৮ম শ্রেণি বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট ৯ম সপ্তাহ ২০২১

৮ম শ্রেণি বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট ৯ম সপ্তাহ ২০২১

৮ম শ্রেণি বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট ৯ম সপ্তাহ ২০২১ – Class 7 Science (Biggan) Assignment Answer 9th Week 2021. এসাইনমেন্ট প্রকাশের ধারাবাহিকতায় ৭ম শ্রেণি ৯ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট বাংলা ও বিজ্ঞান প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) । ২৭ জুন ২০২১ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ৬ষ্ট ,৭ম ৮ম এবং ৯ম শ্রেণি ৯ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ প্রকাশিত হয়েছে।

৯ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট এ অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা (সপ্তবর্ণা) এবং বিজ্ঞান বিষয়ের এসাইনমেন্ট দেয়া হয়েছে।

করোনায় ২০২০ সাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ গত মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে। এদিকে, ২০২০ সালের মতো ২০২১ সালের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন এর লক্ষ্যে ধারাবাহিক এসাইনমেন্ট প্রকাশিত হচ্ছ অষ্টম শ্রেণির নবম সপ্তাহের বাংলা ও বিজ্ঞান বিষয়ের এসাইনমেন্ট সম্পন্ন করে নির্ধারিত সময়ে সংশ্লিষ্ট বিষয় শিক্ষকের নিকট জমা দিবে।

৮ম শ্রেণি বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট ৯ম সপ্তাহ ২০২১

অধ্যায় ও শিরোনামঃ তৃতীয়: ব্যাপন, অভিস্রবণ ও প্রস্বেদন; পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ ও বিষয়বস্তুঃ পাঠ ১-২: ব্যাপন, পাঠ-৩: অভিস্রবন, পাঠ ৪: অভিস্রবণের গুরুত্ব, পাঠ ৬: প্রস্বেদন, পাঠ ৭: প্রস্বেদনের গুরুত্ব;

অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজঃ তোমার প্রতিদিনের পর্যবেক্ষণ থেকে ব্যাপন ও অভিস্রবণ এর দুটি করে ঘটনা উল্লেখ করো। ব্যাপন ও অভিস্রবণ প্রক্রিয়া থেকে যে কোন একটির জন্য পরীক্ষা সম্পন্ন করে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি ধারাবাহিকভাবে লেখ।

সংকেত সমূহঃ ক. ব্যাপন এর বৈশিষ্ট্য, খ. অভিস্রবণ এর বৈশিষ্ট্য, গ. ব্যাপন ও অভিস্রবণ এর পরীক্ষা (পানিতে ভেজানো, রান্নার গন্ধ ছড়িয়ে পড়া, ফুড কালার পানিতে ছড়িয়ে পড়া এরূপ বিষয়ে পর্যবেক্ষণ)

অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নির্দেশনাঃ

১. পাঠ্যপুস্তকে তৃতীয় অধ্যায়ের ১ থেকে ৪ পাট থেকে আহরিত জ্ঞানকে পরিবেশের সাথে সংযুক্ত করে এই অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে।

২. সহজলভ্য উপকরণ সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে হবে।
৩. পরীক্ষাটি যাতে ঝুঁকিপূর্ণ না হয় সেটি বিবেচনায় রাখতে।

৮ম শ্রেণি বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট ৯ম সপ্তাহ ২০২১ এর উত্তর

আমার বাবার পারফিউমের বোতলের মাথায় চাপ দিলে ফুস করে শব্দ করে বাতাস ও তরল বের হয়। ঘরের যে প্রান্তেই থাকি না কেন, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সুঘ্রাণ আসে নাকে। ভেবে দেখেছি পারফিউমের কণাগুলো কত দ্রুত আমার নাকে চলে আসে। এটাই হলো ব্যাপন।

আবার বাতাসের মধ্যে যদি কোনো হালকা গ্যাসীয় বস্তু ছড়িয়ে দেই তাহলে তা বেশি ঘনত্ব থেকে কম ঘনত্বের দিকে ছুটে যাবে। এটাও ব্যাপনের জন্য হয়ে থাকে।

কয়েকটি শুকনো কিশমিশকে একটা কাপে পানি ঢেলে তাতে কয়েক ঘণ্টা ছেড়ে রাখলে পরে দেখা যাবে যে কিশমিশগুলো ফুলে ঢোল। কারণ অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় কিশমিশের পাতলা পর্দা ভেদ করে ভেতরে পানি ঢুকে গেছে।

ক. ব্যাপন এর বৈশিষ্ট্য

পদার্থের অণুগুলো নিজস্ব গতি শক্তিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সব দিকে ছড়িয়ে পড়তে চাই এই ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতাকে ব্যাপন বলে। কঠিন পদার্থের ব্যাপন ঘটে না। নিন্মে ব্যাপন এর কিছু বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলোঃ

১. বস্তুর ভর ও তাপমাত্রা: ব্যাপনের হার বস্তুর ভরের উপর নির্ভরশীল। ভর যত বেশি হবে বস্তুর ব্যাপনের হার তত কম হবে। অর্থাৎ, ব্যাপন হার বস্তুর ভরের (মোলার ভর) ব্যস্তানুপাতিক।

২. পদার্থের অণুর ঘনত্ব: যে পদার্থের ব্যাপন ঘটবে সে পদার্থের অণুর ঘনত্ব বেশি থাকলে ব্যাপন হার বেশি হবে, অণুর ঘনত্ব কম হলে ব্যাপন হার কম হবে।

৩. মাধ্যমের ঘনত্ব: যে মাধ্যমে ব্যাপন ঘটবে সে মাধ্যমের ঘনত্ব বেশি বলে ব্যাপন হার কম হবে, মাধ্যমের ঘনত্ব কম হলে ব্যাপন হার বেশি হবে।

৪. অনুগুলির দ্রবণীয়তা, গাঢ়ত্বের নতিমাত্রা, গ্যাসীয় চাপের নতিমাত্রা বা তড়িৎ নতিমাত্রা সঙ্গে ব্যাপনের হার সমানুপাতিক।

৫. মাধ্যমের তাপমাত্রা এবং ব্যাপন তল বেশি হলে ব্যাপনের হার বেশি হয়। ১। বিভিন্ন লবণ দ্রবণের ব্যাপনের হার ভিন্ন।

অভিস্রবণের সংজ্ঞা: একই দ্রাবকের দুটি ভিন্ন ঘনত্বের দ্রবণ অথবা দ্রবণ ও বিশুদ্ধ দ্রাবককে অর্ধভেদ্য পর্দা দিয়ে আলাদা করে রাখলে কম ঘনত্বের দ্রাবক বেশি ঘনত্বের দ্রবণের দিকে অথবা বিশুদ্ধ দ্রাবক দ্রবণের দিকে যায়। দ্রাবকের এই চলনকে অভিস্রবণ বা অসমোসিস বলে।

নিম্নে অভিস্রবণের কিছু বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলোঃ

১. দুটো দ্রবণের ঘনত্ব সমান না হওয় পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে।
২. অভিস্রবণ এক প্রকার ব্যাপন।

৩.অভিস্রবণ কেবলমাত্র তরলের ক্ষেত্রে ঘটে। একে অন্যভাবে বলা যায কোনো শক্তির প্রযোগ ছাডাই তরলের বাস্তবিক চলাচল। অভিস্ত্রবণকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়: অন্তঃঅভিস্রবণ, বহিঃঅভিস্রবণ ।

৪. কোষের বাইরে অবস্থিত তরল পদার্থ যখন অর্ধভেদ্য পর্দা ভেদ করে ভেতরে প্রবেশ করে তখন সেই প্রক্রিয্যুকে অন্তঃঅভিস্রবণ বলে। কোষের ভেতর থেকে যখন তরল পদার্থ পর্দা ভেদ করে বাইরে বেরিযে যায় তখন সেই প্রক্রিযাকে বহিঃঅভিস্রবণ প্রক্রিয়া বলে।

গ. ব্যাপন ও অভিস্রবণ এর পরীক্ষা (পানিতে ভেজানো, রান্নার গন্ধ ছড়িয়ে পড়া, ফুড কালার পানিতে ছড়িয়ে পড়া এরূপ বিষয়ে পর্যবেক্ষণ)

ব্যাপন আমাদের আশপাশে অহরহ ঘটে। সুক্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে বড় বড় কাজেও ব্যাপন দেখা যায়। যেমন- ঘরের এক পাশে কেউ সুগন্ধি স্প্রে করলে সেটা মুহূর্তের মধ্যে সারা ঘরে ছড়িয়ে যায়। কেন? কারণ সুগন্ধিটা বোতলের ভেতর খুব চাপের মধ্যে থাকে।

এতই চাপে থাকে যে সে গ্যাস থেকে তরল হয়ে যায়। ওই তরল যখন আচমকা বের হওয়ার সুযোগ পায়, তখন তার মাথা খারাপ হয়ে যায়। সে যেখানেই কম ঘনত্ব পাবে, সেখানেই ছুটে যাবে।

আমাদের চারপাশে সাধারণত যে বাতাস থাকে, সেটা বেশ কম ঘনত্বের। আর তাই সুগন্ধির কণাগুলো দূত সব জায়গা দখল করে নেয়। এটা ব্যাপন প্রক্রিয়ার বেশ ভালো উদাহরণ।

এক গ্রাস পানিতে এক ফোটা গাঢ় নীল জলরং ঢেলে দিলে সেই রং ছড়িয়ে যেতে থাকে। ততক্ষণ ছড়াতে থাকে, যতক্ষণ পুরো পানি নীল হয়ে যাচ্ছে। সেই রঙিন পানি আবার যদি আরেকটি বড় পানিভর্তি গ্রাসে ঢালি তা হলে কী ঘটবে? ওই বড় গ্লাসেরও সব পানি রঙিন হয়ে যাবে, কিন্তু পরেরবার দেখা যাবে বড় গ্লাসের পানির রং আগের চেয়ে হালকা হয়ে গেছে।

কারণ পরের গ্রাসে পানির পরিমাণ বেশি। এতে বোবা যায়, ব্যাপন প্রক্রিয়া ততক্ষণ চলতেই থাকবে, যতক্ষণ না দুটি তরলের ঘনত্ব সমান হচ্ছে। মানে একটি পাত্রে রঙিন পানি ঢাললে রংগুলো ততক্ষণ পর্যন্ত ছড়াবে, যতক্ষণ না সেটা গ্রাসের সব পানির অণুতে মিশে যাচ্ছে। মানে সব জায়গায় পানির ঘনত্ব সমান না হওয়া পর্যন্ত রং ছড়াতেই থাকবে।

অভিস্রবণের বেলায়ও তাই। পানিতে ডোবানো কিশমিশ ফুলে ঢোল হবে ঠিকই, কিন্তু কিশমিশটা ফুলতে ফুলতে একেবারে ডিমের সমান বড় হয়ে যাবে না। কারণ একটা পর্যায়ে তার পানি শোষণ করা বন্ধ হয়ে যাবে। কোন পর্যায়ে? যখন কিশমিশের ভেতরের ঘনত্ব আর বাইরের পানির ঘনত্ব একই হয়ে যাবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *