ উচ্চারিত হয়। যেমনঃ সাব্বাস, আব্বা, নব্বই।
৪) সন্ধি সূত্রে আগত ‘ক’ স্থলে ‘গ’ হলে সেই ‘গ’ এর সাথে যুক্ত হলে সে ‘ব’ উচ্চারিত।যেমনঃ দিগ্বালিকা,দিগ্বধ।

৫) যুক্ত ব্যঞ্জন এ ব-ফলা যুক্ত হলে ব উচ্চারিত হয় না। যেমনঃ দ্বন্দ্ব, সান্তনা, উজ্জ্বল, উচ্ছ্বাস।

এইচএসসি / আলিম ২০২২ বাংলা ২য় পত্র এসাইনমেন্ট তৃতীয় সপ্তাহ

ম-ফলার উচ্চারণ সূত্র

ম ফলা উচ্চারণের সূত্রগুলো নিচে আলোচনা করা হলোঃ

১) শব্দের আদিতে ম-ফলা যুক্ত হলে সেই ম অনুচ্চারিত থাকে। যেমন স্মৃতি, স্মরণ । কিন্তু ম এর কারণে যে বর্ণের সাথে ম যুক্ত হয় সেই বর্ণটি একটু অনুনাসিক হয়। স্মৃতি, শ্মশান।

২) শব্দের মধ্যে বা শেষে ম যুক্ত হলে দ্বিত্ব হবে,শেষ বর্ণটি একটু অনুনাসিক হবে। যেমনঃপদ্মা, ছদ্মবেশ, আত্মীয়।

৩) গ,ঙ,ট,ণ,ন,ম,ল এর সাথে যুক্ত হলে ম রক্ষিত হবে, কিন্তু দ্বিত্ব হবে না। যেমনঃ
গ্ম- বাগ্মী,যুগ্ম।
ঙ্ম- বাঙ্ময়,পরাঙ্মুখ।
ট্ম-কুট্মালিত তরু কুঞ্জে গাঁথিব মালিকা।
ন্ম- জন্ম,উন্মাদ,মৃন্ময়,।
ম্ম- সম্মানিত
ল্ম- গুল্ম,বাল্মীকি,শাল্মলী (শিমুল)।

৪) যুক্তব্যঞ্জনের মধ্যে বা শেষে ম উচ্চারিত হয় না, দ্বিত্ব হয় না, কিন্তু নাসিক্য হয়।যেমন- যক্ষ্মা, লক্ষ্মণ।
৫) কৃৎ ঋণ শব্দের আদিতে ম উচ্চারিত।যেমনঃস্মিতাপাতিল,সুষ্মিতা ।

এইচএসসি / আলিম ২০২২ বাংলা ২য় পত্র এসাইনমেন্ট তৃতীয় সপ্তাহ

য-ফলার উচ্চারণ

য-ফলার উচ্চারণ গুলো নিচে দেওয়া হলঃ

১) শব্দের প্রথমে অ-কারান্ত বা আ-কারান্ত বর্ণে য -ফলা যুক্ত হলে উচ্চারণ অ্যা হয়।যেমনঃ ব্যয়, খ্যাত, ব্যাথা, ব্যাকরণ।
২) য-ফলা যুক্ত বর্ণের পর ই-কার থাকলে এ উচ্চারিত হয়। যেমনঃব্যাক্তি

৩) শব্দের অন্তে বা মধ্যে য-ফলা থাকলে দ্বিত্ব হবে। যেমনঃ উদ্যান,বিদ্যা, তথ্য।
৪) মহাপ্রাণ হলে প্রথমটি অল্পপ্রাণ দ্বিতীয়টি মহাপ্রাণ।

৫) হ এবং য ফলা যুক্ত হলে হ লোপ পায়। যেমনঃ সহ্য।
৬) যুক্ত ব্যঞ্জনে য ফলা যুক্ত হলে তার উচ্চারণ থাকে না, অ রক্ষিত।যেমনঃ স্বাস্থ্য, কন্ঠ, বন্দ্যোপাধ্যায়।

ব-ফলা উচ্চারণ সূত্র , ম-ফলা উচ্চারণ সূত্র , য-ফলার উচ্চারণ সূত্র

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *